প্রথম বিশ্বযুদ্ধ
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ | |||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
ঘড়ির কাঁটার অনুসারে উপর হতে: The aftermath of shelling during the Battle of the Somme, Mark V tanks cross the Hindenburg Line, এইচএমএস Irresistible sinks after hitting a mine in the Dardanelles, a British Vickers machine gun crew wears gas masks during the Battle of the Somme, Albatros D.III fighters of Jagdstaffel 11 | |||||||||
| |||||||||
বিবাদমান পক্ষ | |||||||||
মিত্রশক্তি
|
অক্ষ শক্তি:
| ||||||||
সেনাধিপতি ও নেতৃত্ব প্রদানকারী | |||||||||
Allied Powers leaders:
|
Central Powers leaders:
| ||||||||
শক্তি | |||||||||
| মোট: ২৫,২৪৮,৩২১[৪] | ||||||||
হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি | |||||||||
...আরও বিস্তারিত। 1,397,800 killed[৫] |
...আরও বিস্তারিত। 2,050,897 killed[৫] 1,200,000 killed[৬] 771,844 killed[৫] 87,500 killed[৫] |
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ, বিশ্বযুদ্ধ-১ বা প্রথম মহাযুদ্ধ একটি বৈশ্বিক যুদ্ধ যা ১৯১৪ সালের ২৮ জুলাই ইউরোপে শুরু হয় এবং ১১ নভেম্বর ১৯১৮ পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। ৬ কোটি ইউরোপীয়সহ আরো ৭ কোটি সামরিক বাহিনীর সদস্য ইতিহাসের অন্যতম বৃহত্তম এই যুদ্ধে একত্রিত হয়।[৭] এটি ছিল ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘাতের একটি এবং এর ফলে পরবর্তী সময়ে এর সাথে যুক্ত দেশগুলোর রাজনীতিতে বিরাট পরিবর্তন হয়। অনেক দেশে এটি বিপ্লবেরও সূচনা করে।
এই যুদ্ধের প্রেক্ষাপট শুরু হয় আরো আগে থেকেই।মূলত ক্ষমতার দ্বন্দ্ব এই ক্ষেত্রে একটা কারণ।১৯ শতকে(১৮০১-১৮৯৯) দেখা যায় ইউরোপে একটি ক্ষমতার সমতা লক্ষিত হয়।অর্থাৎ ইউরোপে কোনো দেশ নিজের অতিরিক্ত শক্তি দেখাতে পারত না সহজে।ঘটনা এই হলো যে, ব্রিটিশরা একটি নতুন মতবাদ নিয়ে আসল।তা অনেকটা একঘরে থাকার নীতি(Splendid Isolation)।সে অনুসারে তারা মূলত নিজের দেশের উন্নয়নেই কাজ করে গেলো,পুরো ইউরোপের রাজনৈতিক কিংবা অন্যান্য বিষয়ে মাথা ঘামানো ছেড়ে দিলো।সমস্যা হলো এই জায়গাতেই।দেখা গেলো এই সুযোগে জার্মানি তথা প্রুশিয়া তাদের শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা করল।
১৮৭০-৭১ এ ফ্রান্স-প্রুশিয়ার যুদ্ধে ফ্রান্স হেরে যায় যার রেষারেষি তো ছিলোই।এদিকে ১৮৭৩ এ প্রুশিয়ার বিসমার্ক একটি শান্তিচুক্তি করে রাশিয়া ও অস্ট্রো-হাঙ্গেরির সাথে।কিন্তু ১৮৭৭ এর পরে রুশ-তুর্কি যুদ্ধে এই চুক্তি বরবাদ হয় কারণ রুশরা চাচ্ছিলো বল্কানে দখল চালাতে।উল্লেখ্য যে বল্কান হলো কিছু গোষ্ঠীর সমষ্টি(Slavs,Croatic প্রভৃতি)।এবং অস্ট্রো -হাঙ্গেরির তো তাদের উপর শাসন ছিলো।বলা বাহুল্য,উক্ত তিন টি দেশ এখন দুটি(জার্মানি ও অস্ট্রো) এবং আরেকটি যুক্ত হয়(ইতালি)।ওদিকে ব্রিটিশ ও ফ্রান্স, রুশ দের সাথে বন্ধুত্বের চেষ্টা চালায়।১৮৮৭ তে জার্মানি চালাকি করে রুশ দের সাথে গোপন চুক্তি করে(Reinsurance Treaty), তা হলো,
