বরোবুদুর মন্দির প্রাঙ্গণ
ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান | |
---|---|
মানদণ্ড | সাংস্কৃতিক: ১,২ and ৬ |
সূত্র | ৫৯২ |
তালিকাভুক্তকরণ | ১৯৯১ (১৫তম সভা) |
বরোবুদুর মন্দির প্রাঙ্গণ ইন্দোনেশিয়ার মধ্য জাভায় অবস্থিত একটি এলাকা যার মধ্যে তিনটি বৌদ্ধ মন্দির অবস্থিত। একসাথে পুরো প্রাঙ্গণ ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃত। বরোবুদুর, মেনদূত ও পাওন নামক তিনটি মন্দির এর মধ্যে পড়ে। মন্দির তিনটি একটি সরল রেখায় অবস্থিত ও অষ্টম থেকে নবম শতাব্দীর মধ্যে শৈলেন্দ্র সাম্রাজ্যে তৈরী বলে মনে করা হয়।
বরোবুদুর জগ্যকরতা থেকে আনুমানিক ৪০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে, দুটি যমজ আগ্নেয়গিরি সুন্দরো-সুম্বিং ও মেরবাবু-মেরাপি এবং দুটি নদী প্রোগো ও এলোর মধ্যে একটি উত্থিত এলাকায় অবস্থিত। স্থানীয় শ্রুতি অনুযায়ী কেদু সমভূমি বলে পরিচিত জায়গাটি একটি জাভানি পবিত্র স্থান এবং উচ্চ কৃষি উর্বরতার জন্য একে জাভার বাগান বলা হয়। [১]
বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে এখানে পুনরুদ্ধারের কাজ চলার সময় লক্ষ করা হয় বরোবুদুর, পাওন ও মেনদূত মন্দির তিনটি একটি সরল রেখায় অবস্থিত। [২] এটি আকস্মিকও হতে পারে, তবে স্থানীয় লোক কাহিনী অনুযায়ী বহুদিন আগের যে ইট-বাঁধানো, দুদিকে দেওয়াল দেওয়া বরোবুদুর থেকে মেনদূত অবধি রাস্তার কথা শোনা যায়, তার সাথে মন্দিরগুলির অবস্থানের সংযোগ পাওয়া যায়। তিনটি মন্দিরের স্থাপত্যশৈলী একধরনের ও কারুকাজ সমসাময়িক, যা থেকে অনুমান করা যায় এদের মধ্যে কোনো ধর্মীয় সম্পর্ক থাকতে পারে, যদিও সেটা কি তার হদিশ এখনও পাওয়া যায়নি।[৩]
যাদুঘর
[সম্পাদনা]বরোবুদুর মন্দির প্রাঙ্গণে দুইটি যাদুঘর আছে। কারমাউইভাংগা যাদুঘর ও সমুদ্র রক্সা যাদুঘর।
অন্যান্য প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান
[সম্পাদনা]তিনটি মন্দির ছাড়াও এই এলাকায় আরো বৌদ্ধ ও হিন্দু মন্দির ছড়িয়ে আছে। এরমধ্যে সবথেকে পুরনো ৭৩২ সালে তৈরী গুনুংগ উকির বা কাংগাল হিন্দু মন্দির। মন্দির প্রাঙ্গণে পাওয়া কাংগাল লিপি থেকে জানা যায় শৈব রাজা সঞ্জয় উকির পাহাড়ের মাথায় বরোবুদুরের ১০ কিমি পূর্বে এটি বানান।[৪] এছারাও আছে মেনদূতের পূর্বে গাওয়েন মন্দির ও পাওনের দক্ষিণে বানোন হিন্দু মন্দির। অনেক পাথর খুজে না পাওয়া যাওয়ায় এটি আর পুনর্গঠন করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু এই এলাকায় অনেক পাথরের হিন্দু দেব দেবীর মূর্তি পাওয়া যায়। সেগুলি জাকার্তায় ইন্দোনেশিয় জাতীয় যাদুঘরে রাখা আছে।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Soekmono (1976), page 1.
- ↑ N. J. Krom (১৯২৭)। Borobudur, Archaeological Description। The Hague: Nijhoff। ১৭ আগস্ট ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ আগস্ট ২০০৮।
- ↑ J. L. Moens (১৯৫১)। "Barabudur, Mendut en Pawon en hun onderlinge samenhang (Barabudur, Mendut and Pawon and their mutual relationship)" (পিডিএফ)। Tijdschrift voor de Indische Taai-, Land- en Volkenkunde। Het Bataviaasch Genootschap van Kunsten en Wetenschappen: 326–386। ২০০৭-০৮-১০ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা।
trans. by Mark Long
- ↑ W. J. van der Meulen (১৯৭৭)। "In Search of "Ho-Ling""। Indonesia। 23: 87–112। ডিওআই:10.2307/3350886।
Text is available under the CC BY-SA 4.0 license; additional terms may apply.
Images, videos and audio are available under their respective licenses.