For faster navigation, this Iframe is preloading the Wikiwand page for ব্যবহারকারী:Anjon mallick/খেলাঘর.

ব্যবহারকারী:Anjon mallick/খেলাঘর

অনিরুদ্ধ শুভ
জন্ম (1996-10-22) ২২ অক্টোবর ১৯৯৬ (বয়স ২৭)
জাতীয়তাবাংলাদেশী
পেশাগায়ক,সঙ্গীত পরিচালক,সুরকার
কর্মজীবন২০১৭–বর্তমান

অনিরুদ্ধ শুভ একজন বাংলাদেশী গায়ক, গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক। সাক্ষর, ত্যাগ, সরি বিন্দু, কেন বোঝেনা, লাস্ট ফাইভ আওয়ার সহ বিভিন্ন নাটকে তিনি আবহ সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন ৷ [] তাছাড়া বিভিন্ন নাটকের গানে কন্ঠ দিয়েছেন ৷ চ্যানেল আই সেরাকন্ঠ ২০২৩ এর ফাইনালে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন ৷ [] [] সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র আগন্তুক এ 'যেদিন' শিরোনামের গানটিতে তিনি কন্ঠ দিয়েছেন ৷

Year Song Label Bangla drama/Movie Ref(s)
2017 "Ek akash" (with Shammi) sangeeta music
2018 "Tori jonne" CMV music
2019 "Pashani konna" Pammi multimedia
"Mon pinjirar pakhi" Eagle Movie song
"Ojana kotha" Pammi multimedia
2020 "Ore pakhire" AB Media Centre
"Premer din" CMV Music From Bangla drama Partner
2021 "Ekta gopon kotha" Tiger Media From Bangla drama poriname tumi
"Buke Betha Lage" Soundtek From bangla drama Jhogray perfect
"Icche adore" Jamco Entertainment from bangla drama Boyfriend er biye
2022 "Momisinga pulapain" M Guys

শিক্ষাজীবন

[সম্পাদনা]

নিজ বাড়িতে পিতার নিকটে তার পড়ালেখার হাতেখড়ি হয়েছিল ৷ এরপর পার্শ্ববর্তী গ্রামের গোবিন্দপুর মাদ্রাসায় তিনি প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন ৷ তিনি গৌরীপুর সরকারী রাজেন্দ্র কিশোর উচ্চবিদ্যালয় থেকে মেট্রিক এবং গৌরীপুর সরকারী কলেজ থেকে আই.এ পাশ করেন ৷ রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণের কারণে তিনি পড়ালেখায় বেশিদূর অগ্রসর হতে পারেননি ৷

রাজনৈতিক জীবন

[সম্পাদনা]

রাজনীতিতে পদার্পন

[সম্পাদনা]

১৯৪৬ সালে তিনি কৃষক প্রজা পার্টির সক্রিয় কর্মী হিসেবে রাজনৈতিক জীবনে প্রবেশ করেন। ১৯৪৯ সালে তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের সাথে সাক্ষাৎ করেন। ১৯৫০ সালে আওয়ামী মুসলিম লীগ গৌরীপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক পদে ও পরবর্তীতে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন ৷ একইসময়ে তিনি ময়মনসিংহ জেলা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্বও পালন করেন।

ভাষা আন্দোলন ভূমিকা

[সম্পাদনা]

১৯৫২ সালে তিনি ভাষা আন্দোলনে ছাত্রজনতাকে ঐক্যবদ্ধ করার কারনে পাক সরকারের চক্ষুশূলে পরিণত হয়ে গ্রেফতার হন এবং দীর্ঘ ৯ মাস কারাভোগ করেন। বাংলা ভাষাকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্থানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার দাবিতে তিনি গৌরীপুরের ছাত্রজনতাকে ঐক্যবদ্ধ করেন ৷ গৌরীপুরের তৎকালীন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রবৃন্দকে নিয়ে তিনি নিয়মিত মিছিল মিটিং করেন ৷ ৫২'র ২১শে ফেব্রুয়ারী ঢাকায় ভাষা আন্দোলনে নিহত শহীদদের সম্মান জানাতে গৌরীপুর বাজারে ইট সাজিয়ে লাল কাপড়ে ঢেকে প্রতীকি শহীদ মিনার বানিয়ে তাতে ফুল দিয়েছিলেন ৷ এসময় পুলিশ এসে ছাত্রদের ছত্রভঙ্গ করে, শহীদ মিনারটি ভেঙ্গে দেয় এবং তাকে গ্রেফতার করে ৷

৫৩ পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক কর্মকান্ড

[সম্পাদনা]

