For faster navigation, this Iframe is preloading the Wikiwand page for বগুড়া জেলা.

বগুড়া জেলা

.mw-parser-output .hidden-begin{box-sizing:border-box;width:100%;padding:5px;border:none;font-size:95%}.mw-parser-output .hidden-title{font-weight:bold;line-height:1.6;text-align:left}.mw-parser-output .hidden-content{text-align:left}এই নিবন্ধটি ইংরেজি উইকিপিডিয়ার সংশ্লিষ্ট নিবন্ধ অনুবাদ করে সম্প্রসারণ করা যেতে পারে। (আগস্ট ২০২৪) অনুবাদ করার আগে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশাবলী পড়ার জন্য [দেখান] ক্লিক করুন। ইংরেজি নিবন্ধটির যান্ত্রিক-অনূদিত সংস্করণ এখানে দেখুন। গুগল অনুবাদক আপনার অনুবাদ শুরু করার জন্য সহায়ক, তবে বাংলা উইকিপিডিয়ায় কেবল যান্ত্রিক-অনূদিত পাঠ্য অনুলিপি-প্রতিলেপন করার পরিবর্তে অনুবাদকদের অবশ্যই অনুবাদের ত্রুটিগুলি সংশোধন করতে হবে এবং অনুবাদটি সঠিক কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে। অনির্ভরযোগ্য বা নিম্ন মানের পাঠ্য অনুবাদ করবেন না। যদি সম্ভব হয়, বিদেশী ভাষার নিবন্ধে প্রদত্ত তথ্যসূত্রসহ পাঠ্য যাচাই করুন। অনুবাদ করার পরে, আলাপ পাতায় অবশ্যই ((অনূদিত পাতা|en|Bogra District)) যোগ করুন। নির্দেশিকার জন্য উইকিপিডিয়া:অনুবাদ দেখুন।
বগুড়া জেলা
জেলা
বগুড়া জেলা
উপরে-বাম থেকে ঘড়ির কাঁটার দিকে: খেরুয়া মসজিদ, মাঠ শেরপুর উপজেলা, রাস্তা বগুড়া, সন্নাসির ভিটা ভাসু বিহার, গোকুল মেধ মহাস্থানগড়ে
বাংলাদেশে বগুড়া জেলার অবস্থান
বাংলাদেশে বগুড়া জেলার অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৪°৪৬′৪৮″ উত্তর ৮৯°২১′০″ পূর্ব / ২৪.৭৮০০০° উত্তর ৮৯.৩৫০০০° পূর্ব / 24.78000; 89.35000 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগরাজশাহী বিভাগ
ইউনিয়ন১১১ টি
সদরদপ্তর১ টি
আসন৭ টি
সরকার
 • জেলা প্রশাসকমোঃ সাইফুল ইসলাম
আয়তন
 • জেলা২,৯২০ বর্গকিমি (১,১৩০ বর্গমাইল)
 • মহানগর৭১.৫৬ বর্গকিমি (২৭.৬৩ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)
 • জেলা৩৫,৩৯,২৯৪
 • ক্রম০৬
 • জনঘনত্ব১,২০০/বর্গকিমি (৩,১০০/বর্গমাইল)
সাক্ষরতার হার
 • মোট৬৮.৪%
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
পোস্ট কোড৫৮০০ উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৫০ ১০
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

বগুড়া জেলা বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রাজশাহী বিভাগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উন্নত শহর একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। উপজেলার সংখ্যানুসারে বগুড়া বাংলাদেশের একটি “এ” শ্রেণীভুক্ত জেলা।[] বাংলার একজন স্বাধীন সুলতান (১২৮৭–১২৯১) নাসিরউদ্দিন বুগরা খানের নামানুসারে এই জেলার নামকরণ করা হয়।[] বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গে এক ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন জনপদ গড়ে উঠেছিল এই বগুড়ায়। প্রাচীন পুণ্ড্র রাজ্যের রাজধানী পুণ্ড্রবর্ধনের বর্তমান নাম মহাস্থানগড়, যা বগুড়া জেলায় অবস্থিত এবং এটি একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান হিসেবে পরিচিত। বগুড়াকে উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার ও রাজধানী বলা হয়। এছাড়াও বগুড়া শিক্ষানগরী নামে পরিচিত৷ বগুড়া পৌরসভা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পৌরসভা

অবস্থান ও আয়তন

[সম্পাদনা]

