For faster navigation, this Iframe is preloading the Wikiwand page for মাদারীপুর জেলা.

মাদারীপুর জেলা

মাদারীপুর
জেলা
মাদারীপুর জেলা
রাজারাম মন্দির
রাজারাম মন্দির
বাংলাদেশে মাদারীপুর জেলার অবস্থান
বাংলাদেশে মাদারীপুর জেলার অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৩°১০′১২″ উত্তর ৯০°৬′০″ পূর্ব / ২৩.১৭০০০° উত্তর ৯০.১০০০০° পূর্ব / 23.17000; 90.10000 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগঢাকা বিভাগ
মাদারীপুর মহকুমা১৮৫৪
সংসদীয় আসন৩টি
সরকার
 • জেলা প্রশাসকমোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান
আয়তন
 • মোট১,১৪৪.৯৬ বর্গকিমি (৪৪২.০৭ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)[]
 • মোট১২,১২,১৯৮
 • জনঘনত্ব১,১০০/বর্গকিমি (২,৭০০/বর্গমাইল)
সাক্ষরতার হার
 • মোট৪৮%
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
পোস্ট কোড৭৯০০ উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৩০ ৫৪
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

মাদারীপুর জেলা বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের ঢাকা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল।

অবস্থান ও আয়তন

[সম্পাদনা]

মাদারীপুর জেলা ২৩° ০০' উত্তর অক্ষাংশ থেকে ২৩° ৩০' উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯° ৫৬' পূর্ব দ্রাঘিমাংশ থেকে ৯০° ২১' পূর্ব দ্রাঘিমাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত। [] এই জেলার মোট আয়তন প্রায় ১১৪৪.৯৬ বর্গ কিলোমিটার।[]এই জেলার উত্তরে ফরিদপুর জেলামুন্সীগঞ্জ জেলা, দক্ষিণে গোপালগঞ্জ জেলাবরিশাল জেলা, পূর্বে শরীয়তপুর জেলা, পশ্চিমে ফরিদপুর জেলাগোপালগঞ্জ জেলা

নামকরণ ও প্রতিষ্ঠা

[সম্পাদনা]

পঞ্চদশ শতাব্দীর সুফি সাধক কুতুব-ই-জাহান হযরত বদিউদ্দীন আহমেদ জিন্দা শাহ মাদার (রঃ) এর নাম অনুসারে মাদারীপুর জেলার নামকরণ করা হয়।[] শাহ মাদার (র) ইসলাম ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে সিরিয়া হতে সুলতান ফিরোজ শাহ তুঘলকের শাসনকালে (১৩৫১-১৩৮৮খ্রি:) ভারতে পরে বঙ্গের নানা স্থানে ভ্রমণ করেন। মাদার্শা, মাদারবাড়ী, মাদারি খাল[], মাদারীপুর, মাদারঠেক, শামান্দারের ঘাট তার শুভাগমনের স্থানীয় স্মৃতি রক্ষা করছে। ভারতবর্ষে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠার পরে যে সকল সুফি সাধারন্যে অসাধারন প্রভাব বিস্তার করেন তাদের মধ্যে শাহ মাদার অন্যতম।[] চতুর্দশ শতাব্দীর কোনো এক সময়ে বঙ্গের বিভিন্ন স্থান ভ্রমনের এক পর্যায়ে তৎকালীন চন্দ্রদ্বীপের উত্তর সীমান্তে গভীর অরন্যের যে স্থানটিতে তিনি ক্ষণিকের অতিথি হয়ে সহযাত্রীদের নিয়ে যাত্রা বিরতি বা বিশ্রাম গ্রহণ করেছিলেন সে স্থানটিতে তার নামানুসারে হযরত শাহ মাদার (র.) এর দরগাহ শরীফ নামকরণ করে স্মৃতি স্তম্ভ নির্মীত হয়েছে। সপ্তদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে বিক্রমপুরের জমিদার ভূমিহীন প্রজাদের পূনর্বাসনের লক্ষ্যে চন্দ্রদ্বীপের স্মৃতিবিজড়িত ঐ স্থানটিকে কেন্দ্র করে সরকার মাদারণ বা মাদারণ অঞ্চল নামে আখ্যায়িত করে ফসলি জমি ও আবাসন গড়ে তুলেন। যা পরবর্তীতে নগরায়নে রুপ নিতে থাকে, নাম হয় মাদারণ গ্রাম-উনিয়ন। পর্যায়ক্রমে নগর সভ্যতার বিবর্তনের ফলে মাদারণ নাম থেকে ১৮৫৪ খ্রিষ্টাব্দে মাদারীপুর থানা-সাব ডিভিশন, ১৮৭৫ খ্রিষ্টাব্দে মাদারীপুর পৌরসভা এবং ১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয় মাদারীপুর জেলা।[]

