বিলি বেটস
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | উইলি বেটস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | হাডার্সফিল্ড, ইংল্যান্ড | ১৯ নভেম্বর ১৮৫৫|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ৮ জানুয়ারি ১৯০০ লেপটন, ইয়র্কশায়ার, ইংল্যান্ড | (বয়স ৪৪)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি অফ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৩০) | ৩১ ডিসেম্বর ১৮৮১ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১ মার্চ ১৮৮৭ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৮৭৭-১৮৮৭ | ইয়র্কশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো, ২৯ আগস্ট ২০১৭ |
উইলি বেটস (ইংরেজি: Billy Bates; জন্ম: ১৯ নভেম্বর, ১৮৫৫ - মৃত্যু: ৮ জানুয়ারি, ১৯০০) হাডার্সফিল্ড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন।[১] ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার ছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে অফ ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন ‘ডিউক’ ডাকনামে পরিচিত বিলি বেটস। কাউন্টি ক্রিকেটে ইয়র্কশায়ার ক্লাবের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি।
প্রারম্ভিক জীবন
[সম্পাদনা]১৮৭৩ সালে রচডেল দলের পক্ষে পেশাদার ক্রিকেটে অংশ নেন তিনি। চার বছর পর ইয়র্কশায়ারের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। প্রতিপক্ষ মিডলসেক্সের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ৪/৬৯ লাভ করেন। ইয়র্কশায়ারে তিনি দশ বছরকাল অতিবাহিত করেন।
১৮৭৯ সালে ওভালে অনুষ্ঠিত ঘরোয়া ক্রিকেটের খেলায় সারে দলের বিপক্ষে নিজস্ব সেরা ৮/২১ পান। বেটস কেবলমাত্র একবার ১৮৮১ সালে শতাধিক প্রথম-শ্রেণীর উইকেট লাভ করেছেন। ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি পাঁচ মৌসুমে ১০ সেঞ্চুরিসহ সহস্রাধিক রান তুলেন। তন্মধ্যে, ১৮৮৪ সালে ৩ সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন। ১৮৮২ সালে লর্ডসে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-৩০ বনাম ৩০-ঊর্ধ্ব দলের মধ্যকার প্রথম-শ্রেণীর খেলায় নিজস্ব সর্বোচ্চ অপরাজিত ১৪৪* রান করেন। এর দ্বিতীয় ইনিংসে মিতব্যয়ী বোলিং পরিসংখ্যান করেন ২২-১৫-১৭-৩।
খেলোয়াড়ী জীবন
[সম্পাদনা]সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে পনের টেস্টে অংশগ্রহণ করেন তিনি। ৩১ ডিসেম্বর, ১৮৮১ তারিখে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তার টেস্ট অভিষেক ঘটে। ১৮৮১-৮২ থেকে ১৮৮৬-৮৭ মৌসুম পর্যন্ত ইংল্যান্ডের পক্ষে অংশগ্রহণকৃত টেস্টের সবকটিতেই প্রতিপক্ষ দল ছিল অস্ট্রেলিয়া।
