For faster navigation, this Iframe is preloading the Wikiwand page for ভারতবর্ষে মুসলমানদের অবদান.

ভারতবর্ষে মুসলমানদের অবদান

ভারতবর্ষে মুসলমানদের অবদান
বাংলা অনুবাদের প্রচ্ছদ
লেখকআবুল হাসান আলী নদভী
মূল শিরোনামআরবি: المسلمون في الهند, প্রতিবর্ণীকৃত: আল মুসলিমুনা ফিল হিন্দ[][]
অনুবাদক
প্রচ্ছদ শিল্পীআল আরাফাত
দেশভারত
ভাষাআরবি (মূল)
মুক্তির সংখ্যা
১ খণ্ড
বিষয়ভারতের ইতিহাস
প্রকাশিত
  • ১৯৫৩ (আরবি)
  • ২০০৪ (বাংলা)
প্রকাশকদার ইবনে কাছীর (আরবি), সেন্টার ফর রিসার্চ অন দ্য কুরআন এন্ড সুন্নাহ (বাংলা)
মিডিয়া ধরন
পৃষ্ঠাসংখ্যা
  • ২৬২ (আরবি)
  • ১৯৬ (বাংলা)
আইএসবিএন৯৭৮-৯৩৮৮৮৫০৯১৯ (ইংরেজি সংস্করণ)
ওসিএলসি২৪৯০৭৯৯
৯৫৪
এলসি শ্রেণীবিপি৬৩ .আই৪ এন২৮
ওয়েবসাইটabulhasanalinadwi.org
ইংরেজি সংস্করণ

ভারতবর্ষে মুসলমানদের অবদান (আরবি: المسلمون في الهند, প্রতিবর্ণীকৃত: আল মুসলিমুনা ফিল হিন্দ) ভারতীয় দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত আবুল হাসান আলী নদভী রচিত ভারতের ইতিহাস বিষয়ক একটি জনপ্রিয় বই, যেখানে লেখক ভারতবর্ষের সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিনির্মাণে মুসলমানদের অবদান নিয়ে আলোচনা করেছেন। গ্রন্থটি “আল মুসলিমুনা ফিল হিন্দ” নামে ১৯৫৩ সালে আরবি ভাষায় প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। এই গ্রন্থে লেখক অভিযোগ করেছেন স্বার্থান্বেষী মহল কর্তৃক ভারতীয় মুসলমানদের ইতিহাস ইচ্ছাকৃতভাবে বিকৃত করা হচ্ছে, তাদের অবদান ভুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে এবং ভারতের ইসলামি আধিপত্যের সময়কে বিবেচনা করা হচ্ছে উপমহাদেশের ইতিহাসে একটি অন্ধকার যুগ হিসেবে। নদভী পুরো গ্রন্থে ভারতবর্ষে মুসলমানদের অবদান তুলে ধরে তার যথাযথ জবাব প্রদান এবং উপর্যুক্ত ধারণাকে ভ্রান্ত প্রমাণের চেষ্টা করেছেন। গবেষকদের মতে, বিষয় অনুযায়ী এটি একটি কার্যকরী গ্রন্থ।

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

১৯৫১ সালে আবুল হাসান আলী নদভী মধ্যপ্রাচ্য ভ্রমণ শেষে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর অল ইন্ডিয়া রেডিওর (বর্তমানে আকাশবাণী) অনুরােধে “ভারতীয় মুসলমান” শীর্ষক বেশ কিছু আরবি বক্তৃতা প্রদান করেন। বক্তৃতা গুলাে মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থিত কোন কোন ভারতীয় দূতাবাসের খুবই ভাল লাগে এবং সেগুলাে প্রকাশ করার জন্য প্রস্তাব করে। স্বয়ং অল ইন্ডিয়া রেডিও বিভিন্ন ভাষায় বক্তৃতাগুলাে সম্প্রচার করে। দামেস্ক থেকে প্রকাশিত একটি আন্তর্জাতিক মানের আরবি সাময়িকী ‘আল মুসলিমুন’ বক্তৃতাগুলাে কয়েক কিস্তি করে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করে। নদভী মনে করলেন, সেই বক্তৃতাগুলােকে যদি আরেকবার দেখে প্রয়ােজনীয় কিছু বিষয় সংযােজন করা হয় তাহলে উপরােল্লিখিত লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে একটি মহৎ কাজ হতে পারে। সুতরাং তিনি এতে প্রয়ােজনীয় সব কিছুকে সমন্বয় করে একটি আরবি গ্রন্থের রূপ দেন যা ১৯৫৩ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়।[][][]