১৯৫৩ সালের মার্চ মাসে তিনি ঢাকায় শের ই বাংলা এ কে ফজলুল হকের সাথে সাক্ষাৎ করেন। সে বছরই তিনি ভাষানী সোহরাওয়াদীর সাথে নেত্রকোনা মহকুমার মোহনগঞ্জে সফরে যাওয়ার পথে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে গৌরীপুর রেলস্টেশনে স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে ফুলের মালা দিয়ে অভিনন্দন জানান।

১৯৫৩ সালের ১৩ এপ্রিল গৌরীপুর শহীদ হারুন পার্কে এক বিশাল জনসভায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান, হোসেন শহীদ সোহরাওয়াদী ও মাওলানা ভাষানীর উপস্থিতিতে সর্বপ্রথম তিনি বক্তৃতা দেওয়ার সুযোগ পান। ১৯৫৪ সালে তিনি রাজনৈতিক কারনে জননিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার হন এবং কারাবরণ করেন।

১৯৬৯ এর গণঅভুত্থানে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে গৌরীপুরে গণমিছিলের নেতৃত্ব দেন। ১৯৭০ সালে নির্বাচনী প্রচারনায় বঙ্গবন্ধু ময়মনসিংহ হতে নান্দাইল যাওয়ার পথে হাতেম আলী মিয়া কলতাপাড়া বাজারে তার সহকর্মীদের নিয়ে ফুলের মালা দিয়ে অভিনন্দন জানান। []

১৯৭০ সালে জাতীয় নির্বাচনে হাতেম আলী মিয়া নৌকা প্রতীকে বিপুল ভোটে এমসিএ নির্বাচিত হন। []

১৯৭১ সালের ৪ মার্চ গৌরীপুর শহীদ হারুন পার্কে বিশাল জনসভায় তার সহকর্মীদের নিয়ে হাতেম আলী মিয়া পাকিস্তানের পতাকাতে অগ্নিসংযোগ করেন। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চ ঐতিহাসিক ভাষনের পর তিনি গৌরীপুরে সংগ্রাম কমিটির সভাপতির দ্বায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭১ সালের ২৩ এপ্রিলের পর তিনি ভারত সরকারের সহযোগিতায় মেঘালয় রাজ্যের শিববাড়িতে ইয়্যুথ ক্যাম্প স্থাপন করেন এবং ইনর্চাজ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭২ সালে তিনি গণপরিষদের সদস্য হিসেবে স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানে স্বাক্ষর করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু স্বপরিবারে নিহত হওয়ার পর বঙ্গবন্ধুর প্রাণপ্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গৌরীপুর শাখাকে তিনি শক্তহাতে সুসংগঠিত করেন। তৎকালীন সরকারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে ১৯৭৬ সালের ১৫ই আগষ্ট হাতেম আলী মিয়া তার নিজ বাসভবনে নেতাকর্মীদের নিয়ে মিলাদ মাহফিল ও কাঙ্গালী ভোজের আয়োজন করেন। খুনী পাক সরকারের রোষানলে শিকার হয়ে তিনি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন এবং রাজবন্দী হিসেবে কারাবরণ করেন।

হাতেম আলী মিয়ার আমন্ত্রনে ১৯৮৭ সালে তৎকালীন জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা গৌরীপুর তার বাসভবনে আসেন। পরে স্থানীয় হারুন পার্কে বিশাল জনসভায় ভাষন দেন।

মরহুম হাতেম আলী মিয়া জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ঘনিষ্ট রাজনৈতিক সহকর্মী ছিলেন। শেখ মুজিব এবং বেগম মুজিব দু'জনই তাকে ভীষণ ভালবাসতেন। বঙ্গবন্ধু তাকে আদর করে হাতেম বলে ডাকতেন।

জনহিতকর ও সামাজিক কর্মকান্ড

[সম্পাদনা]

মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে তার সর্বস্ব উজার করে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের কর্মী এবং সাধারণ মানুষের মাঝে। জেল জুলুম কারাবরণের মধ্য দিয়ে তিনি তার জীবনের অধিকাংশ সময় অতিবাহিত করেছেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে অনুসরণ করে চলেছেন সারাজীবন।

তিনি গৌরীপুর সরকারী কলেজ, গৌরীপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, গৌরীপুর মহিলা ডিগ্রী কলেজসহ বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠা ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি তৎকালীন সময়ে ইকবাল ক্লাব প্রতিষ্ঠা ও যুব কিশোর সংগঠন কঁচিকাঁচার আসর, গোবিন্দ জিউ মন্দির প্রতিষ্ঠা ও রাজেশ্বরী বোকাইনগর কালীবাড়ী মন্দির গৌরীপুর শহরে পুন:প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