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

অতি প্রাচীনকালে মাদারীপুরের পূর্বাংশ ইদিলপুর এবং পশ্চিম অংশ কোটালীপাড়া নামে পরিচিত ছিল।[] ইদিলপুর বঙ্গের চন্দ্রদ্বীপ রাজ্যের একটি উন্নত জনপদ ছিল। একসময় এ অঞ্চলের প্রশাসনিক নাম ছিল নাব্যমন্ডল। কোটালীপাড়া ছিল প্রাচীন বাংলার বঙ্গ রাজ্যের রাজধানী এবং বাংলার সভ্যতার অন্যতম কেন্দ্র। খ্রিস্টীয় চতুর্থ শতকে ইদিলপুর ও কোটালীপাড়া ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য বিখ্যাত ছিল।[] নন্দবংশের প্রতিষ্ঠাতা মহাপদ্মনন্দ আদতে ছিলেন গঙ্গারিডিদের রাজা, সেখান থেকেই পাটলিপুত্রে গিয়ে সাম্রাজ্যস্থাপন করেছিলেন, এমনটা মনে করেন অনেক ঐতিহাসিক। গঙ্গারিডি আর প্রাচ্য রাষ্ট্র ছিল Agrammes/Xandrames বা ঔগ্রসৈন্য (উগ্রসেনের পুত্র) নামক রাজার অধীনে। গ্রিকবীর আলেকজান্ডারের ভারত আক্রমণের সময় ৩২৭ খ্রিস্টপূর্বে কোটালীপাড়া অঞ্চলে বাংলার গঙ্গাঋদ্ধি সাম্রাজ্য স্বাধীনভাবে রাজত্ব করত। তারপর এ অঞ্চল (৩২০-৪৯৬ খ্রিঃ) গুপ্ত সম্রাটদের অধীনে ছিল। ৫০৭-৮ খ্রীষ্টাব্দের কিছু আগে রাজত্ব করেছেন দ্বাদশাদিত্য - মহারাজাধিরাজ বৈন্যগুপ্ত নামক এক রাজা। কোটালীপাড়া অঞ্চলের পাঁচটি আর পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান অঞ্চলে প্রাপ্ত একটি, সর্বমোট ছয়খানা পট্টোলীতে তিনজন মহারাজাধিরাজের তথ্য পাওয়া যায়। গোপচন্দ্র, ধর্মাদিত্য এবং নরেন্দ্রাদিত্য সমাচারদেব। এরা ৫৪০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ৬০০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত রাজত্ব করছেন।[] বাংলার স্বাধীন শাসক শশাঙ্কের মৃত্যুর পর একশত বছর(৬৫০-৭৫০ খ্রিঃ) বাংলার ইতিহাস ‘‘মাৎস্যন্যায়’’ নামে খ্যাত, তবে ঐ সময়ে খড়গ বংশ ও দেব রাজবংশ এ অঞ্চল শাসন করে। ৭৫০ খ্রিস্টাব্দে গোপালকে রাজা নির্বাচিত করা হয়। পাল বংশ ৭৫০-১১৬২ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বাংলা শাসন করে, তবে রাজা দ্বিতীয় বিগ্রহপালের রাজত্বকালে (৯৬৯–৯৯৫ খ্রিঃ) পাল সাম্রাজ্য গৌড়, রাঢ়, অঙ্গ ও বঙ্গ প্রভৃতি ছোটো ছোটো রাজ্য বিভাজিত হয়ে যায়। হরিকেলের (পূর্ব ও দক্ষিণ বাংলা) কান্তিদেব ‘মহারাধিরাজ’ উপাধি গ্রহণ করেন এবং এবং একটি পৃথক রাজ্য স্থাপন করেন। পরবর্তীকালে চন্দ্র রাজবংশ এই রাজ্যটি শাসন করেছিল।[]

চন্দ্রবংশ দশম ও এগার শতকে স্বাধীনভাবে পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গে রাজত্ব করে। চন্দ্র বংশের শ্রীচন্দ্রের তাম্রশাসন রামপাল ইদিলপুর ও কেদারপুরে পাওয়া যায়। মাদারীপুর-শরীয়তপুর চন্দ্ররাজার অধীনে ছিল। সেন রাজবংশ ১০৯৮ হতে ১২৩০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত পূর্ব বাংলা শাসন করে। কোটালীপাড়া ও মদনপাড়ায় বিশ্বরূপ সেন এবং ইদিলপুরে কেশব সেনের তাম্রলিপি পাওয়া যায়। সেন রাজাদের পতনের পর চন্দ্রদ্বীপ রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়। বরিশাল বিভাগ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জবাগেরহাট জেলা চন্দ্রদ্বীপ রাজ্যের অধীনে ছিল।