যদি রুশ দের অস্ট্রো হাঙ্গেরিয় এবং জার্মানিতে ফ্রান্স আক্রমণ করে তাহলে উভয়েই চুপ থাকবে।আবার এই চুক্তির আরেকটি কথা হচ্ছে,যদি জার্মানি ফ্রান্স এবং রুশ অস্ট্রোদের হামলা করবে,তাহলে এই চুক্তি প্রযোজ্য নয়।
উল্লেখ্য জার্মানীর নেতৃত্বে এতদিন বিস্মার্ক(Otto Von Bismarck)ছিলো,কিন্তু তাকে সরিয়ে নতুন আসে উইলিয়াম ২(Wilhelm 2)।উক্ত মানুষ টি গোপন চুক্তিটি নতুন ভাবে করে নি।অর্থাৎ জার্মানি ও রাশিয়া আগের মতই হয়ে রইল।
ফ্রান্স, ব্রিটিশ ও রুশ ওদিকে তিন জোট বা Triple Entente গঠন করে।পরবর্তীতে আগাদির (Agadir crisis) এ ফ্রান্স ও জার্মানির যুদ্ধে ব্রিটিশ, রুশ একত্রিত হয়।
পরবর্তী প্রেক্ষাপট
[সম্পাদনা]১৮৭১ এর পরে জার্মানীরা তাদের Navy (নৌ বহর ও বিমান বাহিনী)ও সামরিক বাহিনীকে মজবুত করার চিন্তা করে।এক্ষেত্রে জার্মানিরা ইংরেজদের সাথে টেক্কা দিতে আগ্রহী ছিলো।বিসমার্ক ভেবেছিলো ইংরেজরা যেহেতু এক ঘরে আছে, তাদের উস্কানো সঠিক হবে না।পরবর্তীতে তার পতনের পরে বিষয়টি দ্বন্দ্ব রূপ নেয়।কিন্তু দেখা যায় তারা তাদের সামরিক সেনাদের অর্থায়নে বিশাল অঙ্কের টাকা খরচ করছে।এটাকে Rüstungswende বা রণসজ্জার দিক পালটানো বলা যায়।
১৯০৫ সালে রাশিয়ার জাপানের সাথে যুদ্ধ ও অভ্যন্তরীণ কোন্দল হলে, রাশিয়া পরবর্তীতে উঠে দাঁড়াতে থাকে।এটি জার্মানির জন্য চিন্তার বিষয় ছিলো।তারা সৈন্য যোজন শুরু করে।১৯১৩ সালে জার্মানির সৈন্য সংখ্যা দাঁড়ায় ১৭০০০০।অন্যান্যরাও দেশের অভ্যন্তরীণ প্রজেক্ট এ অর্থায়ন না করে, সৈন্যে টাকা ঢালছিলো।
ওসমানীয় খিলাফতের পতনের সাথে রাশিয়া সুযোগ লুফে নেয় এবং ভেবেছিলো, Bosporus Strait( এটি কৃষ্ণসাগর ও মধসাগরের মধ্যবর্তী সংকীর্ণ পথ) এ যদি উত্তম স্ল্যাভ ক্ষমতা নেয়(যেমন:বুল্গারিয়া),তা তাদের জন্য বিপদজনক।কারণ তাতে হয়ত তাদের ঘাটি স্থাপনে সমস্যা হবে।অন্যদিকে যদি ক্ষমতালোভী এবং বুদ্ধিহীন,দুর্বল কোনো শাসককে বসানো যায়,তাহলে কাজের কাজ হবে।
বল্কান অস্ট্রীয়দের জন্য খুবই দরকারী এবং তাদের উত্থান তাদের জন্য হুমকি ছিলো। তারা উসমানীয় সাম্রাজ্যের বোসনীয়া ও হেরযেগোভিনা, নামক প্রদেশ দখল করে।এটি সার্ভীয়দের বিরুদ্ধে, আবার রাশিয়ারা সার্ভীয়দের পক্ষে।অর্থাত,অট্রোদের সাথে রুশ বন্ধুত্ব হবে না।
১৯১১ তে ইতালি-তুর্কি যুদ্ধের পর বল্কান লীগ গঠিত হয়,পরবর্তীতে তাদের কূটকৌশলে এবং প্রথম বল্কান যুদ্ধে উসমানীয় সাম্রাজ্য ধসে যেতে থাকে।তারা অস্ট্রোদের জন্যও হুমকির কারণ হয়।পরবর্তীতে দ্বিতীয় বল্কান যুদ্ধে বল্কানদের মধ্যেই যুদ্ধ হয়,বুল্গারিয়া, গ্রিস ও সার্বিয়া তে আক্রমণ করে।এতে বুল্গারিয়া হারে ও মেসেডোনিয়া ও ডব্রুজার অংশ হারায়। বুল্গারিয়া এটি সহ্য না করে সার্ব দের শত্রু অস্ট্রোর মিত্র হয়ে যায়।
যুদ্ধের ফলাফল
