For faster navigation, this Iframe is preloading the Wikiwand page for ইলেকট্রনিক ভয়েস ফেনোমেনা.

ইলেকট্রনিক ভয়েস ফেনোমেনা

এই নিবন্ধটিতে কোনো উৎস বা তথ্যসূত্র উদ্ধৃত করা হয়নি। দয়া করে নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে তথ্যসূত্র প্রদান করে এই নিবন্ধটির মানোন্নয়নে সাহায্য করুন। তথ্যসূত্রবিহীন বিষয়বস্তুসমূহ পরিবর্তন করা হতে পারে এবং অপসারণ করাও হতে পারে।উৎস খুঁজুন: "ইলেকট্রনিক ভয়েস ফেনোমেনা" – সংবাদ · সংবাদপত্র · বই · স্কলার · জেস্টোর (মার্চ ২০১০)
ইলেকট্রনিক ভয়েস ফেনোমেনা

ইলেকট্রনিক ভয়েস ফেনোমেনা (Electronic Voice Phenomena - ইভিপি) বিভিন্ন ইলেকট্রনিক যন্ত্রে ধারণকৃত এমন ধরনের শব্দ বা কণ্ঠস্বর যাকে বর্তমান ভৌত নীতিসমূহ দ্বারা ব্যাখ্যা করা যায়না। এ ধরনের কন্ঠস্বরগুলো সাধারণত খুবই ছোট ধরনের বাক্য বা শব্দের উচ্চারণ হয়ে থাকে। এই কণ্ঠস্বরগুলো বাস্তব পরিস্থিতি, পরিবেশ বা ঘটনার প্রতিক্রিয়া বা সেগুলো সম্বন্ধে মন্তব্য হিসেবে প্রকাশিত হয়ে থাকে। মানব কণ্ঠস্বর ধারণ করতে পারে এমন যেকোন ধরনের যন্ত্রে ইভিপি ধারণের প্রমাণ পাওয়া গেছে, অর্থাৎ এ ধরনের যেকোন ধারণক্ষম যন্ত্রে ইভিপি ধরা পড়তে পারে। তবে মূলত বিভিন্ন অডিও রেকর্ডিং যন্ত্র এবং অডিও রেকর্ডিংয়ের কম্পিউটার সফ্‌টওয়ারের সাহায্যে এই ধারণগুলো করা হয়। মৌলিক ইভিপিগুলো রেকর্ডিংয়ের সময় শোনা যায়না বরং ধারণকৃত শব্দ বা কণ্ঠস্বর যখন প্লেব্যাক করা হয় তখন শোনা যায়।

এই কণ্ঠস্বর বা শব্দগুলোর উৎস কি বা এদের গঠন প্রক্রিয়া কি ধরনের তা নিয়ে বিস্তর গবেষণার সুযোগ রয়েছে। ইভিপির বৈশিষ্ট্য এবং তত্ত্বসমূহ পর্যালোচনার জন্য বিভিন্ন মতবাদ রয়েছে। এর মধ্যে সারভাইভাল প্রকল্প দ্বারা এর বৈশিষ্ট্যসমূহ সবচেয়ে সুন্দরভাবে বর্ণনা করা সম্ভব। কিন্তু এর বিপরীতেও অনেক তত্ত্ব ও মত রয়েছে। একটি ধারণামতে ইভিপি এক্সপেরিমেন্টারের কোন একটি ইথারীয় (ভৌত নয় এমন) সত্তার মাধ্যমেই এই কণ্ঠস্বরের সৃষ্টি হয়। অন্য একটি মত হল: প্রত্যেক জীবিত মানুষেরই জৈবিকভাবে বিবর্তিত সতর্কতা বা অবগতি রয়েছে যা দৈহিক মৃত্যুর পরও টিকে থাকে। এবি এই বিবর্তিত সচেতনতাটিই ইলেকট্রনিক যন্ত্রের মাধ্যমে চিহ্নিত করা যায়। এই তত্ত্বটিকে কোয়ান্টাম-হলোগ্রাফিক প্রকল্প বলা হয়।