চতুর্দশ শতকে ফরিদপুর সুলতানদের শাসনাধীনে চলে যায়। যদিও ১২০৩ থেকে ১৫৭৫ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত সুলতানগণ বাংলা শাসন করে, তবে পূর্ববঙ্গে সেন রাজত্ব চলে। সুলতান জালাল উদ্দিন ফতেহ শাহ (১৪৮১-১৪৮৫ খ্রিঃ) ফরিদপুর ও চন্দ্রদ্বীপের একাংশ দখল করে ফতেহাবাদ পরগনা গঠন করেন। ফরিদপুর মাদারীপুরের প্রথম ঐতিহাসিক নাম ফতেহাবাদ। সুলতান হুসেন শাহ (১৪৯৩-১৫১৯ খ্রিঃ) ফতেহাবাদের জনপ্রিয় শাসক ছিল। ১৫৩৮ হতে ১৫৬৩ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত শেরশাহ ও তার বংশধরগণ বাংলা শাসন করেন। ১৫৬৪ সাল হতে ১৫৭৬ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত কররানি বংশ বাংলার রাজত্ব করে তারপর ১৫৭৬ খ্রিষ্টাব্দ হতে ১৬১১ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বারোভূঁইয়ার অধীনে ছিল বাংলা। বারোভূঁইয়াদের অন্যতম ছিল বিক্রমপুরের চাঁদ রায়, কেদার রায় এবং বাকলার কন্দর্প রায়, রামচন্দ্র রায়। মুঘল সাম্রাজ্যনবাবী শাসন চলে ১৭৬৫ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত। তারপর বাংলা ব্রিটিশদের দখলে চলে যায়।[]

১৭৫৭ খ্রিষ্টাব্দে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলাহর পতনের মধ্যদিয়ে এদেশে ব্রিটিশ শাসনের সূত্রপাত ঘটে। মূলত ১৭৬৫ থেকে ১৯৪৭ খ্রিঃ পর্যন্ত প্রায় দু’শ বছর ব্রিটিশরা বাংলা শাসন করে। ১৮৫৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত মাদারীপুর স্থানীয় নাম ছিল। ১৮৫৪ খ্রিস্টাব্দে মহকুমা ও থানা সৃষ্টি হলে "মাদারীপুর" নাম প্রশাসনিক স্বীকৃতি লাভ করে। তখন এ মহকুমা ১৭৯৭ খ্রিষ্টাব্দে সৃষ্ট বাকেরগঞ্জ জেলাধীন ছিল এবং বর্তমান মাদারীপুর জেলা, শরীয়তপুর জেলা, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলাকোটালীপাড়া উপজেলা বিস্তৃত অঞ্চল মাদারীপুর মহকুমা গঠিত হয়েছিল। ১৮৫৯ খ্রিষ্টাব্দে ফরিদপুর জেলা সৃষ্টি হলে মাদারীপুর মহকুমাকে বাকেরগঞ্জ জেলা থেকে আলাদা করে ১৮৭৩ খ্রিষ্টাব্দে ফরিদপুর জেলার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ১৮৭৫ খ্রিষ্টাব্দে মাদারীপুর মিউনিসিপ্যাল কমিটি স্থাপিত হয়। ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দে গোপালগঞ্জ ও কোটালীপাড়া থানা মাদারীপুর থেকে আলাদা করে গোপালগঞ্জ মহকুমা গঠন করা হয়।[] ব্রিটিশ আমলে মাদারীপুর অনেক আন্দোলন সংগ্রামের তীর্থভূমি ছিল। বিখ্যাত ফরায়েজি আন্দোলনের নেতা হাজী শরিয়ত উল্লাহ’র (১৭৮১-১৮৪০) জন্ম মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বাহাদুরপুরে। তিনি ১৮২০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১৮৫০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ধর্মীয় কুসংস্কার, নীলকর ও জমিদারদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেন। শরিয়ত উল্লাহর মৃত্যুর পর তারই সুযোগ্য পুত্র দুদু মিয়া (১৮১৯-১৯৬২) ফরায়েজি আন্দোনের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন।