পরবর্তীতে নদভীর অনুরােধে দারুল উলুম নদওয়াতুল উলামার সাবেক অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান নদভী গ্রন্থটিকে উর্দু ভাষায় অনুবাদ করেন। গ্রন্থটিকে আরেকবার দেখে প্রয়ােজনীয়, উল্লেখযােগ্য পরিবর্ধন, পরিমার্জন করা হয়। পরে তিনি এ সংকলনে বেশ কয়েকটি এমন বিষয় সংযােজন করেন যা রেডিওতে প্রচারিত হয়নি।[]

এ গ্রন্থটি আরবি ভাষায় ‘আল মুসলিমুনা ফিল হিন্দ’ নামে ভারত ও বিভিন্ন আরব দেশ হতে প্রকাশিত হয়। ইংরেজি ভাষায় Muslims In India নামে গ্রন্থটির অনুবাদ প্রকাশিত হয়। উর্দুতে ‘হিন্দুস্তানি মুসলমান’ নাম দিয়ে মজলিসে তাহকিকাত ও নাশরিয়াতে ইসলামের পক্ষ থেকে গ্রন্থটির বেশ কয়েকটি সংস্করণ বের হয়। লেখক দীর্ঘদিন পরে গ্রন্থটির উপর আরেকবার দৃষ্টি বুলিয়ে এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংযােজন করেন যা পূর্বের সংস্করণগুলোতে ছিল না। ২০০৪ সালে “ভারতবর্ষে মুসলমানদের অবদান” নামে এর বঙ্গানুবাদ করেন আ ফ ম খালিদ হোসেন, যা প্রকাশ করেছে সেন্টার ফর রিসার্চ অন দ্য কুরআন এন্ড সুন্নাহ, চট্টগ্রাম।[]

প্রেক্ষাপট

[সম্পাদনা]

বইটির রচনার প্রেক্ষাপট উল্লেখ করতে গিয়ে লেখক বলেন,[][]