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

১৯২০-এর দশকে প্রথম ইভিপি চিহ্নিতকরণের প্রমাণ পাওয়া গেছে। বিখ্যাত মার্কিন বিজ্ঞান সাময়িকী সাইন্টিফিক আমেরিকানকে প্রদত্ত এক সাক্ষাৎকারে বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসন মৃত ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগ স্থাপনের ব্যাপারে তার মতামত ব্যক্ত করেছিলেন। এডিসন বলেছিলেন, "এমন একটি যন্ত্র তৈরি করা সম্ভব হতে পারে যা এতোটাই নিপুণ হবে যে, যদি আমাদের অজ্ঞাতে অন্য কোন অস্তিত্বে বা পরিমণ্ডলে কোন ব্যক্তিত্ব থেকে থাকে যারা আমাদের সাথে যোগাযোগ স্থাপনের ব্যাপারে আগ্রহী, তাহলে এই যন্ত্রটি অন্ততপক্ষে তাদেরকে অপেক্ষাকৃত উত্তম একটি সুযোগ করে দেবে যাতে তারা নিজেদেরকে আমাদের কাছে তুলে ধরতে পারে। এই পদ্ধতিটি তথাকথিত টিটলিং টেবিল, র‌্যাপ এবং ওউইজা বোর্ড যেগুলো বর্তমানে এ ধরনের যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে তাদের থেকে ভাল সমাধান দেবে।" অবশ্য এডিসন এমন কোন যন্ত্র তৈরি করেছিলেন কি-না তা সম্বন্ধে সুস্পষ্ট কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ন্যাশনাল পার্ক সার্ভিসের ওয়েবসাইট থেকে এ সম্বন্ধে এডিসন সম্বন্ধে কিছু কথা পাওয়া যায়:

১৯৩৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় বসবাসকারী Attila von Szalay নামক একজন ব্যক্তি প্রথম প্যারানরমাল কণ্ঠস্বর ধারণ শুরু করেন। ১৯৫০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে রেইমন্ড বেইলেস নামক আরেক ব্যক্তি তার সাথে যোগ দেন। নতুন টেপ রেকর্ডারের সাহায্যে তারা একসাথে ইভিপির প্রচুর নমুনা সংগ্রহ করেন এবং আমেরিকান সোসাইটি ফর ফিজিক্যাল রিসার্চের জার্নালে এর ফলাফল প্রকাশ করেন। ইভিপির বিষয়টি জনসমক্ষে নিয়ে আসার ব্যাপারে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখেন Friedrich Jürgenson নামক একজন রাশিয়ান বংশোদ্ভূত সুয়েডীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা। তিনি ১৯৫৯ সালের কোন এক সময় তার টেপরেকর্ডারে পাখির কলতানের শব্দ ধারণ করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তিতে এই শব্দ প্লেব্যাক করার সময় মানুষের কণ্ঠস্বরের শব্দ শুনতে পান। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি আরও শব্দ রেকড শুরু করেন এবং একসময় তার মৃত মায়ের কাছ থেকে কণ্ঠস্বরের মাধ্যমে একটি বার্তা পান।

Jürgenson-এর কাছ থেকে প্রথম যিনি ইভিপি বিষয়ে শিক্ষা লাভ করেছিলেন তিনি হলেন Konstantin Raudive। ইনিই প্রথম ইংরেজিভাষী জনগণের কাছে ইভিপির বিষয়টি নিয়ে আসেন। এক্ষেত্রে তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল কলিন স্মিথ রচিত ব্রেকথ্রো নামক বইটি প্রকাশ করা। এতে সমগ্র বিশ্ব ইভিপির পরিচয় জানতে পারে। কলিন স্মিথ ইলেকট্রনিক ভয়েস ফেনোমেনা নামটি প্রথম ব্যবহার করেছিলেন। এর আগে এ ধরনের শব্দের কোন সুনির্দিষ্ট নাম ছিলনা। অবশ্য একে Raudive Voice নামে ডাকা হতো। কারণ তখন পর্যন্ত Raudiveই সবচেয়ে বেশি ইভিপি ধারণ করতে সক্ষম হয়েছিলেন।