ব্রিটিশ আমলে উপমহাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে মাদারীপুরের বিপ্লবীরা ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেন। এ জেলার কৃতী সন্তান পূর্ণচন্দ্র দাস ১৯১০ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটিশ শাসন বিরোধী গুপ্ত সংগঠন মাদারীপুর সমিতি প্রতিষ্ঠা করেন। সমিতির অন্যতম সদস্য চিত্তপ্রিয় রায় চৌধুরী ১৯১৫ খ্রিষ্টাব্দে বালেশ্বর যুদ্ধে ব্রিটিশ বাহিনীর সাথে সম্মুখ সমরে মৃত্যুবরণ করেন এবং বালেশ্বর যুদ্ধে নীরেন্দ্র নাথ দাশগুপ্তমনোরঞ্চন সেনগুপ্ত বন্দী হন। বালেশ্বর জেলে তাদের ফাঁসি দিয়ে হত্যা করা হয়।[] ১৯৩৬খ্রিষ্টাব্দে শেখ মুজিবুর রহমান মাদারীপুর আবস্থানকালে পূর্ণ দাসের সভায় নিয়োমিত যাতায়াত করতেন এবং সেখান থেকেই ইংরেজদের বিরুদ্ধে বিরূপ ধারণা সৃষ্টি হয়; ইংরেজদের এদেশে থাকার অধিকার নেই, স্বাধীনতা আনতে হবে।‌[১০] এ জেলার অগ্নিপুরুষ অম্বিকাচরণ মজুমদার নিখিল ভারত কংগ্রেস-এর সভাপতি ছিলেন। তিনি আধুনিক ফরিদপুরের রূপকারও বটে। ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে বাংলা বিভক্ত হয়ে পূর্ববাংলা নামে পাকিস্তানের একটি প্রদেশে পরিণত হয়।[]

১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দের বাংলা ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন এবং ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান এবং সর্বোপরি ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ সহ সকল আন্দোলন সংগ্রামে মাদারীপুরের কৃতী সমত্মানরা বলিষ্ট ভূমিকা পালন করে। ১৭ এপ্রিল মাদারীপুরের প্রাথমিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ১৬৫ জন ছাত্র-যুবককে সঙ্গে নিয়ে স্টুয়ার্ড মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য ভারতের উদ্দেশে রওনা দেন।[] ভারতে যারা মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে যায় তাদের মধ্যে মাদারীপুরের যুবকরা সর্বাগ্রে গমন করেন।[] ১০ ডিসেম্বর মাদারীপুরে সরাসরি সম্মুখযুদ্ধে বিজয়ের মাধ্যমে মুক্ত হয়। সম্ভবত বাঙালি মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে পাকিস্তানি সেনাদের আত্মসমর্পণ শুধুমাত্র মাদারীপুরেই হয়েছে। তবে হানাদারমুক্ত হবার আগ মুহুর্তে শত্রুর বাংকারে গ্রেনেড হামলা করতে গিয়ে পাকবাহিনীর গুলিতে শহীদ হন সর্বকনিষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধা ১৪ বছর বয়সী সরোয়ার হোসেন বাচ্চু। ১৬ ডিসেম্বর অন্যান্য জায়গায় পাকিবাহিনী আত্মসমর্পণ করেছে মিত্রবাহিনীর হাতে।[১১] বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৮৪ সালের ১লা মার্চ মাদারীপুর জেলা হিসেবে স্বীকৃতি পায়।[]

প্রশাসন

[সম্পাদনা]

আয়তন অনুযায়ী মাদারীপুরের উপজেলাসমূহ

  শিবচর (২৯.৫৭%)
  মাদারীপুর সদর (২৫.১৫%)
  কালকিনি (২৪.৯১%)
  রাজৈর (২০.৩৭%)

মাদারীপুরে জেলা প্রশাসক হিসাবে নিযুক্ত মোহাম্মদ মারুফুল রশিদ খান[১২] এবং জেলা পরিষদের প্রশাসক হলেন ।[১৩]জনাব মুনির চৌধুরী

প্রশাসনিক এলাকাসমূহ

[সম্পাদনা]

মাদারীপুর জেলায় ৩ টি সংসদীয় আসন, ৫ টি উপজেলা, ৫ টি থানা, ৪ টি পৌরসভা, ৫৯ টি ইউনিয়ন, ১০৬২ টি গ্রাম, ৪৭৯ টি মৌজা রয়েছে।

সংসদীয় আসনসমূহ

[সম্পাদনা]
  1. মাদারীপুর-১
  2. মাদারীপুর-২
  3. মাদারীপুর-৩

উপজেলা ও থানাসমূহ

[সম্পাদনা]
  1. মাদারীপুর সদর
  2. শিবচর
  3. কালকিনি
  4. রাজৈর
  5. ডাসার

পৌরসভাসমূহ

[সম্পাদনা]

জনপ্রতিনিধি

[সম্পাদনা]
সংসদীয় আসন জাতীয় নির্বাচনী এলাকা[১৪] সংসদ সদস্য[১৫][১৬][১৭] রাজনৈতিক দল
মাদারীপুর-১ শিবচর উপজেলা শূণ্য
মাদারীপুর-২ রাজৈর উপজেলামাদারীপুর সদর উপজেলা শূণ্য
মাদারীপুর-৩ কালকিনি উপজেলামাদারীপুর সদর শূণ্য

