For faster navigation, this Iframe is preloading the Wikiwand page for পোষা কবুতর.

পোষা কবুতর

গৃহপালিত কবুতর
একটি বন্য কবুতর
পোষ মানা
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Animalia
পর্ব: কর্ডাটা
শ্রেণী: পক্ষীo
বর্গ: Columbiformes
পরিবার: Columbidae
গণ: Columba
প্রজাতি: C. livia
উপপ্রজাতি: C. l. domestica
ত্রিপদী নাম
Columba livia domestica
Gmelin, 1789[]
প্রতিশব্দ
Columba domestica

Columba livia rustica

কবুতর বা পায়রা বা কপোত বা পারাবত হলো এক প্রকারের জনপ্রিয় গৃহপালিত পাখি। এর মাংস মনুষ্যখাদ্য হিসাবে ব্যবহৃত হয়। প্রাচীনকালে কবুতরের মাধ্যমে চিঠি আদান-প্রদান করা হতো। কবুতর ওড়ানোর প্রতিযোগিতা প্রাচীনকাল থেকে অদ্যাবধি প্রচলিত আছে। গৃহপালিত কবুতরের বৈজ্ঞানিক নাম হলো Columba livia domestica। সব গৃহপালিত কবুতরের উদ্ভব বুনো কবুতর (Columba livia) থেকে। গবেষণায় দেখা যায় যে, কবুতরের গৃহপালন প্রায় ১০,০০০ হাজার বছর আগে শুরু হয়েছিলো।[]

পৃথিবীতে প্রায় ২০০ জাতের কবুতর পাওয়া যায়। বাংলাদেশে প্রায় ৩০ প্রকার কবুতর রয়েছে। বাংলাদেশের সকল জায়গায় এসকল কবুতর রয়েছে। বাংলাদেশের জলবায়ু এবং বিস্তীর্ণ শস্যক্ষেত্র কবুতর পালনের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। পূর্বে কবুতরকে সংবাদ বাহক ও খেলার পাখি হিসাবে ব্যবহার করা হতো। কিন্তু বর্তমানে বর্বারের পুষ্টি সরবরাহ, সমৃদ্ধি, শোভাবর্ধনকারী এবং বিকল্প আয়ের উৎস হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এদের সুষ্ঠু পরিচর্যা, রক্ষণাবেক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সঠিকভাবে প্রতিপালন করে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখা যায়। কবুতর প্রতিপালন এখন শুধু শখ ও বিনোদনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই বরং তা এখন একটি লাভজনক ব্যবসা হিসাবে পরিগণিত হয়েছে। কবুতর বাড়ি ও পরিবেশের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা ছাড়াও অল্প খরচে এবং অল্প ঝামেলায় প্রতিপালন করা যায়। বাংলাদেশে কবুতরের জাতের মধ্যে গিরিবাজ খুবই জনপ্রিয়।

কবুতরের শারীরবৃত্তিক তথ্যাদি

[সম্পাদনা]

এদের দেহের তাপমাত্রা ৩৮.৮ - ৪০.০ সে.।

দৈহিক ওজন
  • হালকা জাত: ৪০০-৪৫০ গ্রাম।
  • ভারী জাত: ৪৫০-৫০০ গ্রাম।
পানি পান
  • শীতকাল: ৩০-৬০ মিলি প্রতিদিন।
  • গ্রীষ্মকাল: ৬০-১০০ মিলি প্রতিদিন।
  • পূর্ণবয়স্ক একটি কবুতরের ডানায় সাধারণত ১০টি পালক থাকে, ঐ পালকগুলিকে পর বলা হয়। (পর কবুতরের বয়স নির্ণয়েও সাহায্য করে)

এরা প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩০-৬০ গ্রাম খাদ্য গ্রহণ করে থাকে। এদের ডিম ফোটানোর সময়কাল প্রায় ১৭-১৮ দিন হয়ে থাকে।

কবুতর বা পায়রার অভিযোজন

[সম্পাদনা]

কবুতর বা পায়রা হচ্ছে পক্ষী শ্রেণির মেরুদণ্ডী প্রাণী। এদের দেহ প্রধানত ওড়ার জন্য অভিযোজিত হয়। তাছাড়া পায়রার হাঁটা বা ডালে বসার অভিযোজনও লক্ষ্য করার মতো।