৮৮.৫০ ডিগ্রী পূর্ব থেকে ৮৮.৯৫ ডিগ্রী পূর্ব দ্রাঘিমাংশে এবং ২৪.৩২ ডিগ্রী উত্তর থেকে ২৫.০৭ ডিগ্রী উত্তর অক্ষাংশে বগুড়া সদর উপজেলা অবস্থিত। উত্তরে জয়পুরহাট জেলাগাইবান্ধা জেলা, দক্ষিণে নাটোর জেলাসিরাজগঞ্জ জেলা, পূর্বে যমুনা নদীজামালপুর জেলা, পশ্চিমে নওগাঁ জেলানাটোর জেলা

বগুড়া ভৌগোলিকভাবে ভূমিকম্পের বিপজ্জনক বলয়ে অবস্থিত। তাছাড়া বগুড়া জেলা বরেন্দ্রভূমির অংশবিশেষ যা ধূসর ও লাল বর্ণের মাটির পরিচিতির জন্য উল্লেখ্য।

প্রশাসনিক এলাকাসমূহ

[সম্পাদনা]

বগুড়া জেলা ১৮২১ সালে জেলা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। জেলায় উপজেলার সংখ্যা মোট ১২ টি। পৌর সভার সংখ্যা ১২ টি, ইউনিয়ন রয়েছে মোট ১১১

টি। এছাড়া জেলায় ২,৬৯৫ টি গ্রাম, ১,৭৫৯ টি মৌজা রয়েছে। বগুড়া জেলার উপজেলা গুলি হল -

সংসদীয় আসন

[সম্পাদনা]

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

খ্রিষ্টপূর্ব ৪র্থ শতকে বগুড়া মৌর্য শাসনাধীনে ছিল। মৌর্য এর পরে এ অঞ্চলে চলে আসে গুপ্তযুগ । এরপর শশাংক, হর্ষবর্ধন, যশোবর্ধন পাল, মদন ও সেনরাজ

সুলতান গিয়াস উদ্দিন বলবনের পুত্র সুলতান নাসির উদ্দিন বগড়া ১,২৭৯ থেকে ১,২৮২ পর্যন্ত এ অঞ্চলের শাসক ছিলেন। তার নামানুসারে এ অঞ্চলের নাম হয়েছিল বগড়া (English:Bogra)। ইংরেজি উচ্চারন 'বগড়া' হলেও বাংলায় কালের বিবতর্নে নামটি পরিবর্তিত হয়ে 'বগুড়া' শব্দে পরিচিতি পেয়েছে। ২ এপ্রিল ২০১৮ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) বৈঠকে বগুড়ার ইংরেজি নাম Bogura করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

জনসংখ্যা উপাত্ত

[সম্পাদনা]

২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী জেলার মোট জনসংখ্যা ৩৫,৩৯,২৯৪ জন। এর মধ্যে ১৭,৭৮,৫২৯ জন পুরুষ এবং ১৭,৬০,৭৬৫ জন নারী। জেলার সাক্ষরতার হার ৪৯.৪৬%। উত্তরবঙ্গের ১৬ টি জেলার মধ্য জনসংখ্যায় বৃহত্তম জেলা হচ্ছে বগুড়া। এবং সারা বাংলাদেশে ষষ্ঠ বৃহত্তম জেলা।

শিক্ষা

[সম্পাদনা]

বগুড়া জেলা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দিক দিয়ে অনেক উন্নত। এ জেলায় রয়েছে উত্তরবঙ্গের ১ম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পুন্ড্র ইউনিভার্সিটি অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজি (রংপুর রোড,গোকুল,বগুড়া)। এছাড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ, বগুড়া বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। অত্র জেলায় ১ টি সরকারি মেডিকেল কলেজ (শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ), ১টি বেসরকারী মেডিকেল কলেজ, ১টি বেসরকারী প্রকৌশল কলেজ [১] ৮ টি সরকারি কলেজ,১ টি 'ল' (আইন) কলেজ,১টি সরকারি মাদরাসা, ৭৬ টি বেসরকারি কলেজ, ১,৫৬৮ টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৪০২ টি বেসরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১,৫৬৮ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২৩ টি বেসরকারী প্রথমিক বিদ্যালয়, ১ টি সরকারি পলিটেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট, ১ টি ভিটিটিআই, ২ টি পিটিআই, ১ টি টিটিসি ও ১ টি আর্টকলেজ, ১ টি আইএইচটি রয়েছে।[]

চিকিৎসা

[সম্পাদনা]
শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

জেলায় মান সম্মত চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য রয়েছে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল যা ১৯৯১ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে । জেলায় সরকারি হাসপাতালের সংখ্যা ১৭ টি এবং এতে চিকিৎসার জন্য বেড রয়েছে ১,২৮০ টি। অনুমোদিত ডাক্তারের জন্য ৩০৬ টি পদ রয়েছে যার মধ্যে ১২১ জন কর্মরত রয়েছে। মোট বেসরকারী হাসপাতাল রয়েছে ১৫৫ টি যেখানে বেড সংখ্য ১,৫০০টি (প্রায়)। []