ৎজনসংখ্যা উপাত্ত

[সম্পাদনা]
ধর্মবিশ্বাস অনুযায়ী মাদারীপুরের জনসংখ্যা
ধর্ম শতাংশ
ইসলাম
  
৮৭.৮০%
হিন্দুধর্ম
  
১২.১০%
খ্রিষ্টধর্ম
  
০.০৯%
বৌদ্ধধর্ম
  
০.০০৬%
অন্যান্য
  
০.০০৪%

মাদারীপুর জেলার মোট জনসংখ্যাঃ ১২,১২,১৯৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫,৯৭,৩৭২ জন ও মহিলা ৬,১৪,৮২৬ জন। মাদারীপুর জেলায় ১০,২৩,৭০২ জন মুসলিম, ১,৪১,০৯৭ জন হিন্দু, ৩৬ জন বৌদ্ধ, ১,০৯১ জন খ্রিস্টান এবং অন্যান্য ধর্মের প্রায় ২৬ জন লোক বাস করে।[]

মাদারীপুর জেলায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ০.১৭%।

  • পুরুষঃ ৪৯.২৯%
  • মহিলাঃ ৫০.৭১%

শিক্ষা

[সম্পাদনা]

মাদারীপুর জেলার শিক্ষার গড় হার ৪৮%। পুরুষদের মধ্যে এই হার ৫০.১১% এবং মহিলাদের মধ্যে ৪৫.৯৩%। মাদারীপুরে ৬৭৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২৮৯টি এনজিও স্কুল, ৭৬টি কিন্ডারগার্টেন, ১৬৪টি মাদ্রাসা, ১৬১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় (২টি সরকারিসহ), ২৩টি কলেজ (৫টি সরকারিসহ), ১টি টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট, ১ টি সরকারি টেকনিক্যাল কলেজ, ১টি ভেটেরিনারি কলেজ, ১০টি ভোকেশনাল ও অন্যান্য কেন্দ্র।[১৮]

মাদারীপুর সরকারি কলেজ

উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

[সম্পাদনা]
  • মাদারীপুর সরকারি কলেজ (১৯৪৮),
  • ইউনাইটেড ইসলামিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৫০) [সাবেক মাদারীপুর হাইস্কুল (১৮৮৫) ও ইসলামিয়া হাই স্কুল (১৯১৩)],
  • সরকারি রাজৈর গোপালগঞ্জ কে জে এস পাইলট মডেল ইনস্টিটিউশন (১৯২৯),
  • শিবচর নন্দকুমার ইনস্টিটিউশন (১৯১০),
  • ডনোভান সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় (১৯১৪),
  • শশিকর শহীদ স্মৃতি কলেজ (১৯৭৩),
  • সরকারি বরহামগঞ্জ কলেজ (১৯৬৪),
  • রাজৈর ডিগ্রি কলেজ (১৯৭০),
  • সরকারি সুফিয়া মহিলা কলেজ (১৯৮৪),
  • সরকারি শেখ হাসিনা একাডেমি এন্ড উইমেন্স কলেজ (১৯৯৫),
  • মাদারীপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ (১৯৮১),
  • চরমুগুরিয়া কলেজ (১৯৭৮),
  • কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজ (১৯৭২),
  • ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী ডিগ্রি কলেজ]] (১৯৯৯),
  • গোপালপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়
  • কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন একাডেমি
  • কালকিনি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
  • মিঠাপুর এল এন উচ্চ বিদ্যালয় (১৯১৫),
  • শশিকর উচ্চ বিদ্যালয়,(১৯৪৩),
  • মাদারীপুর পাবলিক ইনস্টিটিউশন (১৯৫৩),
  • চরমুগুরিয়া মার্চেন্টস হাই স্কুল (১৯৩১),
  • মস্তফাপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৭২)
  • ঘটকচর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৬৩),
  • আলহাজ্ব আমিনউদ্দিন হাই স্কুল (১৯৭০),
  • খালিয়া রাজারাম ইনস্টিটিউিশন (১৯০০),
  • রাজকুমার এডওয়ার্ড ইনস্টিটিউিশন (১৯০২),
  • মিয়ারহাট উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৭০),
  • কালিনগর উচ্চ বিদ্যালয় (১৯০৪),
  • মহিষমারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (১৯১৮),
  • মাদারীপুর আহমাদিয়া কামিল মাদ্রাসা (১৯৪৯),
  • বাহাদুরপুর শরিয়াতিয়া আলিয়া মাদ্রাসা (১৯৪০),
  • চরনাচনা ফাজিল মাদ্রাসা (১৯১২),
  • বীরমোহন উচ্চ বিদ্যালয় (১৯১৯),
  • বীরমোহন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯৪৭)।
  • শশিকর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯৪২).
  • শিকার মঙ্গল মাধ্যমিক বিদ্যালয়(১৯৮৮)

আবহাওয়া ও জলবায়ু

[সম্পাদনা]