“ পৃথিবীর বিভিন্ন জাতি-শ্রেণী যদি পারস্পরিক ঐক্য ও আস্থা, ভালোবাসা ও মর্যাদা এবং সুখ-দুঃখে পারস্পরিক সহযােগিতা ও অংশদারিত্বের ভিত্তিতে এক সাথে থাকতে চায় তাহলে অবশ্যই প্রত্যেক জাতিকে অন্য জাতির মানসিকতা ও রুচি সম্পর্কে অবহিত থাকতে হবে, জানতে হবে তার আক্বীদা-বিশ্বাস কী? তার সামাজিক আচার-আচরণ কি ধরনের, তার অতীত ও ইতিহাস কি রকম। জ্ঞান ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে সে জাতির অবদানকে স্বীকার করতে হবে, তার নির্মাণশৈলী ও সৃজনশীল যােগ্যতা সম্বন্ধে অবহিত থাকতে হবে। শুধু তাই নয়, অন্য জাতির এ সব বিষয়কে জানার পাশাপাশি সম্মান করতে হবে, মূল্যায়ন করতে হবে, ক্ষেত্র বিশেষে সহানুভূতি দেখাতে হবে এবং প্রয়ােজনে এসব সামাজিক আচার-আচরণ ও জাতিগত প্রতিভা-যােগ্যতাকে সংরক্ষণযােগ্য সম্পদ মনে করতে হবে। উপরিউক্ত ভিত্তিতে বর্তমান বিশ্বের প্রত্যেক জায়গায় ভিন্ন দেশের ভাষা সাহিত্য, স্বভাব ও সংস্কৃতি এবং সেদেশের অতীত ও প্রাচীন ইতিহাস সম্পর্কে জানা জরুরি মনে করা হয়। এমনকি তাদের শিল্প-সুষমা সম্পর্কে অবগতিকেও প্রয়ােজনীয় বিবেচনা করা হয়। এক রাষ্ট্রের সাংস্কৃতিক দল অন্য রাষ্ট্রে যায়, সেখানকার জ্ঞান-বিজ্ঞান, সাহিত্য, সংস্কৃতি অধ্যয়ন করে এবং নিজ দেশের জ্ঞান-বিজ্ঞান, সাহিত্য-সংস্কৃতির পরিচয় তুলে ধরে সেখানকার মানুষের সামনে। প্রতিটি রাষ্ট্র অন্যান্য রাষ্ট্রের সাথে সাংস্কৃতিক সম্পর্ক সৃষ্টির লক্ষ্যে আলাদা অফিস ও শাখা খুলে থাকে এবং সে খাতে উদারতার সাথে অর্থ ব্যয় করা হয়ে থাকে। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে ভারত সরকার Indian Council for Cultural Relations নামের বিরাট একটি প্রতিষ্ঠান কায়েম করেছে। কতিপয় আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানও খুলেছে যেমন: Indo-Arab Society, Indo-Iranian Society ইত্যাদি। এসব প্রতিষ্ঠানের কাজ হচ্ছে, বিভিন্ন দেশের সভ্যতা-সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হওয়া এবং সাংস্কৃতিক সম্পর্ক সৃষ্টির জন্যে নানা ধরনের পন্থা অবলম্বন করা। এমতাবস্থায় যখন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এবং স্বয়ং আমাদের দেশ ভারতেও অনেক দূরবর্তী দেশের জ্ঞান-বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক সৃষ্টি এবং ব্যাপক কুশল বিনিময়ের আগ্রহ দেখা যায়। প্রত্যেক দেশে অন্যান্য দেশের ভাষা ও সাহিত্য, সেখানকার সভ্যতা ও সংস্কৃতি, কবিতা ও সুর এবং সেখানকার অধিবাসীদের আশা-আকাঙ্ক্ষা পর্যন্ত জানার ব্যাপক আকর্ষণ পরিলক্ষিত হচ্ছে; আর যেখানে প্রতিটি দেশের রাজনৈতিক চাহিদা এবং আন্তর্জাতিক শান্তি প্রক্রিয়াও তাই দাবি করে। এটা কি উচিত নয় যে, একই দেশের অধিবাসী অন্যান্য অধিবাসীদের ইতিহাস, জ্ঞান-বিজ্ঞান ও সভ্যতার ক্ষেত্রে তাদের অবদান এবং তাদের সৃজনশীল যােগ্যতা সম্পর্কে অবগত হােক? এটা এক বিস্ময়কর বৈপরীত্য এবং ভারতের জাতীয় জীবনের এক বিরাট শূন্যতা যে, এখানকার অধিবাসীদের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশের ঐতিহ্য ও প্রাচীন ইতিহাস সম্পর্কে একদম অজ্ঞ। তারা এদেশ আবাদ করার ক্ষেত্রে, এদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে কতটুকু অংশ নিয়েছেন, এদেশের উন্নতি-অগ্রগতিতে কী ভূমিকা রেখেছেন? এবং এ ক্ষেত্রে তাদের অবদানই বা কতটুকু? এ জাতিটির আশা-আকাঙ্ক্ষা কী? তাদের জীবনের সমস্যা কী? বর্তমান যুগে তারা কোন ধরনের জটিলতার শিকার? এ সম্পর্কে কিছুই জানেনা। যুগ যুগ ধরে একই স্থানে পাশাপাশি জীবন যাপন করার পরেও একে অন্যের সাথে এমন অপরিচিত ভাব অবশ্যই এক বিরাট