For faster navigation, this Iframe is preloading the Wikiwand page for মহাত্মা গান্ধী রোড, কলকাতা.

মহাত্মা গান্ধী রোড, কলকাতা

মহাত্মা গান্ধী রোড
মহাত্মা গান্ধী রোড, বড় বাজার
পূর্ব নামহ্যারিসন রোড
অবস্থানকলকাতা
ডাক কোড৭০০০০৭
স্থানাঙ্ক২২°২৭′৪০″ উত্তর ৮৮°১৯′৪৬″ পূর্ব / ২২.৪৬১০৬২° উত্তর ৮৮.৩২৯৪৫১° পূর্ব / 22.461062; 88.329451

মহাত্মা গান্ধী রোড অথবা এম.জি. রোড, পূর্বে হ্যারিসন রোড নামে পরিচিত ছিল,[] ভারতীয় রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার (পূর্বে ক্যালকাটা নামে পরিচিত) পূর্ব থেকে পশ্চিমে জনসাধারণের যাতায়াতের অন্যতম প্রধান পথ। এম.জি. রোডটি উত্তর এবং মধ্য কলকাতার সীমানা তৈরি করেছে।[] ১৮৮৯ সালে শহরের প্রথম এই রোডটিতে বিদ্যুৎ দ্বারা আলোকিত করা হয়েছিল।

ইতিহাস

[সম্পাদনা]
ক্যালকাটা হ্যারিসন রোড, ১৮৯০

মহাত্মা গান্ধী রোডটি প্রথমে হ্যারিসন রোড নামে পরিচিত ছিল। ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতার পরে কলকাতার হ্যারিসন রোডটির নামকরণ করা হয় মহাত্মা গান্ধী রোড (এম.জি. রোড) এবং চৌরঙ্গির উপরের অংশটির নাম পরিবর্তন করে জওহরলাল নেহেরু রোড নামকরণ করা হয়।[] ১৮৮৯ সালে যখন ক্যালকাটা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কর্পোরেশন (সিইএসসি) শহরে বিদ্যুৎ দেওয়া শুরু করেছিল, এই হ্যারিসন রোডটি শহরের প্রথম রোড ছিল যা কৃতিত্বের অধিকারী।[] কলকাতা ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট (সিআইটি) ১৯১১ সালে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ১৯২৬ সালে হ্যারিসন রোডটি উত্তরের বিডন স্ট্রিট এবং দক্ষিণে বহুবাজার পর্যন্ত প্রসারিত হয়।[]

শহরের স্টুডিও ফটোগ্রাফির পথিকৃৎ চারু গুহ ১৯২০ সালে হ্যারিসন রোডের পাশে তার প্রথম স্টুডিও শুরু করেছিলেন।[] ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় এই রোডটি আগে শহরের "সাম্প্রদায়িক সংবেদনশীল" প্রতিবেশী হিসাবে বিবেচিত হয়েছে।[] ১৯৩০ সালের ১ এপ্রিল ভ্যানকুভার সান পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল - "আজ বিকেলে হ্যারিসন রোডের দাঙ্গায় আরও চারজন নিহত হয়েছে, এই অঞ্চলে যা সাধারণত ঝড়ের এক-চতুর্থাংশ।"[]

অবস্থান এবং ক্রিয়াকলাপ

[সম্পাদনা]
মহাত্মা গান্ধী রোড ও বড় বাজার

কলকাতার পূর্ব-পশ্চিমে সংযোগ বজায় রাখতে রোডটি ধমনীসদৃশ। এই শহরের প্রধান দুটি রেলওয়ে স্টেশন হল শিয়ালদহ এবং হাওড়া স্টেশন দুটির মধ্যে স্বল্পতম দূরত্ব। বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান এই রোডটিতে রয়েছে; যেমন - শিয়ালদহ স্টেশন, আমহার্স্ট স্ট্রিট ক্রসিং, কলেজ স্ট্রিট ক্রসিং, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ ক্রসিং, নেতাজি সুভাষ রোড, বড় বাজার, চিৎপুর রোড ক্রসিং, হাওড়া ব্রিজ ইত্যাদি।[]

এম.জি.রোডের পূর্ব দিকে শিয়ালদহ স্টেশন এবং বিদ্যাপতি সেতু থেকে পশ্চিমে হাওড়া ব্রিজের প্রবেশদ্বার। []

রোডটিতে সারাদিন যানবাহন গতিপথ দুইমুখী নির্দেশ করে। তবে শিয়ালদহগামী ছোট যানবাহন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নিষিদ্ধ। এছাড়া কিছু ক্রসিংগুলি নির্দিষ্ট এবং একমুখী আছে, অর্থাৎ নির্দিষ্ট ক্রসিংগুলিতে যানবাহনগুলি কেবল একটি নির্দিষ্ট দিকে ঘুরতে পারে। এই রাস্তার নিকটতম মেট্রো স্টেশন হল মহাত্মা গান্ধী রোড মেট্রো স্টেশন,কলকাতা[]

সংস্কৃতি

[সম্পাদনা]