১৮৮২-৮৩ মৌসুমে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ইংল্যান্ডের একমাত্র ইনিংসে তিনি ৫৫ রান তোলেন। এরপর তিনি হ্যাট্রিকসহ ৭/২৮ লাভ করেন ও অস্ট্রেলিয়া দলকে ফলো-অনে পাঠান। দ্বিতীয় ইনিংসে ৭/৭৪ পরিসংখ্যান গড়ে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ইনিংসের ব্যবধানে জয়ে সহায়তা করেন। ঐ টেস্টে তিনি বেশ কিছুসংখ্যক রেকর্ড গড়েন। ইংল্যান্ডের পক্ষে প্রথম হ্যাট্রিক লাভ, ৭/২৮ ও খেলায় ১৪ উইকেট প্রাপ্তি টেস্টে সেরা ছিল। তার পূর্বে কোন বোলার ১০ বা ততোধিক উইকেটসহ অর্ধ-শতক করতে পারেননি।
১৮৮২-৮৩ মৌসুমে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের মধ্যকার মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত টেস্টে বিলি বেটস হ্যাট্রিক করেন।[২] ২০ জানুয়ারি, ১৮৮৩ তারিখে অনুষ্ঠিত ঐ টেস্টে বিলি বেটস অস্ট্রেলীয় পার্সি ম্যাকডোনেলকে বোল্ড, জর্জ গিফেনকে কট এন্ড বোল্ড এবং জর্জ বোনরকে ওয়াল্টার রিডের গ্লাভসে কট আউটের মাধ্যমে এ কৃতিত্ব গড়েছিলেন।
চার্লস ম্যারিয়ট (ইংল্যান্ড) | ৮.৭২
|
ফ্রেডরিক মার্টিন (ইংল্যান্ড) | ১০.০৭
|
জর্জ লোহম্যান (ইংল্যান্ড) | ১০.৭৫
|
লরি ন্যাশ (অস্ট্রেলিয়া) | ১২.৬০
|
জন ফেরিস (অস্ট্রেলিয়া/ইংল্যান্ড) | ১২.৭০
|
টম হোরান (অস্ট্রেলিয়া) | ১৩.০০
|
হ্যারি ডিন (ইংল্যান্ড) | ১৩.৯০
|
আলবার্ট ট্রট (অস্ট্রেলিয়া/ইংল্যান্ড) | ১৫.০০
|
মাইক প্রোক্টর (দক্ষিণ আফ্রিকা) | ১৫.০২
|
জ্যাক আইভারসন (অস্ট্রেলিয়া) | ১৫.২৩
|
টম কেন্ডল (অস্ট্রেলিয়া) | ১৫.৩৫
|
অ্যালেক হারউড (অস্ট্রেলিয়া) | ১৫.৪৫
|
বিলি বার্নস (ইংল্যান্ড) | ১৫.৫৪
|
জন ট্রিম (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) | ১৬.১৬
|
বিলি বেটস (ইংল্যান্ড) | ১৬.৪২
|
তথ্য: ক্রিকইনফো যোগ্যতা: পূর্ণাঙ্গ টেস্ট জীবনে কমপক্ষে ১০ উইকেট। |
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
[সম্পাদনা]ঘরোয়া ক্রিকেটে ১৮৭৯ সালে ওভালে অনুষ্ঠিত খেলায় সারে দলের বিপক্ষে নিজস্ব সেরা ৮/২১ পান। বেটস কেবলমাত্র একবার ১৮৮১ সালে শতাধিক প্রথম-শ্রেণীর উইকেট লাভ করেছেন। ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি পাঁচ মৌসুমে ১০ সেঞ্চুরিসহ সহস্রাধিক রান তুলেন। তন্মধ্যে, ১৮৮৪ সালে ৩ সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন। ১৮৮২ সালে লর্ডসে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-৩০ বনাম ৩০-ঊর্ধ্ব দলের মধ্যকার প্রথম-শ্রেণীর খেলায় নিজস্ব সর্বোচ্চ অপরাজিত ১৪৪* রান করেন। এর দ্বিতীয় ইনিংসে মিতব্যয়ী বোলিং পরিসংখ্যান করেন ২২-১৫-১৭-৩।
অংশগ্রহণকৃত সবগুলো টেস্টই ইংল্যান্ডের বাইরে খেলেন যা যে-কোন খেলোয়াড়ের পূর্ণাঙ্গ খেলোয়াড়ী জীবনে নিজ মাঠে না খেলে সম্পন্ন হয়। এটি অদ্যাবধি সর্বোচ্চসংখ্যক টেস্ট খেলার রেকর্ড হিসেবে গণ্য হয়ে আছে।[৩]
অবসর
[সম্পাদনা]বেটসের খেলোয়াড়ী জীবন আকস্মিকভাবে শেষ হয়। ১৮৮৭-৮৮ মৌসুমে জি.এফ. ভার্ননের ক্রিকেট একাদশের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত টেস্টবিহীন খেলায় অনুশীলনের একপর্যায়ে দলীয় সঙ্গীর মোকাবেলা বলে তার চোখে আঘাত লাগে। এরফলে তার দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পায় ও আর কখনো প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নেননি। এরপরও ১৮৯০-এর দশকের শুরুতে ক্লাব ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন ও কোচ হিসেবে অংশ নেন।