পায়রার অভিযোজন

[সম্পাদনা]
ওড়ার অভিযোজন

অন্যান্য পাখির মতো পায়রাও আকাশে উড়তে সক্ষম। এদের দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এবং শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া পরিবর্তিত হয়ে আকাশে ওড়ার উপযোগী রয়েছে।

  • ডানা: অভিব্যক্তির ফলে পাখির সামনের পা দু'টি ডানায় পরিবর্তিত হয়। শক্তিশালী পেশীর সংকোচন-প্রসারণে ডানা আন্দোলিত করে পায়রা তীব্রগতিতে আকাশে উড়তে সক্ষম। ডানার অস্থি কাঠামো নির্দিষ্ট দিকে ডানা সঞ্চালিত করতে সাহায্য করে।
  • ওড়ার পেশী: প্রধানত তিনজোড়া ওড়ার পেশীর সংকোচন-প্রসারণে ডানা ওঠানামা করে। পেশীগুলি উরশ্চক্রের স্টারনাম অংশে যুক্ত থাকে।
  • পালক: অন্যান্য পাখির মতো পায়রার সারা দেহ পালকে ঢাকা থাকে। পালক থাকায় পায়রার দেহ হালকা এবং ওড়ার উপযোগী হয়েছে। তাছাড়া পালক দেহতাপ সংরক্ষণে এবং উড়তে সাহায্য করে। পায়রার প্রতিটি ডানায় তেইশটি করে বড় রকমের ওড়ার পালক থাকে। এছাড়া লেজের গোড়ায় বারোটি বড় রকম পুচ্ছ-পালক অবস্থান করে। ডানার পালক ডানার আয়তন বাড়ায়। পুচ্ছ পালক বাতাসে হালের মতো কাজ করে। ফলে খুব সহজেই পায়রা নির্দিষ্ট দিকে উড়ে যেতে পারে। বিজ্ঞানীদের ধারণা, অভিযোজনের ফলেই সরীসৃপের দেহের আঁশ পালকে পরিবর্তিত হয়েছে।
  • দেহের আকার: ওড়ার সময় যাতে বাতাসের বাধা সহজেই অতিক্রম করা যায় সেজন্য পায়রার দেহ সামনে-পিছনে সরু এবং মাঝখানে মোটা হয়।
  • বায়ুপূর্ণ অস্থি: অন্যান্য পাখির মতো পায়রার অধিকাংশ অস্থি স্পঞ্জের মতো। অস্থির গর্তে বাতাস পূর্ণ থাকে। এছাড়া মাথার খুলির অস্থিগুলিও খুব পাতলা এবং হালকা। বায়ুপূর্ণ অস্থির জন্য পায়রার দেহের ওজন হ্রাস পায় এবং হালকা বলে দেহটি সহজেই আকাশে ভেসে যেতে পারে। একই কারণে পাখির হালকা দাঁত হীন চঞ্চু দেখা যায়।
  • বায়ু-থলি: পায়রার ফুসফুসের সঙ্গে কতগুলি ছোট ছোট বেলুনের মতো বায়ু-থলি যুক্ত থাকে। বায়ু-থলিতে গরম বাতাস পূর্ণ থাকায় দেহকে বাতাসে ভাসাতে সাহায্য করে। এছাড়া বায়ু-থলি অতিরিক্ত অক্সিজেন সংরক্ষণ করে। প্রয়োজনে ফুসফুস এই অক্সিজেন গ্রহণ করে পায়রার শ্বাসকর্ম ঠিকমতো বজায় রাখে। একটানা ওড়ার সময় এদের প্রচুর শক্তির প্রয়োজন হয়। শ্বসনে খাদ্য জারিত হয়ে শক্তি উৎপন্ন একনাগাড়ে যাতে হতে পারে সেজন্য ফুসফুসে অক্সিজেন যোগান দিতে বায়ু-থলিগুলি সাহায্য করে।
  • প্রখর দৃষ্টিশক্তি: উড়ন্ত অবস্থায় পায়রা দূরের বস্তু সহজে যাতে দেখতে পায় সেজন্য এদের দৃষ্টিশক্তি অত্যন্ত প্রখর। এদের মস্তিষ্কের অপ্টিক লোব বেশ বড় হয়।
  • ভারসাম্য রক্ষা: ওড়ার সময় বিশেষ করে দিক পরিবর্তনের সময় দেহের ভারসাম্য রক্ষা যাতে ঠিকমতো হয় সেজন্য পায়রার মস্তিষ্কের সেরিবেলাম সুগঠিত ও উন্নত হয়।
হাঁটার অভিযোজন