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

[সম্পাদনা]
হিন্দু স্কুল—এটি মহাত্মা গান্ধী রোড সংলগ্ন কলেজ স্ট্রিটে অবস্থিত

বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মহাত্মা গান্ধী রোডের নিকটে অবস্থিত;[১০] যেমন - অ্যাংলো আরবি সেকেন্ডারি স্কুল, জ্ঞান ভারতী বিদ্যাপীঠ, সেন্ট পলস স্কুল, হিন্দু স্কুল, লরেন্স ডে স্কুল, শ্রী জৈন বিদ্যালয়, সেন্ট পলস মিশন স্কুল ইত্যাদি।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

হোটেল এবং রেস্টুরেন্ট

[সম্পাদনা]

মহাত্মা গান্ধী রোডের কাছাকাছি কিছু জনপ্রিয় রেস্তোঁরা আছে; যেমন - শ্রীরাম ধাবা, আহার রেস্টুরেন্ট, মাধুরী রেস্টুরেন্ট, বাসন্ত কেবিন ইত্যাদি। এছাড়া কিছু হোটেল আর ধর্মশালা এই রোডের উপর অবস্থিত; যেমন - হোটেল হোয়াইট হাউস, হোটেল হিমালয়, হোটেল সম্রাট ইত্যাদি।[১০]

সিনেমা হল

[সম্পাদনা]

বেশ কয়েকটি সিনেমা হল রাস্তার পাশে বা কাছাকাছি অবস্থিত; যেমন - অরুণা, ছবিঘর, নাজ, পূরবী, প্রভাত ইত্যাদি।[১০]

জনপ্রিয় সংস্কৃতি

[সম্পাদনা]

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একদিন রাতে কবিতায় এই রাস্তার কথা উল্লেখ করেছেন। কবিতার লাইনগুলি হল[১১] -

‘হাওড়ার ব্রীজে চলে মস্ত সে বিছে,
হ্যারিসন রোড চলে তার পিছে, পিছে।’

শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিখ্যাত কাল্পনিক চরিত্র ব্যোমকেশ বক্সী ভারতের সর্বপ্রথম, জনপ্রিয় গোয়েন্দা, তাঁর বন্ধু এবং সহযোগী অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় ও গৃহকর্মী পুটিরামের সাথে হ্যারিসন রোডের তিনতলার বাড়ীতে দ্বিতীয় তলায় থাকতেন।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Nripati Ghoshal (মে ২০০৬)। Odyssey of an Indian Bureaucrat। iUniverse। পৃষ্ঠা 17–। আইএসবিএন 978-0-595-34753-7। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০১৩ 
  2. Sarina Singh (১৫ সেপ্টেম্বর ২০১০)। Lonely Planet India। Lonely Planet। পৃষ্ঠা 506–। আইএসবিএন 978-1-74220-347-8। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০১৩ 
  3. Geoffrey Moorhouse (৫ এপ্রিল ২০১২)। Calcutta। Faber & Faber। পৃষ্ঠা 280–। আইএসবিএন 978-0-571-28113-8। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০১৩ 
  4. "Let there be light"The Telegraph (Calcutta)। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০১৩ 
  5. "Rajasthan meets Attica"The Telegraph (Calcutta)। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০১৩ 
  6. "An early airbrush artist"The Telegraph (Calcutta)। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০১৩ 
  7. "A new India mob at Raj Bhavan curfew no bar Gandhi fast Anglo-indians au revoir free Boroline"The Telegraph (Calcutta)। ২৬ এপ্রিল ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০১৩ 
  8. "Drive Against Mahatma"The Vancouver Sun। ১ এপ্রিল ১৯৩০। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০১৩ 
  9. "Kolkata City Guide"।  (বাংলা)
  10. "Culture Mahtma Gandhi Road"। Ask Laila। ৯ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০১৩ 
  11. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। "একদিন রাতে"রবীন্দ্র রচনাবলী। nltr.org। 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]
{{bottomLinkPreText}} {{bottomLinkText}}
মহাত্মা গান্ধী রোড, কলকাতা
Listen to this article

This browser is not supported by Wikiwand :(
Wikiwand requires a browser with modern capabilities in order to provide you with the best reading experience.
Please download and use one of the following browsers:

This article was just edited, click to reload
This article has been deleted on Wikipedia (Why?)

Back to homepage

Please click Add in the dialog above
Please click Allow in the top-left corner,
then click Install Now in the dialog
Please click Open in the download dialog,
then click Install
Please click the "Downloads" icon in the Safari toolbar, open the first download in the list,
then click Install
{{::$root.activation.text}}

Install Wikiwand

Install on Chrome Install on Firefox
Don't forget to rate us

Tell your friends about Wikiwand!

Gmail Facebook Twitter Link

Enjoying Wikiwand?

Tell your friends and spread the love:
Share on Gmail Share on Facebook Share on Twitter Share on Buffer

Our magic isn't perfect

You can help our automatic cover photo selection by reporting an unsuitable photo.

This photo is visually disturbing This photo is not a good choice

Thank you for helping!


Your input will affect cover photo selection, along with input from other users.

X

Get ready for Wikiwand 2.0 🎉! the new version arrives on September 1st! Don't want to wait?