দেহাবসান
[সম্পাদনা]অবসর নেয়ার পর তিনি গভীর হতাশায় ভুগতে থাকেন। অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণ শেষে তিনি একবার আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছিলেন। ডিসেম্বর, ১৮৯৯ সালে ইয়র্কশায়ারের সতীর্থ খেলোয়াড় জন থিউলিসের শবযাত্রায় অংশগ্রহণ শেষে তার সর্দি নামে। তার অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটতে থাকে ও অল্প কয়েকদিন পরই হাডার্সফিল্ডে ৪৪ বছর বয়সে দেহাবসান ঘটে।
তার সন্তান উইলিয়াম বেটস ইয়র্কশায়ার ও গ্ল্যামারগনের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট দীর্ঘদিন অংশ নিয়েছিলেন।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Warner, David (২০১১)। The Yorkshire County Cricket Club: 2011 Yearbook (113th সংস্করণ)। Ilkley, Yorkshire: Great Northern Books। পৃষ্ঠা 363। আইএসবিএন 000-0-000000-00-0
|আইএসবিএন=
এর মান পরীক্ষা করুন: invalid prefix (সাহায্য)। - ↑ "England (IFW Bligh's XI) tour of Australia, 1882/83: The Ashes – 2nd Test"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০১৩।
- ↑ Walmsley, Keith (২০০৩)। Mosts Without in Test Cricket। Reading, England: Keith Walmsley Publishing Pty Ltd। পৃষ্ঠা 457। আইএসবিএন 0947540067।.
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে বিলি বেটস (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে বিলি বেটস (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)
টেস্ট ক্রিকেটে ৫০ বা তার নীচে স্ট্রাইক রেটধারী বোলার | |
---|---|
অস্ট্রেলিয়া |
|
ইংল্যান্ড |
|
নিউজিল্যান্ড |
|
পাকিস্তান |
|
দক্ষিণ আফ্রিকা |
|
ওয়েস্ট ইন্ডিজ |
|
জিম্বাবুয়ে |
|
যোগ্যতা: টেস্টে কমপক্ষে ২০০০ বল ডেলিভারি। বর্তমান খেলোয়াড়দেরকে তালিকায় বাঁকা হরফে দেখানো হয়েছে। |
ইংল্যান্ড দল – ১৮৮৪-৮৫ অ্যাশেজ সিরিজ (৩য় সিরিজ জয়) | |
---|---|
বাঁকা হরফে দলে অন্তর্ভূক্ত হলেও কোন খেলায় অংশগ্রহণ না করাকে বুঝানো হয়েছে |
ইংল্যান্ড দল – ১৮৮৬-৮৭ অ্যাশেজ সিরিজ (৫ম সিরিজ জয়) | |
---|---|
বাঁকা হরফে দলে অন্তর্ভূক্ত খেলোয়াড়কে দেখানো হয়েছে যারা কোন খেলায় অংশগ্রহণ করেননি। |
ইংল্যান্ড দল – ১৮৮৭-৮৮ অ্যাশেজ সিরিজ (৬ষ্ঠ সিরিজ জয়) | |
---|---|
| |
বাঁকা হরফে ঐ মৌসুমে এ শ্রিউসবারি একাদশ বা জি এফ ভার্ননের সফরকারী একাদশের পক্ষে অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়দেরকে বুঝানো হয়েছে। তবে তাঁরা সম্মিলিত ইংরেজ দলের পক্ষে অ্যাশেজের কোন খেলায় অংশগ্রহণ করেননি। |
Text is available under the CC BY-SA 4.0 license; additional terms may apply.
Images, videos and audio are available under their respective licenses.