For faster navigation, this Iframe is preloading the Wikiwand page for চরফ্যাসন সরকারি কলেজ.

চরফ্যাসন সরকারি কলেজ

চরফ্যাসন সরকারি কলেজ
কলেজের প্রধান প্রবেশ পথ
অবস্থান
মানচিত্র
ভোলা চরফ্যাশন সড়ক থেকে ১৯৮০ ফুট পশ্চিমে অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম সড়কের পার্শ্বে[]

চরফ্যাশন, ভোলা
৮৩৪০

বাংলাদেশ  বাংলাদেশ
তথ্য
ধরনসরকারি
নীতিবাক্যশিক্ষা-মনুষ্যত্ব শান্তি
প্রতিষ্ঠাকাল১৯৬৮; ৫৬ বছর আগে (1968)
বিদ্যালয় জেলাভোলা
সভাপতিআবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব
অধ্যক্ষআব্দুল গফুর
কর্মকর্তা২০[]
অনুষদ০৫
শিক্ষকমণ্ডলী৬৩[]
শিক্ষার্থী সংখ্যা৩০০০ প্রায়
ভাষাবাংলা
শিক্ষায়তন১৩.২০ একর
ক্রীড়াফুটবল, ক্রিকেট
প্রকাশনাপলিমাটির কথা (প্রকাশিত ২০১৪)
শিক্ষা বোর্ডমাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, বরিশাল
অন্তর্ভুক্তিজাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
ইআইআইএন১০১৪৩৯
ওয়েবসাইটcharfassongovtcollege.edu.bd

চরফ্যাসন সরকারি কলেজ  ভোলা চরফ্যাশন সড়ক থেকে ১৯৮০ ফুট পশ্চিমে অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম সড়কের পার্শ্বে অবস্থিত একটি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। চরফ্যাসন সরকারি কলেজ ভোলা জেলা কলেজ গুলোর মধ্যে অন্যতম সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত কলেজটি ভোলা জেলার প্রাচীন এবং দক্ষিণ বাংলার অন্যতম বিদ্যাপীঠ। এ কলেজে উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে থাকে। এটি বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও বরিশাল শিক্ষা বোর্ড এর অধিভুক্ত।[]

প্রতিষ্ঠার ইতিহাস

[সম্পাদনা]
প্রশাসনিক ভবন

পঞ্চাশ দশকের শেষের দিকে ট্যাফনাল ব্যারেট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আ. হক মাস্টার এর নেতৃত্বে চরফ্যাসন কলেজ স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। সে মোতাবেক তৎকালীন মহকুমা প্রশাসক এম এ আজিজ এর নিকট উদ্যোক্তাগণ চরফ্যাসন কলেজ স্থাপনের আবেদন জমা দেন। তখন পর্যন্ত ভোলা কলেজ প্রতিষ্ঠা হয় নি। তখন মহকুমা প্রশাসক বলেন, যখন ভোলাতে কলেজ নেই চরফ্যাশন হলো একটা ইউনিয়ন সেখানে কলেজে স্থাপিত হয় কি করে! আ. হক মাস্টার তাকে বলেন আসেন আপনাকে দিয়ে এখানে কলেজ প্রতিষ্ঠা করি। ১৯৬২ সালে তিনি হয়ে যান ভোলা সরকারি কলেজ এর প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ। অতঃপর চরফ্যাসন কলেজ প্রতিষ্ঠা কিছুটা ব্যাহত হলে দমে যান, তবে থেমে থাকেন নি।

১৯৬৮ সালে ১লা জুন, তৎকালীন এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, বাজার ব্যবসায়ী, সমাজ সেবক, জনপ্রতিনিধি সকলে একত্রিত হন ব্রজগোপাল পাবলিক ক্লাবে। এলাকার গণ্য ব্যক্তি আবদুল মোতালেব মাস্টার এর নেতৃত্বে সে সভায় চরফ্যাসন কলেজ প্রতিষ্ঠার আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এতে ১৪৩ সদস্য বিশিষ্ট আর্গানাইজিং কমিটি গঠন করা হয়। কলেজ কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, মহকুমা প্রশাসক, সম্পাদক আবদুল মতিন, যুগ্ম সম্পাদক ফজলুর রহমান ফরাজি, কোষাধ্যক্ষ মোঃ সামছুদ্দিন মাস্টার। প্রথম দিনের সভায় কোষাধ্যক্ষ নগদ দশ হাজার টাকা প্রদান করেন। তৎকালীন বরেণ্য ব্যক্তি চরফ্যাশন টি.বি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক এম. নজরুল ইসলাম চরফ্যাশন টি.বি স্কুলের প্রধান কে চরফ্যাসন কলেজ এর অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেন। ১৯৬৮ সালের ১ আগস্ট তিনি চরফ্যাসন কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন। ব্রজগোপাল পাবলিক ক্লাবে কলেজ এর প্রথম কার্যক্রম শুরু হয়।[]