১৯৬০ সালে বাউন্ডারী কমিশনের নিকট গৌরীপুরকে জেলায় উন্নীত করার প্রথম প্রস্তাবকারী এবং ১৯৭৫ সালের ১০ জুলাই তৎকালীন রাষ্ট্রপ্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের সাথে সাক্ষাৎ করে গৌরীপুরকে জেলা করার প্রস্তাব ও ১নং মইলাকান্দা ইউনিয়নের কাউরাট বাজারে রেলস্টেশন স্থাপন এবং নিজাম উদ্দিন আউলিয়া এর মাজারের সংস্কারের আবেদন জানান।

তিনি দৈনিক ইত্তেফাক ও দৈনিক সংবাদের নিজস্ব প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছেন। গৌরীপুর থেকে প্রকাশিত পাক্ষিক সবর্ণ বাংলা পত্রিকায় নিয়মিত কলাম লিখতেন। তার লেখা অসমাপ্ত গ্রন্থ মুজিব ভাই থেকে বঙ্গবন্ধু (অপ্রকাশিত)।

শিক্ষাজীবন

[সম্পাদনা]

নিজ বাড়িতে পিতার নিকটে তার পড়ালেখার হাতেখড়ি হয়েছিল ৷ এরপর পার্শ্ববর্তী গ্রামের গোবিন্দপুর মাদ্রাসায় তিনি প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন ৷ তিনি গৌরীপুর সরকারী রাজেন্দ্র কিশোর উচ্চবিদ্যালয় থেকে মেট্রিক এবং গৌরীপুর সরকারী কলেজ থেকে আই.এ পাশ করেন ৷ রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণের কারণে তিনি পড়ালেখায় বেশিদূর অগ্রসর হতে পারেননি ৷

রাজনৈতিক জীবন

[সম্পাদনা]

রাজনীতিতে পদার্পন

[সম্পাদনা]

১৯৪৬ সালে তিনি কৃষক প্রজা পার্টির সক্রিয় কর্মী হিসেবে রাজনৈতিক জীবনে প্রবেশ করেন। ১৯৪৯ সালে তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের সাথে সাক্ষাৎ করেন। ১৯৫০ সালে আওয়ামী মুসলিম লীগ গৌরীপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক পদে ও পরবর্তীতে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন ৷ একইসময়ে তিনি ময়মনসিংহ জেলা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্বও পালন করেন।

ভাষা আন্দোলন ভূমিকা

[সম্পাদনা]

১৯৫২ সালে তিনি ভাষা আন্দোলনে ছাত্রজনতাকে ঐক্যবদ্ধ করার কারনে পাক সরকারের চক্ষুশূলে পরিণত হয়ে গ্রেফতার হন এবং দীর্ঘ ৯ মাস কারাভোগ করেন। বাংলা ভাষাকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্থানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার দাবিতে তিনি গৌরীপুরের ছাত্রজনতাকে ঐক্যবদ্ধ করেন ৷ গৌরীপুরের তৎকালীন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রবৃন্দকে নিয়ে তিনি নিয়মিত মিছিল মিটিং করেন ৷ ৫২'র ২১শে ফেব্রুয়ারী ঢাকায় ভাষা আন্দোলনে নিহত শহীদদের সম্মান জানাতে গৌরীপুর বাজারে ইট সাজিয়ে লাল কাপড়ে ঢেকে প্রতীকি শহীদ মিনার বানিয়ে তাতে ফুল দিয়েছিলেন ৷ এসময় পুলিশ এসে ছাত্রদের ছত্রভঙ্গ করে, শহীদ মিনারটি ভেঙ্গে দেয় এবং তাকে গ্রেফতার করে ৷

৫৩ পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক কর্মকান্ড

[সম্পাদনা]

১৯৫৩ সালের মার্চ মাসে তিনি ঢাকায় শের ই বাংলা এ কে ফজলুল হকের সাথে সাক্ষাৎ করেন। সে বছরই তিনি ভাষানী সোহরাওয়াদীর সাথে নেত্রকোনা মহকুমার মোহনগঞ্জে সফরে যাওয়ার পথে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে গৌরীপুর রেলস্টেশনে স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে ফুলের মালা দিয়ে অভিনন্দন জানান।

১৯৫৩ সালের ১৩ এপ্রিল গৌরীপুর শহীদ হারুন পার্কে এক বিশাল জনসভায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান, হোসেন শহীদ সোহরাওয়াদী ও মাওলানা ভাষানীর উপস্থিতিতে সর্বপ্রথম তিনি বক্তৃতা দেওয়ার সুযোগ পান। ১৯৫৪ সালে তিনি রাজনৈতিক কারনে জননিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার হন এবং কারাবরণ করেন।

১৯৬৯ এর গণঅভুত্থানে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে গৌরীপুরে গণমিছিলের নেতৃত্ব দেন। ১৯৭০ সালে নির্বাচনী প্রচারনায় বঙ্গবন্ধু ময়মনসিংহ হতে নান্দাইল যাওয়ার পথে হাতেম আলী মিয়া কলতাপাড়া বাজারে তার সহকর্মীদের নিয়ে ফুলের মালা দিয়ে অভিনন্দন জানান। []