মাদারীপুরের জলবায়ু আর্দ্র ও উষ্ণভাবাপন্ন। জলবায়ুতে মৌসুমী বায়ুপ্রবাহের প্রভাব স্পষ্ট। মাদারীপুরের সর্বোচ্চ গড় তাপমাত্রা ৩৫·৮° সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২·৬° সেলসিয়াস। বার্ষিক বৃষ্টিপাত গড়ে ২,১০৫ মিলিমিটার।

নদীসমূহ

[সম্পাদনা]
পদ্মা নদীতে নৌকা চলাচল
আড়িয়াল খাঁ নদীতে মাছ ধরছে কিশোর

মাদারীপুর জেলায় প্রায় ১০টি নদী আছে। সেগুলো হচ্ছে -

লোকসংস্কৃতি

[সম্পাদনা]

এ জেলায় ত্রিনাথের মেলা, সংক্রান্তি মেলা, রথ মেলা, গণেশ পাগলের কুম্ভ মেলা প্রভৃতির প্রচলন রয়েছে।

লোকসংগীত

[সম্পাদনা]

মাদারীপুরে মূলত গাজীর গান, কীর্তন, পাঁচালি, ধুয়াগান, বাউল গান, প্রবাদ-প্রবচন, ছড়া, ছিলকা, হেয়ালি, ধাঁধা, জারিগান উল্লেখযোগ্যভাবে পরিচিত। এছাড়া জেলার মতুয়া সম্প্রদায় (রাজৈর) দুর্গাপূজায় মতুয়া সঙ্গীতের আয়োজন করে।

যগণমাধ্যম

[সম্পাদনা]

পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী

[সম্পাদনা]
  • দৈনিক: সুবর্ণগ্রাম (১৯৯৮), প্রান্ত (২০০১), মাদারীপুর নিউজ (২০০৬), বিশ্লেষণ (২০০৯), দুরন্ত বার্তা ( ২০১৮) ;
  • সাপ্তাহিক: সুপ্রভাত (১৯৯১), শাহ মাদার (১৯৯৩), শরীয়তউল্লাহ (১৯৯৬), আজকাল (১৯৯৯), গণসচেতনতা (২০০৬), সুবার্তা (২০০৭);
  • মাসিক: যুগচেতনা (১৯৯১), পোস্টার (১৯৯১), শান্তি সাময়িকী (১৯৯২), জাবল-ই-নূর (২০০৫);
  • সাহিত্য পত্রিকা: বুনন, কথন, বৈশাখী, ঊষা, আলো, বোধীবৃক্ষ, অংশু, সন্দীপন, কিশলয়, ক্যানভাস, বর্ণমালা, নবপ্রভাত;
  • অবলুপ্ত: দৈনিক দিগন্ত (১৯৬০), সাপ্তাহিক জননী বাংলা (১৯৭২), সাপ্তাহিক মাদারীপুর বার্তা (১৯৮৬), সাপ্তাহিক আড়িয়াল খাঁ (১৯৮৯), পাক্ষিক বালারঞ্জিকা (১৮৬৩)।

ক্রীড়াঙ্গন

[সম্পাদনা]

মাদারীপুরে ক্রিকেট ও ফুটবল খেলা বেশি জনপ্রিয়। এছাড়াও ব্যাডমিন্টন, এ্যাথলেটিকস্, ভলিবল, সাঁতার, কাবাডি স্বাধীনতার পূর্ব থেকেই এ অঞ্চলে প্রচলিত এবং স্বাধীনতাত্তর টেনিস ও হ্যান্ডবল খেলা প্রচলন হয়েছে। বিভিন্ন খেলার আয়োজনের জন্য শহরে একটি স্টেডিয়াম আছে যা মাদারীপুর স্টেডিয়াম নামে পরিচিত। আঞ্চলিকভাবে হা-ডু-ডু, গোল্লাছুট, বউ ছি, লুকোচুরি খেলা হয়। বাংলাদেশের টেনিস কন্যা নামে খ্যাত "বৈশাখী" জাতীয় টেনিস প্রতিযোগিতায় একাধিকবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। মহিলা হ্যান্ডবলে কয়েকবার আঞ্চলিক ও বিভাগীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জনকরে মাদারীপুর জেলা। মাদারীপুরের সন্তান সিদ্দিকুর রহমান ২০০০ খ্রিষ্টাব্দে ভারতের মুর্শিদাবাদে অনুষ্ঠিত দূরপাল্লার সাঁতারে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। এর আগে ১৯৯২ খ্রিষ্টাব্দে এই সাঁতারু জাতীয় যুব সাঁতারে ৪টি জাতীয় নতুন রেকর্ডসহ মোট ৭ টি স্বর্ণপদক লাভ করেন।[]

অর্থনীতি

[সম্পাদনা]

