রসমালাই
প্রকার | মিষ্টান্ন |
---|---|
উৎপত্তিস্থল | কুমিল্লা, বঙ্গ |
অঞ্চল বা রাজ্য | বঙ্গ, দক্ষিণ এশিয়া |
সংশ্লিষ্ট জাতীয় রন্ধনশৈলী | ভারতীয়, বাংলাদেশী |
প্রধান উপকরণ | ছানা, চিনি, ময়দা |
ভিন্নতা | কুমিল্লার রসমালাই
কলকাতার রসমালাই বগুড়ার রসমালাই |
অনুরূপ খাদ্য | রসমঞ্জরী,রসগোল্লা |
রসমালাই দক্ষিণ এশিয়ার বঙ্গ অঞ্চল থেকে উদ্ভূত একটি বাঙালি মিষ্টি, যা বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারত, পাকিস্তান এবং নেপালেও জনপ্রিয়। ছোট ছোট আকারের রসগোল্লাকে চিনির সিরায় ভিজিয়ে তার উপর জ্বাল-দেওয়া ঘন মিষ্টি দুধ ঢেলে রসমালাই বানানো হয়। বাংলাদেশ রসমালাইয়ের উৎপত্তি স্থল। ১৯০০ সালের দিকে কুমিল্লা অঞ্চলে রসমালাই তৈরি শুরু হয়। ১৯৩০ সালে কুমিল্লার মাতৃ ভান্ডার রসমালাই বানিয়ে নাম করে। মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত শংকর সেনগুপ্তের হাত ধরে এটি বিকশিত হয়। ২০২৩ সালে বাংলাদেশ রসমালাইয়ের ভৌগোলিক নির্দেশক ট্যাগ লাভ করে।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]উনিশ শতকের প্রথম দিকে ত্রিপুরা রাজ্য তথা কুমিল্লার ঘোষ সম্প্রদায় দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করে ক্ষীর বানিয়ে তাতে ছোট আকারের শুকনো ‘ভোগ’ বা রসগোল্লা ভিজিয়ে যে মিষ্টান্ন তৈরি করে, তা ক্ষীরভোগ নামে পরিচিতি পায়। ক্রমান্বয়ে এ ক্ষীরভোগ রসমালাই নামে পরিচিত হয়ে ওঠে।
১৯৩০ সালে ব্রাক্ষণবাড়িয়ার খড়িয়ালার খনিন্দ্র সেন ও মনিন্দ্র সেন নামে দুই ভাই কুমিল্লায় এসে শহরের মনোহরপুর এলাকায় মাতৃভান্ডার নামে একটি দোকান দিয়ে ক্ষীরভোগ বা রসমালাই বিক্রি শুরু করেন। সুস্বাদু হওয়ায় এর বিক্রি বাড়তে থাকে। এক সময় জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। পরবর্তীতে মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত শংকর সেনগুপ্তের হাত ধরে এটি বিকশিত হয়। বর্তমানে তাঁর ছেলে অনির্বাণ সেনগুপ্ত ব্যবসা পরিচালনা করেন।।এটি দক্ষিণ এশিয়ার জনপ্রিয় একটি মিষ্টান।পরবর্তীতে ১৯৩২সালে ভারতীয় বাঙালি ময়রা কৃষ্ণ চন্দ্র দাস রসমালাই তৈরি করে জনপ্রিয়তা লাভ করেন।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]অদুগ্ধভিত্তিক |
| ||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
দুগ্ধভিত্তিক |
|
Text is available under the CC BY-SA 4.0 license; additional terms may apply.
Images, videos and audio are available under their respective licenses.