পায়রা তার দুটি পা দিয়ে হাঁটতে পারে। এদের পায়ের অস্থিগুলি সরু হলেও খুব শক্ত এবং মজবুত। এদের দেহের সব ওজন শ্রেণীচক্র এবং পায়ের মধ্যে চালিত হয়। তাই ভারসাম্য রক্ষা করে পায়রা হাঁটতে পারে। হাঁটার কাজে পায়ের অস্থি ও পেশী সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়।

ডালে বসার অভিযোজন

পায়রার প্রতিটি পায়ে নখ-যুক্ত চারটি করে আঙ্গুল থাকে। এর মধ্যে তিনটি আঙ্গুল সামনে এবং একটি আঙ্গুল পিছনে অবস্থান করে। আঙ্গুলের আকার ও অবস্থান এরকম হওয়ার জন্য পায়রা গাছের ডাল আঁকড়ে ধরে সহজেই বসে থাকতে পারে। পায়ে অবস্থিত টেনডন ডালে বসার সময় সবচেয়ে বেশী সাহায্য করে।[]

খাদ্য

[সম্পাদনা]

কবুতরের খাবার হছে গম, চাউল, কাউন, ধান, খুদ, চিনা সরিষা, ডাবলি, রেজা, বাজরা, বিভিন্ন বিজ ইত্যাদি।[] মুরগির জন্য তৈরি খাবারও কবুতর খায়। খাবারের সাথে পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশুদ্ধ পানি দিতে হয়। ২×২ ফুট স্থানের মধ্যে দুটি কবুতর থাকতে পারে। কবুতরের বাসস্থান কুকুর, বিড়াল, বেজি ইত্যাদি প্রাণী থেকে দূরে রাখতে হয়। কবুতরের ঘরে যাতে পানি না আসে সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হয়। কবুতরের ঘর সব সময় পরিষ্কার রাখা বাঞ্ছনীয়। এদের বাচ্চাগুলো নিজে খাদ্য গ্রহণ না করা পর্যন্ত স্ত্রী এবং পুরুষ কবুতর উভয়ে দানাদার খাদ্যের সাথে দুধ মিশিয়ে ঠোঁট দিয়ে বাচ্চাদের খাওয়ায়। কবুতরের জন্য তৈরিকৃত খাদ্য শর্করা, আমিষ, খাদ্যপ্রাণ বা ভিটামিন, চর্বি এবং খনিজ লবণসম্পন্ন সুষম খাদ্য হতে হবে। কবুতর ম্যাশ বা পাউডার খাদ্যের তুলনায় দানাদার জাতীয় খাদ্য বেশি পছন্দ করে। ছোট আকারের কবুতরের জন্য ২০-৩০ গ্রাম, মাঝারি আকারের জন্য ৩৫-৫০ গ্রাম এবং বড় আকারের জন্য ৫০-৬০ গ্রাম খাদ্য প্রতিদিন দিতে হবে। দানাদার জাতীয় খাদ্যের মধ্যে গম, ধান, ভুট্টা, সরগম, ওট শতকরা ৬০ ভাগ এবং লেগুমিনাস বা ডাল জাতীয় খাদ্যের মধ্যে সরিষা, খেসারী, মাটিকলাই শতকরা ৩০-৩৫ ভাগ সরবরাহ করতে হবে। কবুতরের ভিটামিন সরবরাহের জন্য বাজারে প্রাপ্ত ভিটামিন ছাড়া সবুজ শাকসবজি, কচি ঘাস সরবরাহ করা প্রয়োজন। প্রতিদিন ২ বার খাদ্য সরবরাহ করা ভালো। মাঝে মাঝে পাথর, ইটের কণা (গ্রিট) এবং কাঁচা হলুদের টুকরা দেয়া উচিত কারণ এ গ্রিট পাকস্থলিতে খাবার ভাঙতে এবং হলুদ পাকস্থলী পরিষ্কার বা জীবাণুমুক্ত রাখতে সাহায্য করে।