[সম্পাদনা]প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ৯০ লক্ষ যোদ্ধা ও ১ কোটি ২০ লক্ষ[৮] নিরীহ মানুষ নিহত হয়। প্রায় এককোটি সৈন্য এবং ২ কোটি ১০ লক্ষ সাধারণ মানুষ আহত হয়, এদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ছিল এক লক্ষ ষোল হাজার পাঁচশত ষোল জন। চারটি সাম্রাজ্যের পতন ঘটে। রোমানভ সাম্রাজ্য বা রুশ সাম্রাজ্য ১৯১৭ সালে, জার্মান ও অস্ট্রো-হাঙ্গেরীয় সাম্রাজ্য ১৯১য৮ সালে এবং উসমানীয় সাম্রাজ্য ১৯২২ সালে। অস্ট্রিয়া, চেকোস্লোভাকিয়া, এস্তোনিয়া, হাঙ্গেরি, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া এবং তুরস্ক স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে ওঠে। উসমানীয় সাম্রাজ্যের অধীনে থাকা অধিকাংশ আরব এলাকা ব্রিটিশ ও ফরাসি সাম্রাজ্যের অধীনে আসে। ১৯১৭ সালে বলশেভিকরা রাশিয়ার এবং ১৯২২ সালে ফ্যাসিবাদীরা ইতালির ক্ষমতায় আরোহণ করে। এ যুদ্ধের অন্য ফল হলো: ইনফ্লুয়েঞ্জায় বিশ্বব্যাপী ৫ কোটি মানুষের মৃত্যু হয়।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "British Army statistics of the Great War"। 1914-1918.net। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ডিসেম্বর ২০১১।
- ↑ Figures are for the British Empire
- ↑ Figures are for Metropolitan France and its colonies
- ↑ ক খ Tucker ও Roberts 2005, পৃ. 273
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ ঝ ঞ ট ঠ ড ঢ ণ [১]
- ↑ ক খ গ Nash (১৯৭৬)। Darkest Hours। Rowman & Littlefield। আইএসবিএন 9781590775264।
- ↑ [Keegan 1998, p. 8.],[ Bade & Brown 2003, pp. 167–168.]
- ↑ "World War I - Killed, wounded, and missing"। Encyclopedia Britannica (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-১৪।
- টীকা
- ↑ The United States did not ratify any of the treaties agreed to at the Paris Peace Conference.
- ↑ Bulgaria joined the Central Powers on 14 October 1915.
- ↑ The Ottoman Empire agreed to a secret alliance with Germany on 2 August 1914. It joined the war on the side of the Central Powers on 29 October 1914.
- ↑ The United States declared war on Austria-Hungary on 7 December 1917.
- ↑ Austria was considered one of the successor states to Austria-Hungary.
- ↑ The United States declared war on Germany on 6 April 1917.
- ↑ Hungary was considered one of the successor states to Austria-Hungary.
- ↑ Although the Treaty of Sèvres was intended to end the war between the Allied Powers and the Ottoman Empire, the Allied Powers and the Republic of Turkey, the successor state of the Ottoman Empire, agreed to the Treaty of Lausanne.
রাশিয়ার সশস্ত্র দ্বন্দ্ব (সাম্রাজ্যl ও সোভিয়েত সময়কাল সহ) | |
---|---|
অভ্যন্তরীণ |
|
প্রাক-১৭শ শতাব্দী |
|
১৮শ–১৯শ শতাব্দী |
|
২০শ শতাব্দী |
|
২১শ শতাব্দী |
|
|
Text is available under the CC BY-SA 4.0 license; additional terms may apply.
Images, videos and audio are available under their respective licenses.