শূন্যতা যা খুব বেশি অনুভূত হওয়া দরকার। এ শূন্যতা পূর্ণ করার দ্রুত প্রয়াস চালানাে উচিত। ভারতের বিভিন্ন জনগােষ্ঠীর পারস্পরিক ঐক্য, মৈত্রী ও আস্থা যা দেশের উন্নতির জন্য অপরিহার্য তা তখন পর্যন্ত হতে পারেনা যতক্ষণ না আমরা দেশের উন্নতি-অগ্রগতির ক্ষেত্রে একজন আরেকজনের প্রয়ােজনীয়তা ও উপকারিতা সম্পর্কে অবগত হবাে না। অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের আলােকে সেই সুবাদে অর্জিত উন্নয়নের সম্ভাবনাগুলােকে চিহ্নিত করতে না পারলে কাঙ্ক্ষিত সেই ঐক্য ও সদভাব সুদূরপরাহতই থেকে যাবে। এটা শুধু অজানার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; বরং আরও ভয়ঙ্কর ও উদ্বেগজনক বিষয় হলাে, ভারতের একটি স্বয়ং সম্পূর্ণ জাতির সভ্যতা, ইতিহাস, দেশের স্বাধীনতায় তাঁরা যে কেন্দ্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছিলেন এবং আরাে যেসব অমূল্য ত্যাগ ও কুরবানি দিয়েছেন এসব বিষয়কে ইদানীং উপেক্ষা করার, বরং অস্বীকার করার মানসিকতা জন্ম নিচ্ছে। ভারতের ইতিহাসকে পরিকল্পিতভাবে এমনভাবে উপস্থাপন করার প্রচেষ্টা চলছে, যেন মুসলমানদের যুগটা নিরেট এক প্রবাসী জাতির সাম্রাজ্যবাদীর যুগ বৈ কিছুই নয়। যার মধ্যে ভাল ও কল্যাণ বলতে কিছুই ছিলােনা। এ সময়ের মধ্যে উঁচু মানের কোন ব্যক্তিত্ব জ্ঞান-বিজ্ঞান ও সভ্যতার দিক দিয়ে কোন কৃতিত্ব এবং দেশ গড়ার ও জাতীয় উন্নয়নে এমন কোন অনাবিল ও নির্দোষ কাজ হয়নি যা নিয়ে ভারত গর্ব করতে পারে। দীর্ঘ স্বাধীনতা যুদ্ধে তাদের ভূমিকা ছিল নীরব দর্শকের অথবা নির্লিপ্ত কোন জাতির। ঘটনাক্রমে স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নিলেও তা অনুল্লেখ্য। এভাবে আমরা ভারতের সবুজ শ্যামল, সদাবসন্ত মুখর বৃক্ষের এক ফলদায়ক শাখাকে আমরা নিজেরাই বর্শাবিদ্ধ করে চলেছি এবং এটাই প্রমাণ করছি যে, আটশ বছর পর্যন্ত এ বৃক্ষ নিল ছিল। দেশ জুড়ে হেমন্তই শুধু বিরাজ করতাে। এ ঘটনা যেমন ঐতিহাসিক বাস্তবতাবিরােধী, তেমনি এর মাধ্যমে আমাদের দেশের উর্বরতা, যােগ্য মানুষ সৃষ্টি ও প্রাকৃতিক যােগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়। আর এভাবে আমরা কোটি কোটি অধিবাসীর সাথে অন্যায় আচরণ করছি, তাঁদের হৃদয়ে কষ্ট দিচ্ছি এবং তাদের আশা আকাঙ্ক্ষাকে আহত করছি। শুধু তাই নয়; বরং এ দেশ, দেশের ইতিহাস, বর্তমান ও আগামী প্রজন্মের সাথেও অন্যায় করছি। অথচ তাদের জন্য এসব খুবই প্রয়ােজন ছিল। এভাবে ভারতবর্ষের মুসলিম যুগের ব্যতিক্রধর্মী ও অনুকরণীয় ব্যক্তিত্বের নমুনা তাদের সামনে উপস্থাপন করা দরকার। পাশাপাশি এ যুগের অবদানগুলােকে প্রকাশ করে আমরা মুসলিম দেশগুলাের সামনে ভারতের বৈচিত্র্যপূর্ণ পরিচয় তুলে ধরতে পারি। বিশ্বের বুদ্ধিজীবী মহলের সাথে ভারতীয় মুসলমান মনীষীদের সৃজনশীল মেধা ও মননের পরিচয় করিয়ে দিতে পারি। যেহেতু মুসলিম দেশ সমূহ আগে থেকেই এ ধরনের বহু নাম ও গবেষণাকর্মের সাথে পরিচিত। তাই এক্ষেত্রে আমাদের বিশেষ কোন প্রচেষ্টা বা মাথাব্যথার প্রয়োজন হবেনা। এ প্রয়ােজনীয়তা ও বাস্তবতাই বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটি রচনার মূল প্রেরণা বা কারণ। আমাদের দেশের অনেক মুসলমান এবং অমুসলিম বন্ধুদের পক্ষে বৃহৎ গ্রন্থ পড়ার সুযােগ হয়না। সনাতন পদ্ধতিতে ফার্সি ও উর্দু বইপুস্তকের মাধ্যমে মুসলমানদের অবদান এবং মুসলিম যুগের সাংস্কৃতিক, ইলমী ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অবহিত হওয়াও অনেক সময় সম্ভবপর হয়ে উঠেনা। এ জন্যে এ ধরনের, অপেক্ষাকৃত ছােট গ্রন্থের প্রয়ােজন যার মধ্যে থাকবে মুসলিম যুগের পরিচয় এবং ইতিহাসের কিছু ঝলক।”