১৯৭০ সালে জাতীয় নির্বাচনে হাতেম আলী মিয়া নৌকা প্রতীকে বিপুল ভোটে এমসিএ নির্বাচিত হন। []

১৯৭১ সালের ৪ মার্চ গৌরীপুর শহীদ হারুন পার্কে বিশাল জনসভায় তার সহকর্মীদের নিয়ে হাতেম আলী মিয়া পাকিস্তানের পতাকাতে অগ্নিসংযোগ করেন। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চ ঐতিহাসিক ভাষনের পর তিনি গৌরীপুরে সংগ্রাম কমিটির সভাপতির দ্বায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭১ সালের ২৩ এপ্রিলের পর তিনি ভারত সরকারের সহযোগিতায় মেঘালয় রাজ্যের শিববাড়িতে ইয়্যুথ ক্যাম্প স্থাপন করেন এবং ইনর্চাজ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭২ সালে তিনি গণপরিষদের সদস্য হিসেবে স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানে স্বাক্ষর করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু স্বপরিবারে নিহত হওয়ার পর বঙ্গবন্ধুর প্রাণপ্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গৌরীপুর শাখাকে তিনি শক্তহাতে সুসংগঠিত করেন। তৎকালীন সরকারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে ১৯৭৬ সালের ১৫ই আগষ্ট হাতেম আলী মিয়া তার নিজ বাসভবনে নেতাকর্মীদের নিয়ে মিলাদ মাহফিল ও কাঙ্গালী ভোজের আয়োজন করেন। খুনী পাক সরকারের রোষানলে শিকার হয়ে তিনি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন এবং রাজবন্দী হিসেবে কারাবরণ করেন।

হাতেম আলী মিয়ার আমন্ত্রনে ১৯৮৭ সালে তৎকালীন জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা গৌরীপুর তার বাসভবনে আসেন। পরে স্থানীয় হারুন পার্কে বিশাল জনসভায় ভাষন দেন।

মরহুম হাতেম আলী মিয়া জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ঘনিষ্ট রাজনৈতিক সহকর্মী ছিলেন। শেখ মুজিব এবং বেগম মুজিব দু'জনই তাকে ভীষণ ভালবাসতেন। বঙ্গবন্ধু তাকে আদর করে হাতেম বলে ডাকতেন।

জনহিতকর ও সামাজিক কর্মকান্ড

[সম্পাদনা]

মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে তার সর্বস্ব উজার করে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের কর্মী এবং সাধারণ মানুষের মাঝে। জেল জুলুম কারাবরণের মধ্য দিয়ে তিনি তার জীবনের অধিকাংশ সময় অতিবাহিত করেছেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে অনুসরণ করে চলেছেন সারাজীবন।

তিনি গৌরীপুর সরকারী কলেজ, গৌরীপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, গৌরীপুর মহিলা ডিগ্রী কলেজসহ বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠা ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি তৎকালীন সময়ে ইকবাল ক্লাব প্রতিষ্ঠা ও যুব কিশোর সংগঠন কঁচিকাঁচার আসর, গোবিন্দ জিউ মন্দির প্রতিষ্ঠা ও রাজেশ্বরী বোকাইনগর কালীবাড়ী মন্দির গৌরীপুর শহরে পুন:প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

১৯৬০ সালে বাউন্ডারী কমিশনের নিকট গৌরীপুরকে জেলায় উন্নীত করার প্রথম প্রস্তাবকারী এবং ১৯৭৫ সালের ১০ জুলাই তৎকালীন রাষ্ট্রপ্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের সাথে সাক্ষাৎ করে গৌরীপুরকে জেলা করার প্রস্তাব ও ১নং মইলাকান্দা ইউনিয়নের কাউরাট বাজারে রেলস্টেশন স্থাপন এবং নিজাম উদ্দিন আউলিয়া এর মাজারের সংস্কারের আবেদন জানান।

তিনি দৈনিক ইত্তেফাক ও দৈনিক সংবাদের নিজস্ব প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছেন। গৌরীপুর থেকে প্রকাশিত পাক্ষিক সবর্ণ বাংলা পত্রিকায় নিয়মিত কলাম লিখতেন। তার লেখা অসমাপ্ত গ্রন্থ মুজিব ভাই থেকে বঙ্গবন্ধু (অপ্রকাশিত)।

শিক্ষাজীবন

[সম্পাদনা]

নিজ বাড়িতে পিতার নিকটে তার পড়ালেখার হাতেখড়ি হয়েছিল ৷ এরপর পার্শ্ববর্তী গ্রামের গোবিন্দপুর মাদ্রাসায় তিনি প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন ৷ তিনি গৌরীপুর সরকারী রাজেন্দ্র কিশোর উচ্চবিদ্যালয় থেকে মেট্রিক এবং গৌরীপুর সরকারী কলেজ থেকে আই.এ পাশ করেন ৷ রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণের কারণে তিনি পড়ালেখায় বেশিদূর অগ্রসর হতে পারেননি ৷

