নোড
তড়িৎ প্রকৌশলে একটি নোড মানে বর্তনীর মাঝে অবস্থিত যেকোন বিন্দু যেখানে দুই বা ততোধিক বর্তনীর উপাদান থাকে।২টি নোড ভিন্ন হওয়ার জন্য তাদের বিভবকে ভিন্ন হওয়া জরুরী।বাড়তি কোন জ্ঞানের সাহায্য ছাড়াই ওহমের সূত্রের, V=IR মাধ্যমে নোড আমরা নির্ণয় করতে পারি।আদর্শ তারের রোধ শূণ্য ধরা হয়।(এটা আসলে বাস্তবে সম্ভব না, তবে ভালো ধারণা)।তাই আমরা ধরে নেই যে তারের যে কোনে অংশেই বিভবের মান পরিবর্তিত হবে না।বর্তনীতে যেকোন উপাদানের মাঝের তারকে তাই একটা নোডের অন্তর্গত ধরা যায়। বিভব=বিদ্যুৎ প্রবাহ*রোধ যেহেতু বিভব মানে হলো একটা তারের যেকোন দুই অংশের মধ্যকার বিভবের পার্থক্যের পরিমাপঃ Vab= (বিদ্যুৎ প্রবাহ) * ০ এজন্য যেকোন ২টি বিন্দুতে বিভব পার্থক্য হলো শূণ্য।তাই পুরো তারে উপাদানের মাঝের বিভব একই থাকে।
এই বর্তনী চিত্রে সবুজ নোডের বিভব সমান থাকে সবসময়ই এবং নীল ও লাল নোডেও এক রকম ব্যাপার ঘটে। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে একটা ধাতুর টুকরোর (যেমন কপার তার) একটি বিন্দুর সাথে অন্য ওই ধাতুরই অন্য একটি বিন্দুর বিভব পার্থক্য বা অন্য জাতের একটি ধাতু যা স্পর্শ করে আছে, সেটার একটি বিন্দুর বিভব পার্থক্য খুবই সামান্য যে এটাকে আমরা গণনায় ধরি না।তাই এদের পুরো অংশকেই একটা নোড ধরা যায়। কিছু উল্লেখযোগ্য ব্যতিক্রম ঘটনা যেখানে বিভব পার্থক্য অনেক বেশি মানের থাকে এবং যা গুরুত্বপূর্ণঃ
- অ্যালুমিনিয়াম তারের সংযোগ,
- সীবেক প্রভাব এবং পেলটায়ার প্রভাবের ঘটনাতে,
- গ্রাউন্ড এবং নিউট্রালের মধ্যে বিভব পার্থক্য, একটা ঘরের এসি পাওয়ার প্লাগ এবং সকেটে নিরাপদ গ্রাউন্ড এবং নিউট্রাল তারের মাঝের বিভব পার্থক্য ভয়ানক হতে পারে।একটা উপযুক্তভাবে স্থাপন করা বৈদ্যুতিক ব্যবস্থাতে এদের একই স্থানে সংযোগ দেয় যা একটা ভুল ধারণা ছড়ায় যে তাদের বিভব পার্থক্য একই এবং নিরাপদ গ্রাউন্ড অপ্রয়োজনীয়,
- চার প্রান্ত বিশিষ্ট কেলভিন সংযোগে উচ্চ সংকুচিত রোধ পরিমাপে।
Text is available under the CC BY-SA 4.0 license; additional terms may apply.
Images, videos and audio are available under their respective licenses.