গ্রন্থের শুরুতে লেখক “প্রাসঙ্গিক কথা” শিরোনামে গ্রন্থটি সম্পর্কে কিছুটা আলোকপাত করেছেন। তারপর আলোচ্য বিষয়সমূহকে ১১টি পরিচ্ছেদে ভাগ করা হয়েছে। গ্রন্থের শেষে “পরিশিষ্ট” শিরোনামে ভারতীয় মুসলমানদের একটি পরিসংখ্যান যুক্ত করা হয়েছে। পরিচ্ছেদ সমূহ:[]

  1. ভারতীয় সংস্কৃতি ও সভ্যতায় মুসলমানদের প্রভাব।
  2. ভারতে সুফি-দরবেশ ও ভারতীয় সমাজে তাদের প্রভাব।
  3. ভারতীয় ভাষা সমূহে আরবির প্রভাব।
  4. ভারতে ইসলামি সভ্যতা।
  5. প্রাচীন শিক্ষা ব্যবস্থার কিছু বৈশিষ্ট্য।
  6. মুসলমানদের শিক্ষা ও সংস্কৃতির বর্তমান প্রাণকেন্দ্র ও তাদের শিক্ষা আন্দোলন সমূহ।
  7. ভারতের প্রাচীন শিক্ষা আন্দোলন: কেন্দ্র ও বৈশিষ্ট্য।
  8. স্বাধীনতা আন্দোলনে ভারতবর্ষের মুসলমানদের অবদান।
  9. জ্ঞান-বিজ্ঞানে ভারতের উলামায়ে কেরামের অবদান।
  10. সাম্প্রতিককালের শীর্ষস্থানীয় গ্রন্থকারগণ।
  11. ভারতীয় মুসলমানদের বর্তমান সমস্যা ও সংকট।

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]