জনগোষ্ঠীর মোট আয়ের ৬১.৩৩% আসে কৃষিখাত থেকে। তবে বর্তমানে ইউরোপ প্রবাসীর মাদারীপুর জেলার মোট আয়ের ২.৫৯% ও ০.৮৪% আসে যথাক্রমে অকৃষি শ্রমিক ও শিল্পখাত থেকে।কৃষি ও শিল্প ছাড়াও অন্যান্য খাতের আয়- ব্যবসা ১৫.৪৬%, পরিবহন ও যোগাযোগ ২.২৭%, নির্মাণ ১.৭১%, ধর্মীয় সেবা ০.২%, চাকরি ৭.২৫%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.৮৭% এবং অন্যান্য ৭.৪৮%।[]

প্রধান শস্য

[সম্পাদনা]

রপ্তানী পণ্য

[সম্পাদনা]

শিল্প ও বাণিজ্য

[সম্পাদনা]

এ জেলায় শিল্প ও কলকারখানা তেমনভাবে গড়ে উঠেনি। যে কয়টি শিল্প ও কলকারখানা রয়েছে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- (১) মাদারীপুর স্পীনিং মিলস, (২) আলহাজ্জ আমিনউদ্দিন জুট মিলস, (৩) চরমুগরিয়া জুট মিলস, (৪) এ.আর. হাওলাদার জুট মিলস (পরিত্যাক্ত)। এগুলোর মধ্যে শিল্পখাতে মাদারীপুর স্পিনিং মিলস এর অবদান সবচেয়ে বেশি। এ মিলটি ১৯৮৬ সালে ২৯.১৬ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত হয়। এর জনবল ২০০০ জন। এ মিলে বার্ষিক ৫০০০ মে. টন সূতা উৎপাদিত হয় যার আর্থিক মূল্য ৬০ কোটি টাকা। এ ছাড়া এ জেলায় ৬০০০ মে. টন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি কোল্ড স্টোরেজ সহ বেশ কিছু সংখ্যক কাপড়ের কল, ধানকল, তেলকল, বরফকল, বিস্কুট ফ্যাক্টরি ও করাতকল রয়েছে। এছাড়া এ জেলায় একটি ক্ষুদ্র শিল্পনগরী এবং ছোটবড় মিলিয়ে ১১৩টি হাট বাজার রয়েছে।[]

চিত্তাকর্ষক স্থান

[সম্পাদনা]
মাদারীপুর শকুনি দীঘি
রাজারাম মন্দির

যোগাযোগ ব্যবস্থা

[সম্পাদনা]

মাদারীপুর রাজধানী ঢাকা থেকে ৮৯ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। বাংলাদেশের অন্যান্য জেলার সাথে সড়ক ও নৌপথে মাদারীপুরের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো।‌ পদ্মা সেতু চালু হওয়ার ফলে অঞ্চলের সাথে যোগাযোগ ব্যাবস্থার আমূল পরিবর্তন হয়েছে। বর্তমানে ঢাকা থেকে মাদারীপুর যেতে সময় লাগে মাত্র ২ ঘন্টা। যেখানে একটা সময় ২ ঘন্টা ফেরি পারাপারের জন্য বসে থাকতে হতো। বর্তমানে ঢাকা থেকে আব্দুল্লাপুর কেরানীগঞ্জ হয়ে মুন্সিগঞ্জ এর উপর দিয়ে এক্সপ্রেসওয়ে পাড়ি দিয়ে পদ্মা সেতু। আর সেই সেতু পার হলেই মাদারীপুর জেলা শুরু। তবে সদর থানায় যেতে মাঝে পার হতে হয় ভাঙ্গা, বড়ইতলা ও টেকেরহাট। উক্ত মহাসড়ক কে বলা হয় ঢাকা বরিশাল মহাসড়ক।

এন৮ হলো মাদারীপুরের মহাসড়ক এবং আর৮৬০ হলো আঞ্চলিক মহাসড়ক কোড।

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান

[সম্পাদনা]

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জরিপ অনুযায়ী ৩৩৬৬টি মসজিদ এবং ৩৩০টি মন্দির, ৭টি গির্জা ও ৩টি মাজার রয়েছে।

যদিও বা মাদারীপুরে ইসলাম মতাদর্শী বেশি তবুও মাদারীপুরে সকল ধর্মালম্বীরা অসাম্প্রদায়িক একটি পরিবেশে নিজ নিজ ধর্ম পালন করে। প্রত্যেক নাগরিকের নিরাপত্তায় জেলা প্রশাসন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব

[সম্পাদনা]
হাজী শরীয়তুল্লাহ
ড. ফজলুর রহমান খান বাংলাদেশের ডাকটিকিটে

চিত্র সংকলন

[সম্পাদনা]

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বাড়তি পঠন

[সম্পাদনা]

*আনন্দনাথ রায়ের ফরিদপুরের ইতিহাস (সংগ্রহ ও সম্পাদনা: ড. তপন বাগচী), গতিধারা প্রকাশনী, ঢাকা, ২০০৭।