রাজনৈতিক জীবন

[সম্পাদনা]

রাজনীতিতে পদার্পন

[সম্পাদনা]

১৯৪৬ সালে তিনি কৃষক প্রজা পার্টির সক্রিয় কর্মী হিসেবে রাজনৈতিক জীবনে প্রবেশ করেন। ১৯৪৯ সালে তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের সাথে সাক্ষাৎ করেন। ১৯৫০ সালে আওয়ামী মুসলিম লীগ গৌরীপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক পদে ও পরবর্তীতে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন ৷ একইসময়ে তিনি ময়মনসিংহ জেলা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্বও পালন করেন।

ভাষা আন্দোলন ভূমিকা

[সম্পাদনা]

১৯৫২ সালে তিনি ভাষা আন্দোলনে ছাত্রজনতাকে ঐক্যবদ্ধ করার কারনে পাক সরকারের চক্ষুশূলে পরিণত হয়ে গ্রেফতার হন এবং দীর্ঘ ৯ মাস কারাভোগ করেন। বাংলা ভাষাকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্থানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার দাবিতে তিনি গৌরীপুরের ছাত্রজনতাকে ঐক্যবদ্ধ করেন ৷ গৌরীপুরের তৎকালীন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রবৃন্দকে নিয়ে তিনি নিয়মিত মিছিল মিটিং করেন ৷ ৫২'র ২১শে ফেব্রুয়ারী ঢাকায় ভাষা আন্দোলনে নিহত শহীদদের সম্মান জানাতে গৌরীপুর বাজারে ইট সাজিয়ে লাল কাপড়ে ঢেকে প্রতীকি শহীদ মিনার বানিয়ে তাতে ফুল দিয়েছিলেন ৷ এসময় পুলিশ এসে ছাত্রদের ছত্রভঙ্গ করে, শহীদ মিনারটি ভেঙ্গে দেয় এবং তাকে গ্রেফতার করে ৷

৫৩ পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক কর্মকান্ড

[সম্পাদনা]

১৯৫৩ সালের মার্চ মাসে তিনি ঢাকায় শের ই বাংলা এ কে ফজলুল হকের সাথে সাক্ষাৎ করেন। সে বছরই তিনি ভাষানী সোহরাওয়াদীর সাথে নেত্রকোনা মহকুমার মোহনগঞ্জে সফরে যাওয়ার পথে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে গৌরীপুর রেলস্টেশনে স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে ফুলের মালা দিয়ে অভিনন্দন জানান।

১৯৫৩ সালের ১৩ এপ্রিল গৌরীপুর শহীদ হারুন পার্কে এক বিশাল জনসভায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান, হোসেন শহীদ সোহরাওয়াদী ও মাওলানা ভাষানীর উপস্থিতিতে সর্বপ্রথম তিনি বক্তৃতা দেওয়ার সুযোগ পান। ১৯৫৪ সালে তিনি রাজনৈতিক কারনে জননিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার হন এবং কারাবরণ করেন।

১৯৬৯ এর গণঅভুত্থানে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে গৌরীপুরে গণমিছিলের নেতৃত্ব দেন। ১৯৭০ সালে নির্বাচনী প্রচারনায় বঙ্গবন্ধু ময়মনসিংহ হতে নান্দাইল যাওয়ার পথে হাতেম আলী মিয়া কলতাপাড়া বাজারে তার সহকর্মীদের নিয়ে ফুলের মালা দিয়ে অভিনন্দন জানান।

১৯৭০ সালে জাতীয় নির্বাচনে হাতেম আলী মিয়া নৌকা প্রতীকে বিপুল ভোটে এমসিএ নির্বাচিত হন।

১৯৭১ সালের ৪ মার্চ গৌরীপুর শহীদ হারুন পার্কে বিশাল জনসভায় তার সহকর্মীদের নিয়ে হাতেম আলী মিয়া পাকিস্তানের পতাকাতে অগ্নিসংযোগ করেন। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চ ঐতিহাসিক ভাষনের পর তিনি গৌরীপুরে সংগ্রাম কমিটির সভাপতির দ্বায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭১ সালের ২৩ এপ্রিলের পর তিনি ভারত সরকারের সহযোগিতায় মেঘালয় রাজ্যের শিববাড়িতে ইয়্যুথ ক্যাম্প স্থাপন করেন এবং ইনর্চাজ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭২ সালে তিনি গণপরিষদের সদস্য হিসেবে স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানে স্বাক্ষর করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু স্বপরিবারে নিহত হওয়ার পর বঙ্গবন্ধুর প্রাণপ্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গৌরীপুর শাখাকে তিনি শক্তহাতে সুসংগঠিত করেন। তৎকালীন সরকারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে ১৯৭৬ সালের ১৫ই আগষ্ট হাতেম আলী মিয়া তার নিজ বাসভবনে নেতাকর্মীদের নিয়ে মিলাদ মাহফিল ও কাঙ্গালী ভোজের আয়োজন করেন। খুনী পাক সরকারের রোষানলে শিকার হয়ে তিনি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন এবং রাজবন্দী হিসেবে কারাবরণ করেন।