স্বীকৃতি প্রদান

[সম্পাদনা]

১ জুলাই ১৯৬৮ যশোর শিক্ষা বোর্ড চরফ্যাসন কলেজের প্রথম মানবিক ও বিজ্ঞান শাখায় ও এবং ১জুলাই ১৯৬৯ ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় স্বীকৃতি দেন। ১৬ জুলাই ১৯৭০ সালে ডিগ্রী, কলা ও বাণিজ্য অধিভুক্ত লাভ করে। ৬ জুলাই ২০০০ বি এস সি অধিভুক্ত লাভ করে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ২ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে রাষ্ট্র-বিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা, হিসাব বিজ্ঞান এবং ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে ইতিহাসসমাজকর্ম বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু করেন।[]

স্থাপনা

[সম্পাদনা]
এই নিবন্ধটি পাঠকের কাছে বিভ্রান্তিকর বা অবোধ্য বলে মনে হতে পারে। এর বিভ্রান্তি নিরসন করতে আমাদের সহায়তা করুন; নিবন্ধের আলাপ পাতায় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা থাকতে পারে। (জুন ২০২০)
মসজিদ
অনার্স ভবন
একাডেমিক ভবন
বিজ্ঞান ভবন

১৯৭২ সালে একাডেমিক ভবন ৫ বাণিজ্য ভবন। ছাত্রাবাস গ্রন্থাগার ১৭ই সেপ্টেম্বর ২০১০ এ মসজিদ। ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ অর্নাস ভবন প্রতিষ্ঠা করা হয় একাডেমিক ভবন প্রতিষ্ঠা করা হয়। আর ১৭ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে ছাত্রী নিবাস প্রক্রিয়াধীন। শহীদ মিনার।[]

পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপন

[সম্পাদনা]

১৯৭২ সালে মাধ্যমিক পরিক্ষা কেন্দ্র স্থাপিত। ১৯৮৯ সালে ডিগ্রী পরিক্ষা কেন্দ্র স্থাপন। ২০১৩ অর্নাস পরিক্ষার কেন্দ্র স্থাপন।[]

ফলাফল

[সম্পাদনা]

উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরিক্ষা ২০০৬ এ বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে শীর্ষ দশে অবস্থান করে। ২০০১ সালে ডিগ্রী কোর্সে রেজাল্টের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ কলেজ নির্বাচিত হয়। এছাড়া বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে উচ্চ মাধ্যমিক ২০১১ সেরা ২০ এর মধ্যে ১৮তম। ২০১২ সালে ১২ তম ২০১৪ সালে ১৬ তম স্থান অর্জন করে।[]

সরকারিকরণ

[সম্পাদনা]

প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় হতে ১১ জুন ২০১৩ তারিখে চরফ্যাসন কলেজ সরকারিকরণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সানুগ্রহ সম্মতি প্রদান পত্র শিক্ষা মন্ত্রানালয় প্রেরণ করেন। কলেজ সরকারিকরণের লক্ষ্যে মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক গঠিত পরিদর্শন টিম ২৩ জুন ২০১৩ তারিখে পরিদর্শন করেন। ২২ এ জুলাই ২০১৩ ইং তারিখে সরকারি করণের লক্ষ্যে কলেজের নিয়োগ পদোন্নতি স্থাবর অস্থাবর সম্পতি হস্তান্তর ইত্যাদির ওপর নিষেধাজ্ঞা অরোপসহ সকল স্থাবর ও অস্থাবর সম্পতি সরকারের নিকট হস্তান্তর করার নিমেত্তে রেজিস্ট্রিকৃত দানপত্র দলিল Dead of Gift সম্পাদনের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক চিঠি ইস্যু করা হয়। সে মোতাবেক গভর্নিং বডির ০২ আগস্ট ২০১৩ তারিখে সভার সিন্ধান্ত মোতাবেক ১৪ আগস্ট ২০১৩ তারিখ ৩৮৬৫ নং দলিলে মহামান্য রাষ্ট্রপতি বরাবরে চরফ্যাসন মহাবিদ্যালয় এর পক্ষে অধ্যক্ষ হিসেবে Deed of Gift দলিল সম্পাদন করে। অতঃপর শিক্ষা মন্ত্রানালয়ের ২২ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে শাঃ৯/স.ক.-১৮/২০১৩/৫১৮নং স্মারকে ১১ অক্টোবর ২০১৩ ইং তারিখ হতে চরফ্যাসন মহাবিদ্যালয়টি। চরফ্যাসন সরকারি কলেজ নামে সরকারিকরন করা হয় এবং ৩১ অক্টোবর ২০১৩ তারিখ বাংলাদেশ গেজেট ভুক্ত হয়।[১০]