অর্থনীতি

[সম্পাদনা]

জেলার অর্থনীতি শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য ও কৃষি নির্ভরশীল।

জেলার প্রধান কৃষি পণ্য গুলো হলো ধান, পাট, আলু, মরিচ, গম, সরিষা, ভুট্টা, কলা সবজি, আখ ইত্যাদি। মোট চাষযোগ্য জমির পরিমাণ ২,২৩,৪১০ হেক্টর। পতিত জমি ৫,৩৪৩ হেক্টর। মাথাপিছু জমির পরিমাণ ০.২১ হেক্টর। জেলায় খাদ্য দ্রব্য সংরক্ষণের জন্য ২৯ টি হিমাগার রয়েছে।[]

শিল্প

[সম্পাদনা]

বগুড়া জেলায় ১২০ টি বড় শিল্প কারখানা, ১৯ টি মাঝারি শিল্প কারখানা, ২৩৫১ টি ক্ষুদ্র শিল্প এবং ৭৪৫ টি কৃষি ভিত্তিক শিল্প রয়েছে।[] বগুড়ায় তৈরি হয় প্রায় ২ হাজার রকমের হালকা প্রকৌশল ও কৃষি যন্ত্রপাতি।দেশের কৃষি যন্ত্রপাতির বার্ষিক চাহিদার প্রায় ৮০ শতাংশ পূরণ করে এখানকার কারখানাগুলো, যার আর্থিক মূল্য এক হাজার কোটি টাকা।[]

রপ্তানী পণ্য

[সম্পাদনা]

কৃষিজাত পণ্যের মধ্যে রয়েছে আলু, মরিচ, ভুট্টা, ও শাক সবজি। এসব পণ্য নেপাল, ভারতসহ অনেক দেশে রপ্তানি হয়। পাটজাত পণ্যের মধ্যে রয়েছে পাটের সুতা, সুতলি ও পাটের ব্যাগ। শেরপুর ও কাহালু উপজেলার গ্রামীণ নারীদের তৈরি নানা ধরনের হস্তশিল্প পণ্য রপ্তনি হয় জার্মানি, সুইডেন, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, ইংল্যান্ড, ইতালি, নরওয়ে, অস্ট্রেলিয়াসহ ইউরোপের ১৮টি দেশে। বগুড়ায় তৈরি বিশেষ ধরনের পোশাক সৌদি আরব, কাতার, দুবাইসহ কয়েকটি দেশে রপ্তানি হয়। শেরপুর, ধুনট উপজেলার শতাধিক গ্রামে নারীদের তৈরি জালি সৌদি আরব, ইরাক, ইরান, দুবাই, ভারতপাকিস্তানসহ অনেক দেশে রপ্তানি হয়।

সেচপাম্প রপ্তানির মধ্য দিয়ে বগুড়ায় উৎপাদিত যান্ত্রিক পণ্যে বিদেশে রপ্তানি শুরু হয়। রপ্তানিকৃত যন্ত্রাংশের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে সেচপাম্প ও এর যন্ত্রাংশ, লাইনার, ধানমাড়াইয়ের যন্ত্র, ডিজিটাল স্কেল, ট্রান্সফরমার এবং টিউবওয়েল। বর্তমানে বগুড়ার পণ্য ভারত, নেপাল ছাড়াও ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য, অস্ট্রেলিয়া, চীন, জাপানসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের বাজারে যাচ্ছে।

২০১৯ সালে ভারতনেপালের বাজারে রপ্তানি হয়েছে প্রায় সোয়া সাত কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য। এর বড় একটি অংশ এসেছে রাইস ব্র্যান অয়েল থেকে।[]

চিত্তাকর্ষক স্থান

[সম্পাদনা]

যোগাযোগ ব্যবস্থা

[সম্পাদনা]

বগুড়াকে উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার বলা হয়। মূলত ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গের বেশির ভাগ জেলায় যেতে বগুড়াকে অতিক্রম করতে হয় বলেই এরকম বলা হয়ে থাকে। বগুড়ার যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত মানের। ট্রেন এবং বাস উভয় ব্যবস্থায় ঢাকা থেকে আসা যায়। জেলায় মোট রাস্তার পরিমাণ ৬,০৪১ কিলোমিটার। এর মধ্যে পাকা রাস্তা রয়েছে ২,৩১০ কিলোমিটার এবং কাঁচা রাস্তা রয়েছে ৩,৭৩১ কিলোমিটার। এছাড়াও জেলার উপর দিয়ে ৯০ কিলোমিটার রেলপথ রয়েছে