হাতেম আলী মিয়ার আমন্ত্রনে ১৯৮৭ সালে তৎকালীন জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা গৌরীপুর তার বাসভবনে আসেন। পরে স্থানীয় হারুন পার্কে বিশাল জনসভায় ভাষন দেন।

মরহুম হাতেম আলী মিয়া জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ঘনিষ্ট রাজনৈতিক সহকর্মী ছিলেন। শেখ মুজিব এবং বেগম মুজিব দু'জনই তাকে ভীষণ ভালবাসতেন। বঙ্গবন্ধু তাকে আদর করে হাতেম বলে ডাকতেন।

জনহিতকর ও সামাদিক কর্মকান্ড

[সম্পাদনা]

মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে তার সর্বস্ব উজার করে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের কর্মী এবং সাধারণ মানুষের মাঝে। জেল জুলুম কারাবরণের মধ্য দিয়ে তিনি তার জীবনের অধিকাংশ সময় অতিবাহিত করেছেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে অনুসরণ করে চলেছেন সারাজীবন।

তিনি গৌরীপুর সরকারী কলেজ, গৌরীপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, গৌরীপুর মহিলা ডিগ্রী কলেজসহ বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠা ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি তৎকালীন সময়ে ইকবাল ক্লাব প্রতিষ্ঠা ও যুব কিশোর সংগঠন কঁচিকাঁচার আসর, গোবিন্দ জিউ মন্দির প্রতিষ্ঠা ও রাজেশ্বরী বোকাইনগর কালীবাড়ী মন্দির গৌরীপুর শহরে পুন:প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

১৯৬০ সালে বাউন্ডারী কমিশনের নিকট গৌরীপুরকে জেলায় উন্নীত করার প্রথম প্রস্তাবকারী এবং ১৯৭৫ সালের ১০ জুলাই তৎকালীন রাষ্ট্রপ্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের সাথে সাক্ষাৎ করে গৌরীপুরকে জেলা করার প্রস্তাব ও ১নং মইলাকান্দা ইউনিয়নের কাউরাট বাজারে রেলস্টেশন স্থাপন এবং নিজাম উদ্দিন আউলিয়া এর মাজারের সংস্কারের আবেদন জানান।

তিনি দৈনিক ইত্তেফাক ও দৈনিক সংবাদের নিজস্ব প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছেন। গৌরীপুর থেকে প্রকাশিত পাক্ষিক সবর্ণ বাংলা পত্রিকায় নিয়মিত কলাম লিখতেন। তার লেখা অসমাপ্ত গ্রন্থ মুজিব ভাই থেকে বঙ্গবন্ধু (অপ্রকাশিত)।

শিক্ষাজীবন

[সম্পাদনা]

নিজ বাড়িতে পিতার নিকটে তার পড়ালেখার হাতেখড়ি হয়েছিল ৷ এরপর পার্শ্ববর্তী গ্রামের গোবিন্দপুর মাদ্রাসায় তিনি প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন ৷ তিনি গৌরীপুর সরকারী রাজেন্দ্র কিশোর উচ্চবিদ্যালয় থেকে মেট্রিক এবং গৌরীপুর সরকারী কলেজ থেকে আই.এ পাশ করেন ৷ রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণের কারণে তিনি পড়ালেখায় বেশিদূর অগ্রসর হতে পারেননি ৷

রাজনৈতিক জীবন

[সম্পাদনা]

১৯৪৬ সালে তিনি কৃষক প্রজা পার্টির সক্রিয় কর্মী হিসেবে রাজনৈতিক জীবনে প্রবেশ করেন। ১৯৪৯ সালে তিনি জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের সাথে সাক্ষাৎ করেন। ১৯৫০ সালে আওয়ামী মুসলিম লীগ গৌরীপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক পদে ও পরবর্তীতে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন এবং একইসময়ে তিনি ময়মনসিংহ জেলা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্বও পালন করেন।

