মাজহার আলী কাদেরী
ডাক্তার মাজহার আলী কাদেরী | |
---|---|
বিএসএমএমইউর প্রথম উপাচার্য | |
কাজের মেয়াদ ৩০ এপ্রিল ১৯৯৮ – ৯ জানুয়ারী ২০০১ | |
পূর্বসূরী | পদ সৃষ্টি |
উত্তরসূরী | মো. তাহির |
পাবনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ২০০০ – ২৮ অক্টোবর ২০০১ | |
পূর্বসূরী | রফিকুল ইসলাম বকুল |
উত্তরসূরী | আব্দুস সুবহান |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ১ অক্টোবর ১৯৪১ |
মৃত্যু | ২৯ জুলাই ২০০৪ | (বয়স ৬২)
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় |
মাজহার আলী কাদেরী (১ অক্টোবর ১৯৪১ — ২৯ জুলাই ২০০৪) যিনি এম এ কাদেরী নামে বেশি পরিচিত। ছিলেন বাংলাদেশের একজন চিকিৎসক ও রাজনীতিবিদ। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য। পাবনা-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য তিনি।[১][২]
প্রাথমিক জীবন
[সম্পাদনা]এম এ কাদেরী ১ অক্টোবর ১৯৪১ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৫৭ সালে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ম্যাট্রিকুলেশন, ১৯৫৯ সালে আইএসসি পাস করার পর এমবিবিএসে ভর্তি হন। ১৯৬৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত এমবিবিএস ফাইনাল পরীক্ষায় সারা দেশের মধ্যে স্বর্ণপদকসহ প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করেন।
১৯৬৮ সালে চিকিৎসা বিজ্ঞানের উচ্চতর শিক্ষার জন্য ডা. এম এ কাদেরী বিলাত যান এবং গজঈচ ডিগ্রি অর্জন করেন।
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]এম এ কাদেরী ১ জানুয়ারি ১৯৬৫ সাল থেকে ২৯ এপ্রিল ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে হাউস সার্জন, সিনিয়র হাউস সার্জন ও ইমারজেন্সি মেডিকেল অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি তৎকালীন আইপিজিএমআর এ মেডিসিনের অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৮ সালে আইপিজিএমআর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত হলে তিনি প্রথম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন।[৩][৪][৫]
রাজনৈতিক জীবন
[সম্পাদনা]কাদেরী ১৯৯৩ সালে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির দায়িত্ব লাভ করেন।[৬]
২০০০ সালে সড়ক দুঘর্টনায় পাবনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য রফিকুল ইসলাম বকুলের মৃত্যুতে আসন শূন্য হলে তিনি উপনিবার্চনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[৭]
মৃত্যু
[সম্পাদনা]এম এ কাদেরী ২৯ জুলাই ২০০৪ সালে মৃত্যুবরণ করেন।[৮]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ পাবনা প্রতিনিধি, আখতারুজ্জামান আখতার (২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮)। "আ'লীগে প্রার্থী ৮, বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে কাড়াকাড়ি"। দৈনিক যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ৫ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনঃ প্রিন্স ভোটের মাঠে, শিমুল জেলে"। দৈনিক যায়যায়দিন। ২৩ অক্টোবর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৫ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "চিকিৎসায় উচ্চশিক্ষার ভরসাস্থল"। সমকাল (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-০৪-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-০৭।
- ↑ "বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি"। Jugantor। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-০৭।
- ↑ "একজন ভালো শিক্ষকের যতো গুণ থাকা দরকার, অধ্যাপক ডা. এম এ কাদেরীর মাঝে সবগুলোই ছিলো"। www.amadershomoy.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-০৭।
- ↑ "সময়মতো সম্মেলন হয় না আ.লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোর | banglatribune.com"। Bangla Tribune। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-১০।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "৭ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "রোগীরা যেন দেশেই চিকিৎসা পায়: বিএসএমএমইউ উপাচার্য"। ঢাকাটাইমস। ২৯ জুলাই ২০২১। ১১ জুন ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুন ২০২৪।
Text is available under the CC BY-SA 4.0 license; additional terms may apply.
Images, videos and audio are available under their respective licenses.