নোয়াখালী কারামাতিয়া কামিল মাদ্রাসা
 মাদ্রাসার লোগো | |
| ধরন | এমপিও ভুক্ত |
|---|---|
| স্থাপিত | ২ এপ্রিল ১৮৫০ |
| প্রতিষ্ঠাতা | শাহ কারামত আলী জৌনপুরী |
প্রাতিষ্ঠানিক অধিভুক্তি | ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ (২০০৬- ২০১৬) ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় (২০১৬- বর্তমান) |
| অধ্যক্ষ | ড. মুহাম্মদ আমীনুল্লাহ |
| মাধ্যমিক অন্তর্ভুক্তি | বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড |
| শিক্ষার্থী | আনু. ২৪০০ |
| অবস্থান | , , |
| শিক্ষাঙ্গন | শহুরে |
| ইআইআইএন সংখ্যা | ১০৭৬১৮ |
| ক্রীড়া | ক্রিকেট, ফুটবল, ভলিবল, ব্যাটমিন্টন |
| ওয়েবসাইট | 107618 |
নোয়াখালী কারামাতিয়া কামিল মাদ্রাসা বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলার সদর উপজেলার ইসলামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আলিয়া মাদ্রাসা।[১][২] মাওলানা কারামাত আলী জৌনপুরী ১৮৫০ সালে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। মাদ্রাসাটি ২০১৬ সাল থেকে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত মাদ্রাসা। বর্তমানে এটিতে অনার্স কোর্সও চালু রয়েছে।[৩] বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে এই মাদ্রাসার ইসলাম প্রচারে ব্যাপক অবদান রয়েছে। দাখিল ও আলিম শ্রেণির ফলাফলের দিক থেকেও মাদ্রাসাটি এই জেলার শীর্ষে অবস্থানে রয়েছে। বর্তমানে মাদ্রাসাটিতে ২৪০০ এর অধিক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। মাদ্রাসার বর্তমান অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন ডঃ মুহাম্মদ আমীনুল্লাহ।[৪]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]উপমহাদেশের আধ্যাত্মিক সাধক মাওলানা কারামাত আলী জৌনপুরী ১৮৫০ সালে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর ধীরে ধীরে মাদ্রাসাটি একটি কামিল মাদ্রাসায় উন্নিত হয়। ২০০৬ সালে মাদ্রাসাটি ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় সংশোধনী আইন, ২০০৬ মোতাবেক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়ার অধিভুক্ত হয়।[৫] এর ফলে ফাজিল ও কামিল পরীক্ষা উভয় মিলিয়ে সাধারণ শিক্ষার পূর্ণ স্নাতক ডিগ্রির সমমান লাভ করে। এরপরে ২০১৬ সালে মাদ্রাসা শিক্ষাকে আরও আধুনিকরণ করার জন্য ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং মাদ্রাসাটি সেখানে স্থানান্তরিত হয়।[৬]
শিক্ষা কার্যক্রম
[সম্পাদনা]মাদ্রাসাটিতে ইসলামি ও আধুনিক শিক্ষার সমন্বিত ধারায় পাঠদান করানো হয়। মাদ্রাসার দাখিল ও আলিম উভয় শ্রেণিতে মানবিক বিভাগের পাশাপাশি বিজ্ঞান বিভাগও রয়েছে। এখানে প্রাথমিক স্তর ইবতেদায়ী থেকে শুরু করে কামিল শ্রেণি পর্যন্ত চালু রয়েছে। কামিল শ্রেণিতে দাওয়াহ ও ইসলামিক স্টাডিজ বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু রয়েছে। কুরআন, হাদিস, দাওয়াহ বিষয়ে ডিগ্রি কোর্স চালু আছে। এই মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা প্রতিবছর ঢাবি, চবি, রাবি, ইবি, নোবিপ্রবি প্রভৃতি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় মেধার স্বাক্ষর রাখছে।
সহশিক্ষা কার্যক্রম
[সম্পাদনা]এই মাদ্রাসায় প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি রোভার স্কাউট, ব্লাড ডোনেশান ক্লাব, গার্লস গাইড, রেডক্রিসেন্ট ক্লাব, স্বেচ্চাসেবী নানাধরনের কার্যক্রম বিদ্যমান রয়েছে। খেলাধুলা সহ নানা প্রতিযোগিতামূলক আয়োজনে এই মাদ্রাসা নিয়মিত অংশগ্রহণ করে থাকে।
সুযোগ-সুবিধা