১৯৫২ সালে তিনি ভাষা আন্দোলনে ছাত্রজনতাকে ঐক্যবদ্ধ করার কারনে গ্রেফতার হন এবং ৯ মাস কারাভোগ করেন। ১৯৫৩ সালে তিনি ঢাকায় গিয়ে শের ই বাংলা এ কে ফজলুল হকের সাথে সাক্ষাৎ করেন। সে বছরই তিনি ভাষানী সোহরাওয়াদীর সাথে নেত্রকোনা মহকুমার মোহনগঞ্জে সফরে যাওয়ার পথে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে গৌরীপুর রেলস্টেশনে স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে ফুলের মালা দিয়ে অভিনন্দন জানান।

১৯৫৩ সালের ১৩ এপ্রিল গৌরীপুর শহীদ হারুন পার্কে এক বিশাল জনসভায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান, হোসেন শহীদ সোহরাওয়াদী ও মাওলানা ভাষানীর উপস্থিতিতে সর্বপ্রথম তিনি বক্তৃতা দেওয়ার সুযোগ পান। ১৯৫৪ সালে তিনি রাজনৈতিক কারনে জননিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার হন এবং কারাবরণ করেন।

১৯৬৯ এর গণঅভুত্থানে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে গৌরীপুরে গণমিছিলের নেতৃত্ব দেন। ১৯৭০ সালে নির্বাচনী প্রচারনায় বঙ্গবন্ধু ময়মনসিংহ হতে নান্দাইল যাওয়ার পথে হাতেম আলী মিয়া কলতাপাড়া বাজারে তার সহকর্মীদের নিয়ে ফুলের মালা দিয়ে অভিনন্দন জানান।

১৯৭০ সালে জাতীয় নির্বাচনে হাতেম আলী মিয়া নৌকা প্রতীকে বিপুল ভোটে এমসিএ নির্বাচিত হন।

১৯৭১ সালের ৪ মার্চ গৌরীপুর শহীদ হারুন পার্কে বিশাল জনসভায় তার সহকর্মীদের নিয়ে হাতেম আলী মিয়া পাকিস্তানের পতাকাতে অগ্নিসংযোগ করেন। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চ ঐতিহাসিক ভাষনের পর তিনি গৌরীপুরে সংগ্রাম কমিটির সভাপতির দ্বায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭১ সালের ২৩ এপ্রিলের পর তিনি ভারত সরকারের সহযোগিতায় মেঘালয় রাজ্যের শিববাড়িতে ইয়্যুথ ক্যাম্প স্থাপন করেন এবং ইনর্চাজ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭২ সালে তিনি গণপরিষদের সদস্য হিসেবে স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানে স্বাক্ষর করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু স্বপরিবারে নিহত হওয়ার পর বঙ্গবন্ধুর প্রাণপ্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গৌরীপুর শাখাকে তিনি শক্তহাতে সুসংগঠিত করেন। তৎকালীন সরকারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে ১৯৭৬ সালের ১৫ই আগষ্ট হাতেম আলী মিয়া তার নিজ বাসভবনে নেতাকর্মীদের নিয়ে মিলাদ মাহফিল ও কাঙ্গালী ভোজের আয়োজন করেন। খুনী পাক সরকারের রোষানলে শিকার হয়ে তিনি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন এবং রাজবন্দী হিসেবে কারাবরণ করেন।

হাতেম আলী মিয়ার আমন্ত্রনে ১৯৮৭ সালে তৎকালীন জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা গৌরীপুর তার বাসভবনে আসেন। পরে স্থানীয় হারুন পার্কে বিশাল জনসভায় ভাষন দেন।

মরহুম হাতেম আলী মিয়া জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের ঘনিষ্ট রাজনৈতিক সহকর্মী ছিলেন। শেখ মুজিব এবং বেগম মুজিব দু'জনই তাকে ভীষণ ভালবাসতেন। বঙ্গবন্ধু তাকে আদর করে হাতেম বলে ডাকতেন।

জনহিতকর ও সামাদিক কর্মকান্ড

[সম্পাদনা]

মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে তার সর্বস্ব উজার করে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের কর্মী এবং সাধারণ মানুষের মাঝে। জেল জুলুম কারাবরণের মধ্য দিয়ে তিনি তার জীবনের অধিকাংশ সময় অতিবাহিত করেছেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে অনুসরণ করে চলেছেন সারাজীবন।

তিনি গৌরীপুর সরকারী কলেজ, গৌরীপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, গৌরীপুর মহিলা ডিগ্রী কলেজসহ বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠা ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি তৎকালীন সময়ে ইকবাল ক্লাব প্রতিষ্ঠা ও যুব কিশোর সংগঠন কঁচিকাঁচার আসর, গোবিন্দ জিউ মন্দির প্রতিষ্ঠা ও রাজেশ্বরী বোকাইনগর কালীবাড়ী মন্দির গৌরীপুর শহরে পুন:প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