*আনম আবদুস সোবহান, বৃহত্তর ফরিদপুরের ইতিহাস, সূর্যমুখী প্রকাশনী, ফরিদপুর, ১৯৯৬।

*মু. মতিয়ার রহমান, অপ্রভ্রষ্ট অপভ্রংশ শামান্দার : মাদারীপুর জেলার ইতিকথা, গতিধারা প্রকাশনী, ঢাকা, ২০১০।

*বাশার মাহমুদ, শাহমান্দারের ঘাট, গাংচীল প্রকাশনী, ঢাকা, ২০১০।

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "পপুলেশন এন্ড হাউজিং সেন্সাস ২০১১" (পিডিএফ)বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোগণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। জুলাই ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ২২, ২০১৯ 
  2. "মাদারীপুর জেলা"বাংলাপিডিয়া। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-২২ 
  3. মাহমুদ, লিখন (১০ ডিসেম্বর ২০১২)। মাদারিপুর ইতিবৃত্ত। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মাদারিপুর। পৃষ্ঠা ৭। আইএসবিএন 978-984-35-3208-4 
  4. "উত্তর মাদার্শা ইউনিয়ন"বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ২০১৯-১১-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-২২ 
  5. বাশার মাহমুদ (২১ জুলাই ২০১৯)। "যাঁর নামে মাদারীপুর"। দৈনিক সুবর্ণগ্রাম (প্রকাশিত হয় ৭ ডিসেম্বর ২০১৭)। 
  6. "বাঙালির সাংস্কৃতিক ও বৌদ্ধিক ইতিহাস – পর্ব ৫ – অন্যদেশ"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-১৯ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  7. Sailendra Nath Sen (১৯৯৯)। Ancient Indian History and Civilization। New Age International। পৃষ্ঠা 277–287। আইএসবিএন 978-81-224-1198-0 
  8. "মাদারীপুর জেলা"বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-২৪ 
  9. মিয়া, আবদুল জাব্বার (১৯৯৪)। মাদারীপুর জেলা পরিচিতি। মাদারীপুর: মিসেস লীনা জাব্বার। পৃষ্ঠা ৬, ৯। 
  10. রহমান, শেখ মুজিবুর (২০১২)। অসমাপ্ত আত্মজীবনী। ঢাকা: দি ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড। পৃষ্ঠা ৯। আইএসবিএন 978-984-506-059-2 
  11. webdesk@somoynews.tv (২০১৮-১২-০৯)। "১০ ডিসেম্বর মাদারীপুর মুক্ত দিবস"Somoy TV (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-১৯ 
  12. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৪ অক্টোবর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ অক্টোবর ২০২০ 
  13. "AL men appointed administrators"The Daily Star। ১৬ ডিসেম্বর ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ 
  14. "Election Commission Bangladesh - Home page"www.ecs.org.bd 
  15. "বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জানুয়ারি ১, ২০১৯" (পিডিএফ)ecs.gov.bdবাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। ১ জানুয়ারি ২০১৯। ২ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৯ 
  16. "সংসদ নির্বাচন ২০১৮ ফলাফল"বিবিসি বাংলা। ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ 
  17. "একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল"প্রথম আলো। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ 
  18. "জেলা পরিসংখান ২০১১" (পিডিএফ)বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ডিসেম্বর ২০১৩। 
  19. ড. অশোক বিশ্বাস, বাংলাদেশের নদীকোষ, গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ৩৯৭, আইএসবিএন ৯৭৮-৯৮৪-৮৯৪৫-১৭-৯

বাংলাপিডিয়ায় মাদারীপুর জেলা উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

{{bottomLinkPreText}} {{bottomLinkText}}
মাদারীপুর জেলা
Listen to this article

This browser is not supported by Wikiwand :(
Wikiwand requires a browser with modern capabilities in order to provide you with the best reading experience.
Please download and use one of the following browsers:

This article was just edited, click to reload
This article has been deleted on Wikipedia (Why?)

Back to homepage

Please click Add in the dialog above
Please click Allow in the top-left corner,
then click Install Now in the dialog
Please click Open in the download dialog,
then click Install
Please click the "Downloads" icon in the Safari toolbar, open the first download in the list,
then click Install
{{::$root.activation.text}}

Install Wikiwand

Install on Chrome Install on Firefox
Don't forget to rate us

Tell your friends about Wikiwand!

Gmail Facebook Twitter Link

Enjoying Wikiwand?

Tell your friends and spread the love:
Share on Gmail Share on Facebook Share on Twitter Share on Buffer

Our magic isn't perfect

You can help our automatic cover photo selection by reporting an unsuitable photo.

This photo is visually disturbing This photo is not a good choice

Thank you for helping!


Your input will affect cover photo selection, along with input from other users.

X

Get ready for Wikiwand 2.0 🎉! the new version arrives on September 1st! Don't want to wait?