সড়ক পথ

[সম্পাদনা]

ঢাকা - বাংলাবান্ধা মহাসড়কটি (এন৫) বগুড়া জেলার একেবারে মধ্যভাগ দিয়ে শেরপুর, শাহজাহানপুর, বগুড়া সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলা দিয়ে চলে গেছে। ভারী এবং দূর পাল্লার যানবাহন চলাচলের জন্য মূল সড়কের পাশাপাশি রয়েছে প্রশস্ত দুটি বাইপাস সড়ক। প্রথমটি ১ম বাইপাস নামে পরিচিত শহরের পশ্চিম দিকে মাটিডালি থেকে শুরু হয়ে বারপুর, চারমাথা, তিনমাথা রেলগেট, ফুলতলা হয়ে বনানীতে গিয়ে শেষ হয়েছে। দ্বিতীয়টি ২য় বাইপাস নামে পরিচিত যা ২০০০ সালের পরবর্তীকালে নির্মিত হয়। দ্বিতীয় বাইপাসটি মাটিডালি থেকে শুরু হয়ে শহরের পূর্ব পাশদিয়ে জয়বাংলা বাজার, সাবগ্রাম হয়ে বনানীতে গিয়ে মুল সড়কের সাথে মিলিত হয়েছে। এছাড়া নাটোর, পাবনা, রাজশাহী সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলা গুলোর সাথে যোগাযোগের জন্য একটি আলাদা মহাসড়ক রয়েছে যা নন্দীগ্রাম উপজেলার মধ্যদিয়ে নাটোরের সাথে সংযুক্ত। নওগাঁ জেলার সাথে যোগাযোগের জন্য চারমাথা থেকে আরেকটি সংযোগ সড়ক কাহালু, দুপচাঁচিয়া, সান্তাহারের মধ্য দিয়ে নওগাঁয় গিয়ে শেষ হয়েছে। এছাড়া বগুড়া জয়পুরহাট জেলাকে সংযুক্ত করার জন্য রয়েছে মোকামতলা হতে আলাদা সড়ক ব্যবস্থা।

বগুড়া জেলার সর্ব পশ্চিমে রয়েছে সান্তাহার রেলওয়ে জংশন স্টেশন। বাংলাদেশ রেলওয়ের ব্রডগেজ লাইন নাটোর থেকে জয়পুরহাট পর্যন্ত সান্তাহারের উপর দিয়ে চলে গেছে। এছাড়া সান্তাহার থেকে একটি মিটারগেজ লাইন আদমদিঘী, তালোড়া, কাহালু, বগুড়া শহর, গাবতলী, সুখানপুকুর, সোনাতলা হয়ে রংপুর, গাইবান্ধা, লালমনিরহাটকে সংযুক্ত করেছে।

আকাশ পথ

[সম্পাদনা]

বগুড়ার একমাত্র বিমানবন্দরটি[] বগুড়া সদর উপজেলার এরুলিয়া নামক স্থানে অবস্থিত। তবে বিমান বন্দরটি বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণের কাজে ব্যবহৃত হয়।

ঐতিহ্যবাহী উৎসব

[সম্পাদনা]

পোড়াদহ মেলা

[সম্পাদনা]
পোড়াদহ মেলা

বগুড়ার ঐতিহ্যবাহী মেলার মধ্যে পোড়াদহ মেলা[] উল্লেখযোগ্য। বগুড়া শহর হতে ১১ কিলোমিটার পূর্বদিকে ইছামতি নদীর তীরে পোড়াদহ নামক স্থানে সন্ন্যাসী পূজা উপলক্ষ্যে প্রতি বছর এ মেলা হয়ে আসছে। পোড়াদহ নামক স্থানে মেলা বসে তাই নাম হয়েছে পোড়াদহ মেলা। কথিত আছে, প্রায় সাড়ে চারশত বছর পূর্বে থেকে সন্ন্যাসী পূজা উপলক্ষ্যে এই মেলা হয়ে আসছে। প্রতিবছর মাঘ মাসের শেষ দিনের পরবর্তী বুধবারে এই মেলা হয়ে আসছে। মেলার প্রধান আকর্ষণ বড় মাছ আর বড় মিষ্টি। এছাড়াও থাকে নারীদের প্রসাধন, ছোটদের খেলনা, কাঠ ও স্টিলের আসবাব ও দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি। মেলা প্রধানত একদিনের হলেও উৎসব চলে তিনদিন ব্যাপী। বুধবার মূল মেলার পরদিন বৃহস্পতিবার একই স্থানে এবং একই সাথে আশেপাশের গ্রামে গ্রামে চলে বউ মেলা। যেহেতু অনেক মেয়েরা মূল মেলায় ভিড়ের কারণে যেতে পারে না তাই তাদের জন্যই এই বিশেষ আয়োজন। বউ মেলায় শুধু মেয়েরা প্রবেশ করতে পারে এবং কেনাকাটা করতে পারে।