১৯৬০ সালে বাউন্ডারী কমিশনের নিকট গৌরীপুরকে জেলায় উন্নীত করার প্রথম প্রস্তাবকারী এবং ১৯৭৫ সালের ১০ জুলাই তৎকালীন রাষ্ট্রপ্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের সাথে সাক্ষাৎ করে গৌরীপুরকে জেলা করার প্রস্তাব ও ১নং মইলাকান্দা ইউনিয়নের কাউরাট বাজারে রেলস্টেশন স্থাপন এবং নিজাম উদ্দিন আউলিয়া এর মাজারের সংস্কারের আবেদন জানান।

তিনি দৈনিক ইত্তেফাক ও দৈনিক সংবাদের নিজস্ব প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছেন। গৌরীপুর থেকে প্রকাশিত পাক্ষিক সবর্ণ বাংলা পত্রিকায় নিয়মিত কলাম লিখতেন। তার লেখা অসমাপ্ত গ্রন্থ মুজিব ভাই থেকে বঙ্গবন্ধু (অপ্রকাশিত)।

ঐতিহাসিক চিত্রসমূহ

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্রঃ

[সম্পাদনা]
  1. ((ওয়েব উদ্ধৃতি | ইউআরএল=https://www.dainikamadershomoy.com/post/407117 | শিরোনাম= শাহনেওয়াজের কথায় গাইলেন অনিরুদ্ধ শুভ | প্রকাশক= দৈনিক আমাদের সময় | সংগ্রহের-তারিখ=২২ নভেম্বর ২০২২
  2. ((ওয়েব উদ্ধৃতি | ইউআরএল=https://epaper.amarbarta.com/?date=2023-10-07&page=10&news=10_105 | শিরোনাম=সেরাকন্ঠের ফাইনালিস্ট যারা | প্রকাশক= দৈনিক জনকন্ঠ | সংগ্রহের-তারিখ=২০২৪
  3. ((ওয়েব উদ্ধৃতি | ইউআরএল=https://www.dailyjanakantha.com/entertainment/song/697175 | শিরোনাম=সেরা কণ্ঠের সুপার রাউন্ডে শুভ | প্রকাশক= দৈনিক জনকন্ঠ | সংগ্রহের-তারিখ=২৮ আগস্ট ২০২৩
  4. ((ওয়েব উদ্ধৃতি | ইউআরএল=https://dainiksomoysangbad24.com/news/12323 | শিরোনাম=গৌরীপুরের ভাষা সৈনিক এম.সি.এ হাতেম আলী মিয়ার ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত | প্রকাশক= দৈনিক সময় সংবাদ ২৪ | সংগ্রহের-তারিখ=২৬ এপ্রিল ২০২০ | লেখক= কমল সরকার
  5. "বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সহচর গণপরিষদ সদস্য হাতেম আলী মিয়া'কে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ"দৈনিক দেশের সংবাদ। সংগ্রহের তারিখ ২৬ এপ্রিল ২০২২ 
  6. ((ওয়েব উদ্ধৃতি | ইউআরএল=https://dainiksomoysangbad24.com/news/12323 | শিরোনাম=গৌরীপুরের ভাষা সৈনিক এম.সি.এ হাতেম আলী মিয়ার ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত | প্রকাশক= দৈনিক সময় সংবাদ ২৪ | সংগ্রহের-তারিখ=২৬ এপ্রিল ২০২০ | লেখক= কমল সরকার
  7. "বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সহচর গণপরিষদ সদস্য হাতেম আলী মিয়া'কে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ"দৈনিক দেশের সংবাদ। সংগ্রহের তারিখ ২৬ এপ্রিল ২০২২ 
{{bottomLinkPreText}} {{bottomLinkText}}
ব্যবহারকারী:Anjon mallick/খেলাঘর
Listen to this article

This browser is not supported by Wikiwand :(
Wikiwand requires a browser with modern capabilities in order to provide you with the best reading experience.
Please download and use one of the following browsers:

This article was just edited, click to reload
This article has been deleted on Wikipedia (Why?)

Back to homepage

Please click Add in the dialog above
Please click Allow in the top-left corner,
then click Install Now in the dialog
Please click Open in the download dialog,
then click Install
Please click the "Downloads" icon in the Safari toolbar, open the first download in the list,
then click Install
{{::$root.activation.text}}

Install Wikiwand

Install on Chrome Install on Firefox
Don't forget to rate us

Tell your friends about Wikiwand!

Gmail Facebook Twitter Link

Enjoying Wikiwand?

Tell your friends and spread the love:
Share on Gmail Share on Facebook Share on Twitter Share on Buffer

Our magic isn't perfect

You can help our automatic cover photo selection by reporting an unsuitable photo.

This photo is visually disturbing This photo is not a good choice

Thank you for helping!


Your input will affect cover photo selection, along with input from other users.

X

Get ready for Wikiwand 2.0 🎉! the new version arrives on September 1st! Don't want to wait?