ইভিপির বৈশিষ্ট্য

[সম্পাদনা]

এখানে উল্লেখিত ইভিপির বৈশিষ্ট্যসমূহ দেয়ার ইজ নো ডেথ অ্যান্ড দেয়ার ইজ নো ডেড নামক গ্রন্থ থেকে নেয়া হয়েছে। সংজ্ঞা অনুসারে ইভিপি হল এক ধরনের অপ্রত্যাশিত কন্ঠস্বর যা অ্যানালগ বা ডিজিটাল মাধ্যম দ্বারা রেকর্ডকৃত এবং বর্তমান ভৌত নীতি দ্বারা যা ব্যাখ্যা করা যায় না। এগুলো এতোটাই সর্বব্যাপী যে, মানুষের কণ্ঠের কম্পাঙ্ক রেকর্ড করতে সক্ষম যেকোন যন্ত্র ব্যবহার করেই তা রেকর্ড করা সম্ভব হয়েছে। এমনকি রেকর্ডের জন্য কোন সময়ের বাধ্যবাধ্যকতাও ছিলনা। পরীক্ষক, রেকর্ড করার পরিবেশ এবং ব্যবহৃত কৌশলের উপর ভিত্তি করে ইভিপির বৈশিষ্ট্য পরিবর্তিত হয়। নিচের বৈশিষ্ট্যগুলো দ্বারা মূলত ইভিপির শব্দ এবং ঘটনার সময়কার কণ্ঠের প্রকৃতির ধারণা পাওয়া যায়:

ইভিপির বৈশিষ্ট্যসমূহ অনন্য।
কম্পাঙ্কের নির্দিষ্ট ব্যাপ্তী রয়েছে।
কিছু মৌলিক কম্পাঙ্ক পাওয়া যায়না।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  • আমেরিকান সোসাইটি অফ ইলেকট্রনিক ভয়েস ফেনোমেনা সংস্থাটি ইংরেজি উইকিপিডিয়ার নিবন্ধটি অপসারণ করে তাদের তৈরি করা একটি নিবন্ধ সংযোজনের আবেদন জানিয়েছে। তাদের সাইটে প্রস্তাবিত নিবন্ধটি দেয়া আছে যার কোন কপিরাইট নেই। সেখান থেকেই হুবহু অনুবাদ করা হচ্ছে। প্রস্তাবিত নিবন্ধটি ইংরেজিতে দেখতে হলে এখানে ক্লিক করুন[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]
{{bottomLinkPreText}} {{bottomLinkText}}
ইলেকট্রনিক ভয়েস ফেনোমেনা
Listen to this article

This browser is not supported by Wikiwand :(
Wikiwand requires a browser with modern capabilities in order to provide you with the best reading experience.
Please download and use one of the following browsers:

This article was just edited, click to reload
This article has been deleted on Wikipedia (Why?)

Back to homepage

Please click Add in the dialog above
Please click Allow in the top-left corner,
then click Install Now in the dialog
Please click Open in the download dialog,
then click Install
Please click the "Downloads" icon in the Safari toolbar, open the first download in the list,
then click Install
{{::$root.activation.text}}

Install Wikiwand

Install on Chrome Install on Firefox
Don't forget to rate us

Tell your friends about Wikiwand!

Gmail Facebook Twitter Link

Enjoying Wikiwand?

Tell your friends and spread the love:
Share on Gmail Share on Facebook Share on Twitter Share on Buffer

Our magic isn't perfect

You can help our automatic cover photo selection by reporting an unsuitable photo.

This photo is visually disturbing This photo is not a good choice

Thank you for helping!


Your input will affect cover photo selection, along with input from other users.

X

Get ready for Wikiwand 2.0 🎉! the new version arrives on September 1st! Don't want to wait?