[সম্পাদনা]এই মাদ্রাসা আধুনিক সকল সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। ছাত্রদের জন্য খেলার মাঠ ও পড়াশোনার জন্য লাইব্রেরি, মেয়েদের অবসর কাটানোর জন্য কমনরুমসহ বিভিন্ন সুবিধা রয়েছে।
খেলার মাঠ
[সম্পাদনা]মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের খেলার জন্য সুবিশাল মাঠ রয়েছে। এখানে অবসর সময়ে ও পাঠদান শেষে মাদ্রাসার ছাত্ররা ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এখানে খেলাধুলা করে থাকে। মাদ্রাসার উদ্যোগে এরা বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে থাকে।
গ্রন্থাগার
[সম্পাদনা]মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত লাইব্রেরি রয়েছে। দাখিল থেকে শুরু করে কামিল পর্যায়ের শিক্ষার্থীরাও এখান থেকে বই ধার নিয়ে পড়াশোনা করতে পারে। ফাজিল ও কামিল শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চতর গবেষণাধর্মী বই রয়েছে। প্রাথমিক থেকে শুরু করে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য সার্বক্ষণিক লাইব্রেরি সুবিধা এই প্রতিষ্ঠানের অনন্য বৈশিষ্ট্য।
মসজিদ
[সম্পাদনা]মাদ্রাসায় অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন ও আধুনিক ব্যবস্থাপনাসম্বলিত একটি কেন্দ্রীয় মসজিদ রয়েছে। ২০১২ পরবর্তী সময় তৎকালীন অধ্যক্ষ মহোদয় ড. মুহাম্মদ আমীনুল্লাহ সাহেবের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও স্থানীয় ব্যাক্তিবর্গের সশ্রদ্ধ উদ্যোগে এই মসজিদটির ব্যাপক সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা হয়েছিলো। এই মসজিদে মাদ্রাসা শিক্ষকবৃন্দ ও ছাত্ররা নামাজ আদায় করে থাকে। ছাত্রদের জন্য বাধ্যতামূলক জোহরের নামাজ জামায়াতে আদায় করার নিয়ম প্রচলিত রয়েছে। অত্র অঞ্চলের সবচেয়ে বড় ঈদগাহও এই প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসের মধ্যেই অবস্থিত। এছাড়াও স্থানীয়রা ইদের নামাজ এই মসজিদে আদায় করে থাকে।[৭]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "অডিট আপত্তির মতামত গ্রহণ প্রসংগে"। কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মে ২০২২।
- ↑ "Karamotia Kamil Madrasha - Sohopathi | সহপাঠী" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০৭-০২। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-১৩।
- ↑ "আরো ২১ মাদরাসায় অনার্স কোর্স চালু"। jagonews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-১৩।
- ↑ "কালের সাক্ষীঃ ঐতিহ্যবাহী নোয়াখালী কারামাতিয়া কামিল মাদরাসা"। www.dailyprottoy.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৩-০৬-৩০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-১৩।
- ↑ "আলিয়া মাদরাসার উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ"। lekhapora24.net। ২০২১-০৮-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১৭।
- ↑ "মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়নে প্রত্যাশা"। SAMAKAL (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০৬-১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-১০।
- ↑ ব্যুরো, নোয়াখালী। "নোয়াখালীর সর্বত্র ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত"। DailyInqilabOnline। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-১৩।
Text is available under the CC BY-SA 4.0 license; additional terms may apply.
Images, videos and audio are available under their respective licenses.
