রাজা টংকনাথের রাজবাড়ি
রাজা টংকনাথের রাজবাড়ি | |
---|---|
অবস্থান | |
অবস্থান | রাণীশংকৈল উপজেলা, ঠাকুরগাঁও জেলা, রংপুর |
দেশ | বাংলাদেশ |
স্থাপত্য | |
প্রতিষ্ঠার তারিখ | উনবিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগে |
অভ্যন্তরীণ | ১০ একর |
রাজা টংকনাথের রাজবাড়ি ১৯০০ খ্রিষ্টাব্দের প্রথম দিকে মালদুয়ার পরগণার অন্তর্গত ছিলো । যা বর্তমানে বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা হতে ৪০ কিলোমিটার দূরে রাণীশংকৈল উপজেলায় অবস্থিত।[১]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]রাজা টংকনাথ এর পূর্ব-পুরুষদের কেউ জমিদার ছিলেন না । বর্তমানে রাণীশংকৈল উপজেলা সদর হতে ৭ কিমি পূর্বে কাটিহার নামক জায়গায় গোয়ালা বংশীয় নিঃসন্তান এক জমিদার বাস করতেন । উক্ত জমিদারের মন্দিরে সেবায়েত হিসাবে কাজ করতেন টংকনাথের পিতা বুদ্ধিনাথ । গোয়ালা জমিদার ভারত এর কাশি যাওয়ার সময় তাম্রপাতে দলিল করে যান যে, তিনি ফিরে না এলে মন্দিরের সেবায়েত বুদ্ধিনাথ জমিদারির মালিক হবেন । গোয়ালা জমিদার ফিরে না আসায় বুদ্ধিনাথ জমিদারির মালিক হন । তবে অনেকে মনে করেন এই ঘটনা বুদ্ধিনাথ দু-এক পুরুষ পূর্বেরও হতে পারে। জমিদার বুদ্ধিনাথের দ্বিতীয় ছেলে টংকনাথ তৎকালীন ব্রিটিশ সরকারের আস্থা অর্জন করার জন্য মালদুয়ার স্টেট গঠন করেন । বিভিন্ন সময় সমাজ সেবা মূলক কাজের জন্য ১৯২৫ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার টংকনাথকে চৌধুরী উপাধিতে ভূষিত করেন। পরবর্তীতে দিনাজপুরের মহারাজা গিরিজনাথ রায়ের বশ্যতা স্বীকার করে রাজা উপাধি পান।
পরে রাজা টংকনাথের স্ত্রী রাণী শংকরী দেবীর নামানুসারে মালদুয়ার স্টেটের নাম করণ করা হয় রাণীশংকৈল। দেশভাগের প্রাক্কালে রাজা জমিদারি ছেড়ে ভারতে পাড়ি জমান । এর মধ্য দিয়ে মালদুয়ার স্টেট রাজা টংকনাথ চৌধুরীর জমিদারি পরম্পরার সমাপ্তি ঘটে।
রাজবাড়ির নির্মাণ
[সম্পাদনা]উনবিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগে রাজবাড়িটি নির্মিত হয়। রাজা টংকনাথের পিতা বুদ্ধিনাথের আমলেই রাজবাড়ি নির্মাণ কাজ শুরু হয় । বুদ্ধিনাথের মৃত্যুর পরে রাজা টংকনাথ রাজবাড়ির অসমাপ্ত কাজ শেষ করেন।
রাজবাড়ির বর্ণনা
[সম্পাদনা]বর্তমান রাণীশংকৈল উপজেলা সদর হতে ১.৩ কিমি পূর্বে কুলিক নদীর তীরে প্রায় ১০ একর জমির উপর রাজবাড়িটি অবস্থিত । বিশাল এক সিংহ দরজা দিয়ে রাজবাড়ির ভিতরে প্রবেশ করতে হয় । লাল রংয়ের দালানটি স্থাপত্যশৈলীতে আধুনিকতার পাশাপাশি ভিক্টোরিয়ান অলঙ্করণের ছাপ সুস্পষ্ট । রাজবাড়ি সংলগ্ন উত্তর-পূর্ব কোণে কাছারি বাড়ি, পূর্বে দুইটি পুকুর এবং রাজবাড়ি থেকে ২০০ মিটার দক্ষিণে রামচন্দ্র (জয়কালী) মন্দির অবস্থিত ।
বর্তমানে রাজবাড়ি ও তৎসংলগ্ন সব স্থাপনা অবহেলিত ও পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে।
চিত্রশালা
[সম্পাদনা]আরো পড়ুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ রায়, অজয় কুমার (আগস্ট ২০১৮)। "পুরাকীর্তির পরিচয়"। ঠাকুরগাঁও জেলার ইতিহাস (২ সংস্করণ)। ঢাকা: টাঙ্গন প্রিন্টিং এন্ড পাবলিকেশন। পৃষ্ঠা ৫১। আইএসবিএন 978-9843446497।
- [১] ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১ জুলাই ২০১৯ তারিখে Poriborton
- [২] ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১ জুলাই ২০১৯ তারিখে bdnews24
- [৩],বনিক বার্তা
- [৪] ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৫ জুলাই ২০১৭ তারিখে,বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন,
রংপুর জেলা | ||
---|---|---|
গাইবান্ধা জেলা |
| |
লালমনিরহাট জেলা | ||
নীলফামারী জেলা | ||
দিনাজপুর জেলা |
| |
পঞ্চগড় জেলা |
| |
ঠাকুরগাঁও জেলা | ||
কুড়িগ্রাম জেলা | ||
Text is available under the CC BY-SA 4.0 license; additional terms may apply.
Images, videos and audio are available under their respective licenses.