স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সংক্ষেপে | স্বাচিপ |
---|---|
প্রতিষ্ঠিত | ২৪ নভেম্বর ১৯৯৩ |
সদরদপ্তর | ঢাকা, বাংলাদেশ |
সদস্য | ১৩৫০০+ |
সভাপতি | জামাল উদ্দিন চৌধুরী |
মহাসচিব | কামরুল হাসান মিলন |
প্রধান প্রতিষ্ঠান | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
ওয়েবসাইট | swachip |
স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সমর্থক চিকিৎসকদের সংগঠন। এর বর্তমান সভাপতি জামাল উদ্দিন চৌধুরী ও মহাসচিব কামরুল হাসান মিলন।[১][২] তৎকালীন আওয়ামী লিগ সরকারের সাথে মিলে এই সংগঠন বাংলাদেশের চিকিৎসা ক্ষেত্রে অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। স্বাস্থ্যখাতকে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও বাণিজ্যে রূপান্তরের পেছনে স্বাচিপকে দায়ী করা হয়।
ইতিহাস
১৯৯৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর স্বাচিপ গঠিত হয়। স্বাচিপের প্রতিষ্ঠাকালে অধ্যাপক এম, এ, কাদেরী সভাপতি ও মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব লাভ করেন।< name=":0">"সময়মতো সম্মেলন হয় না আ.লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোর | banglatribune.com"। Bangla Tribune। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-০৭।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]</ref> ২০০৩ সালের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে অধ্যাপক আ ফ ম রুহুল হক সভাপতি ও অধ্যাপক এম ইকবাল আর্সলান মহাসচিব নির্বাচিত হন।[৩] ২০১৫ সালে ১৩ নভেম্বর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে স্বাচিপের চতুর্থ জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।[৪][৫][৬] শেখ হাসিনা সম্মেলনে কমিটির ভার স্বাচিপের নেতৃবৃন্দের ওপর ছেড়ে দেন। পরবর্তীতে এম ইকবাল আর্সলান সভাপতি ও এম এ আজিজ মহাসচিব নির্বাচিত হন।[৭]
দুর্বৃত্তায়নে স্বাচিপ
স্বাস্থ্যখাতে দুর্বৃত্তায়ন ও অদক্ষ লোককে গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়ে স্বাস্থ্যখাতের দুর্দশা বাড়িয়েছে স্বাচিপ। দক্ষ মানুষকে শুধুমাত্র ভিন্ন রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে হেনস্থা, বাজে জায়গায় বদলি, চাকরি ত্যাগে বাধ্য করা সহ বহু অপকর্মে এই সংগঠন জড়িত। স্বাচিপের প্রত্যক্ষ মদদে সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো ছাত্রলীগ ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে ও শিক্ষার্থীদের নির্যাতন, নিপীড়ন করে থাকে।
সাংগঠনিক কাঠামো
সম্মেলনের মাধ্যমে স্বাচিপের কেন্দ্রীয় কমিটি নির্বাচিত হয়। স্বাচিপের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রতি দুই বছরে একবার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার বিধান আছে। তবে সূচনাকাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত মাত্র চারটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতি ও মহাসচিব সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদে সরাসরি নির্বাচনের সুযোগ আছে।[৮] ২০১৫ সালের ১৯ অক্টোবর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সংখ্যা ১০১ থেকে বাড়িয়ে ১৫১ করা হয়।[৮] এছাড়া স্বাচিপের বিভিন্ন আঞ্চলিক শাখা রয়েছে।
তথ্যসূত্র
- ↑ "স্বাচিপের নতুন সভাপতি জামাল উদ্দীন, মহাসচিব কামরুল হাসান"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-০৭।
- ↑ "দৈনিক প্রথম আলো || স্বাচিপের নতুন সভাপতি জামাল উদ্দীন, মহাসচিব কামরুল হাসান"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১১-২৫।
- ↑ "দলবাজিতে বিপর্যস্ত স্বাচিপ"। samakal.com। ২০২২-০৫-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-০৭।
- ↑ "নেতৃত্ব পেতে শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় স্বাচিপ | জাতীয় | The Daily Ittefaq"। archive1.ittefaq.com.bd। ২০২২-০১-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-০৭।
- ↑ প্রতিবেদক, জ্যেষ্ঠ; ডটকম, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর। "নেতৃত্ব পেতে 'নেত্রীর' সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় স্বাচিপ"। bangla.bdnews24.com। ২০২২-০১-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-০৭।
- ↑ "স্বাচিপের জাতীয় সম্মেলন ও নির্বাচন আজ"। archive1.ittefaq.com.bd। ২০২২-০১-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-০৭।
- ↑ "স্বাচিপের সভাপতি ইকবাল আর্সলান, আব্দুল আজিজ মহাসচিব"। সমকাল। ২০২২-০৫-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-০৭।
- ↑ ক খ "স্বাচিপের জাতীয় সম্মেলন ও নির্বাচন আজ | শেষ পাতা | The Daily Ittefaq"। archive1.ittefaq.com.bd। ২০২২-০১-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-০৭।
Text is available under the CC BY-SA 4.0 license; additional terms may apply.
Images, videos and audio are available under their respective licenses.