ক্যাম্পাস

[সম্পাদনা]

ছাত্র ছাত্রীদের আবাসন

[সম্পাদনা]

কলেজে ১৪০ আসন বিশিষ্ট 'মোশারফ হোসেন' ছাত্রাবাস রয়েছে। আবাসন ও ছাত্রাবাস কমিটির তত্ত্বাবধানে ছাত্রাবাসগুলো পরিচালিত হয়। এছাড়াও ছাত্রদের জন্য ১০ শয্যা বিশিষ্ট ডরমেটরী রয়েছে। এছাড়াও কলেজে ছাত্রীদের জন্য অনার্স ভবনের পাশে দুই তলা বিশিষ্ট নীলিমা জ্যাকব ছাত্রীনিবাস নির্মাণ করা হয়েছে যা উদ্বোধনের অপেক্ষায়।

কলেজের অভ্যন্তরেই বিশাল আকৃতির ঐতিহাসিক কলেজ এর মাঠ অবস্থিত। এখানে বিভিন্ন বিভাগীয় পর্যায়ের খেলাধুলা অনুষ্ঠিত হয়।

গ্রন্থাগার

[সম্পাদনা]

চরফ্যাসন সরকারি কলেজ এর গ্রন্থাগার ভোলা জেলার প্রাচিনতম গ্রন্থাগার এর মধ্যে একটি। কলেজে একটি কেন্দ্রীয় ও ০৫টি বিভাগীয় সেমিনার গ্রন্থাগার রয়েছে। কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার এ সব মিলিয়ে প্রায় ৬৬৪৮ খানা বই রয়েছে। এছাড়াও ছাত্র ছাত্রীদের জন্য কলেজ গ্রন্থাগারে দৈনিক, সাপ্তাহিক, পাক্ষিক এবং মাসিক পত্র-পত্রিকার ব্যবস্থা রয়েছে।

শহীদ মিনার

[সম্পাদনা]
শহীদ মিনার

কলেজের পূর্ব পাশ্বে অবস্থিত সু বিশাল শহীদ মিনার

অনুষদ ও বিভাগসমূহ

[সম্পাদনা]

উল্লেখযোগ্য সংগঠন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "অবস্থান"। ২৬ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ডিসেম্বর ২০২০ 
  2. "কর্মচারী"। ২৮ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ডিসেম্বর ২০২০ 
  3. "শিক্ষক"। ২৮ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ডিসেম্বর ২০২০ 
  4. "জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত"। ২৮ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুলাই ২০১৯ 
  5. "পলিমাটির কথা" পৃষ্ঠা নং ৪৬-৪৭
  6. "পলিমাটির কথা" পৃষ্ঠা নং ৫০, ৫২, ৫৩
  7. "পলিমাটির কথা" পৃস্টা নং ৫৩
  8. পলিমাটির কথা। চরফ্যাসন কলেজ। পৃষ্ঠা 50, 51, 53। 
  9. "পলিমাটির কথা" পৃষ্ঠা নং৫২-৫৩
  10. "পলিমাটির কথা" পৃষ্ঠা নং ৫৪
{{bottomLinkPreText}} {{bottomLinkText}}
চরফ্যাসন সরকারি কলেজ
Listen to this article

This browser is not supported by Wikiwand :(
Wikiwand requires a browser with modern capabilities in order to provide you with the best reading experience.
Please download and use one of the following browsers:

This article was just edited, click to reload
This article has been deleted on Wikipedia (Why?)

Back to homepage

Please click Add in the dialog above
Please click Allow in the top-left corner,
then click Install Now in the dialog
Please click Open in the download dialog,
then click Install
Please click the "Downloads" icon in the Safari toolbar, open the first download in the list,
then click Install
{{::$root.activation.text}}

Install Wikiwand

Install on Chrome Install on Firefox
Don't forget to rate us

Tell your friends about Wikiwand!

Gmail Facebook Twitter Link

Enjoying Wikiwand?

Tell your friends and spread the love:
Share on Gmail Share on Facebook Share on Twitter Share on Buffer

Our magic isn't perfect

You can help our automatic cover photo selection by reporting an unsuitable photo.

This photo is visually disturbing This photo is not a good choice

Thank you for helping!


Your input will affect cover photo selection, along with input from other users.

X

Get ready for Wikiwand 2.0 🎉! the new version arrives on September 1st! Don't want to wait?