খাউড়া মেলা

[সম্পাদনা]
বগুড়ার শাজাহানপুরে ৩০০ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী খাউড়া মেলা বা ছোট সন্ন্যাসী মেলা।

খাউড়া মেলা বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের একটি প্রাচীন লোকজ মেলা। বগুড়া জেলা শহর হতে ১৩ কিলোমিটার পূর্বদিকে খাউড়া দহ নামক স্থানে প্রতি বছর যে মেলা বসে তাই খাউড়া মেলা নামে পরিচিত। একে ছোট সন্ন্যাসী মেলা বলেও ডাকা হয়। বাংলাদেশে গ্রামীণ মেলাসেমূহের মধ্যে বগুড়ার খাউড়া মেলা অন্যতম। মেলাটি প্রায় ৩শত বছর পূর্বে শুরু হয় বলে ধারণা করা হয়। প্রতিবছর ফাল্গুন মাসের প্রথম বুধবার শাজাহানপুরের জালশুকা গ্রামের খাউড়া দহে অনুষ্ঠিত এ মেলা। মেলাটি এ এলাকার প্রায় ৩শ’ বছরের ঐতিহ্য।

কেল্লাপোষী মেলা

[সম্পাদনা]

বগুড়ার শেরপুরে ৪৫৭ বছর পূর্ব থেকে এ মেলা হয়ে আসছে। মেলার তারিখ প্রতিবছর জৈষ্ঠ মাসের দ্বিতীয় রোববার।[]

শীবের মেলা

গাংনগরের ৪০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী শীবের মেলা।

উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব

[সম্পাদনা]

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "জেলাগুলোর শ্রেণি হালনাগাদ করেছে সরকার"। বাংলানিউজ২৪। ১৭ আগস্ট ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১ নভেম্বর ২০২০ 
  2. বগুড়া জেলা পরিষদ (২০২৩-০৪-০৬)। "(বগুড়া) জেলার পটভূমি"www.bogra.gov.bd। ২০২৩-০৪-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-১৫ 
  3. "একনজরে বগুড়া জেলা"।  Authors list-এ |প্রথমাংশ1= এর |শেষাংশ1= নেই (সাহায্য);
  4. বগুড়ায় তৈরি হচ্ছে ২ হাজার রকমের যন্ত্রপাতি, প্রথম আলো, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২
  5. "বগুড়া থেকে রপ্তানি ৬০৭ কোটি টাকা"। ২০২০-০১-১৩। Archived from the original on ২০২০-০১-১৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-২০ 
  6. "এক নজরে বগুড়া জেলা"Time Corporation। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ মে ২০১৫ 
  7. "ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহ মেলা কাল॥ বউ মেলা বৃহস্পতিবার - daily nayadiganta"The Daily Nayadiganta [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  8. "বগুড়ার শেরপুরে জামাইবরণ মেলা শুরু আজ"amardeshonline.com। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ মে ২০১৫ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]
{{bottomLinkPreText}} {{bottomLinkText}}
বগুড়া জেলা
Listen to this article

This browser is not supported by Wikiwand :(
Wikiwand requires a browser with modern capabilities in order to provide you with the best reading experience.
Please download and use one of the following browsers:

This article was just edited, click to reload
This article has been deleted on Wikipedia (Why?)

Back to homepage

Please click Add in the dialog above
Please click Allow in the top-left corner,
then click Install Now in the dialog
Please click Open in the download dialog,
then click Install
Please click the "Downloads" icon in the Safari toolbar, open the first download in the list,
then click Install
{{::$root.activation.text}}

Install Wikiwand

Install on Chrome Install on Firefox
Don't forget to rate us

Tell your friends about Wikiwand!

Gmail Facebook Twitter Link

Enjoying Wikiwand?

Tell your friends and spread the love:
Share on Gmail Share on Facebook Share on Twitter Share on Buffer

Our magic isn't perfect

You can help our automatic cover photo selection by reporting an unsuitable photo.

This photo is visually disturbing This photo is not a good choice

Thank you for helping!


Your input will affect cover photo selection, along with input from other users.

X

Get ready for Wikiwand 2.0 🎉! the new version arrives on September 1st! Don't want to wait?