উদ্ধৃতি

[সম্পাদনা]
  1. মুহাম্মদ সালমান, মাওলানা (মে ২০০২)। আবুল হাসান আলী নদভীর জীবন ও কর্ম (পিডিএফ)। ঢাকা: আল ইরফান পাবলিকেশন্স। পৃষ্ঠা ৩৪৬। 
  2. আহমেদ, হিলাল (২০১৫)। মুসলিম পলিটিক্যাল ডিসকোর্স ইন পোস্ট-কলোনিয়াল ইন্ডিয়া : মনিউমেন্টস , মেমোরি, কনটেসটেশন (ইংরেজি ভাষায়)। রাউটলেজ। পৃষ্ঠা ১৩০। আইএসবিএন 978-1-317-55955-9 
  3. খান, জুবায়ের জাফর (২০১০)। "মাওলানা আবুল হাসান আলী নদভীর ইসলামী চিন্তাভাবনার একটি সমালোচনামূলক গবেষণা"আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় (ইংরেজি ভাষায়): ১৩৮—১৪০। 
  4. আমিন, নুরুল (২০১৩)। "আবুল হাসান আলী নদভীর রচনায় দার্শনিক ও শিক্ষামূলক চিন্তাভাবনা"কান্নুর বিশ্ববিদ্যালয় (আরবি ভাষায়): ১৪৯—১৬০। 
  5. হাসানুজ্জামান, হযরত (২০১১)। "মা যা খাসিরল আলামু বিইনহিতাতিল মুসলিমীনের বিশেষ উল্লেখ সহ আবুল হাসান আলী নদভীর রচনায় সামাজিক-ঐতিহাসিক দিকগুলি"আসাম বিশ্ববিদ্যালয় (আরবি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৯ জানুয়ারি ২০২১ 
  6. নদভী, আবুল হাসান আলী (১৯৬০)। মুসলিম ইন ইন্ডিয়া [ভারতবর্ষে মুসলমানদের অবদান] (ইংরেজি ভাষায়)। খালিদ হোসেন, আ ফ ম কর্তৃক অনূদিত। লখনউ, ভারত; বাংলাদেশ: একাডেমি অফ ইসলামিক রিসার্চ এন্ড পাবলিকেশন্স; সেন্টার ফর রিসার্চ অন দ্য কুরআন এন্ড সুন্নাহ। আইএসবিএন 978-9388850919এএসআইএন 9388850912ওসিএলসি 2490799 
  7. ভাট, সামি উল্লাহ (২০১৭)। "তারীখে দাওয়াত ওয়া আযীমাতের বিশেষ উল্লেখ সহ ইসলামের ইতিহাস রচনায় আবুল হাসান আলী নদভীর অবদান"কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয় (ইংরেজি ভাষায়): ৬৬। 

গ্রন্থপঞ্জি

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]
{{bottomLinkPreText}} {{bottomLinkText}}
ভারতবর্ষে মুসলমানদের অবদান
Listen to this article

This browser is not supported by Wikiwand :(
Wikiwand requires a browser with modern capabilities in order to provide you with the best reading experience.
Please download and use one of the following browsers:

This article was just edited, click to reload
This article has been deleted on Wikipedia (Why?)

Back to homepage

Please click Add in the dialog above
Please click Allow in the top-left corner,
then click Install Now in the dialog
Please click Open in the download dialog,
then click Install
Please click the "Downloads" icon in the Safari toolbar, open the first download in the list,
then click Install
{{::$root.activation.text}}

Install Wikiwand

Install on Chrome Install on Firefox
Don't forget to rate us

Tell your friends about Wikiwand!

Gmail Facebook Twitter Link

Enjoying Wikiwand?

Tell your friends and spread the love:
Share on Gmail Share on Facebook Share on Twitter Share on Buffer

Our magic isn't perfect

You can help our automatic cover photo selection by reporting an unsuitable photo.

This photo is visually disturbing This photo is not a good choice

Thank you for helping!


Your input will affect cover photo selection, along with input from other users.

X

Get ready for Wikiwand 2.0 🎉! the new version arrives on September 1st! Don't want to wait?