কবুতরের ডিম দেয়ার সময় গ্রিট মিশ্রণ বা খনিজ মিশ্রণ, ডিম এবং ডিমের খোসা তৈরী এবং ভালো হ্যাচাবিলিটির জন্য অতীব প্রয়োজনীয়। এই খনিজ মিশ্রণ বোন মিল (সিদ্ধ) ৫%, ঝিনুক ৪০%, লাইম স্টোন ৩৫%, গ্রাউন্ড লাইম স্টোন ৫%, লবণ ৪%, চারকোল ১০% এবং শিয়ান রেড ১% তৈরী করতে হবে।

বিভিন্ন প্রজাতির কবুতরের খাবারও ভিন্ন ভিন্ন। গোল্লা প্রজাতির কবুতর সাধারণত সব ধরনের শস্য দানাই খায়। আর গিরিবাজ কবুতরে খায় ধান, গম, সরিষা, তিসি, ভুট্টা, কুসুম ফুলের বিচি ইত্যাদি। ফেন্সি কবুতরের খাবার হচ্ছে ডাবি্ল বুট, ছোলা বুট, গম, সূর্যমুখীর বিচি, কুসুম ফুলের বিচি ইত্যাদি। হোমারের খাবার একেবারেই ভিন্ন। ১৭ পদের শস্যদানা পরিমাণমতো মিশিয়ে এদের খাবার তৈরি করা হয়। এ খাবারে অন্তর্ভুক্ত থাকে বাদাম, ডাবি্ল বুট, ছোলা বুট, সূর্যমুখীর বিচি, কুসুম ফুলের বিচি, তিসি, বাজরা, চিনা, মুগ ডাল, মাসকলাই, মসুর, হেলেন ডাল ইত্যাদি। যখন হোমার কবুতরকে প্রতিযোগিতার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় তখন এই খাবারের পাশাপাশি ধানের সঙ্গে মাখন বা ঘি মিশিয়ে খাওয়ানো হয়। বাণিজ্যিকভিত্তিতে কবুতর উৎপাদনের জন্য নিম্নে প্রদত্ত খাদ্য মিশ্রণ ব্যবহার করা উত্তম।

ক্রম নং. খাদ্য উপাদান পরিমাণ (%)
০১ ভুট্টা ৩৫ %
০২ মটর ২০ %
০৩ গম ৩০ %
০৪ ঝিনুকের গুঁড়া, চুনাপাথর চূর্ণ, অস্থিচূর্ণ ০৭%
০৫ ভিটামিন, এমাইনো এসিড য়োজপ্রিমিক্স ০৭%
০৬ লবণ ০১ %
পানি সরবরাহ

প্রতিদিন গভীর বা খাদ জাতীয় পানির পাত্র ভালোভাবে পরিষ্কার করে ৩ বার পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা উচিত। দুই সপ্তাহ পর পর পটাশ মিশ্রিত পানি সরবরাহ করলে পাকস্থলি বিভিন্ন জীবাণুর আক্রমণ থেকে রক্ষা পাবে।

এমাইনো এসিড

আমিষ বিভিন্ন প্রকার এমাইনো এসিড সরবরাহ করে যা দেহ গঠনের জন্য অত্যাবশ্যক। যে সব এমাইনো এসিড পাখির দেহে সংশ্লেষণ হয় না তাকে অত্যাবশ্যকীয় এমাইনো এসিড বলা হয়। সুতরাং পাখিকে এমাইনো এসিড সমৃদ্ধ খাদ্য (শুটকি মাছের গুঁড়া, সরিষা, তিল ও চীনাবাদামের খৈল) সরবরাহ করতে হবে।

বাড়ির দেয়ালে বসে রোদ পোহাচ্ছে একদল কবুতর

জীবনকাল ও প্রজনন

[সম্পাদনা]

হাঁস-মুরগির মতো যে কোনো মর্দা কবুতর মাদী কবুতরের সাথে সহজে জোড়া বাঁধে না। এদেরকে এক সাথে এক সপ্তাহ রাখলে জোড়া বাঁধে। মুরগীর ন্যায় কবুতরের জননতন্ত্রে ডিম উৎপন্ন হয়। তবে ডিম্বাশয়ে একসাথে সাধারণত মাত্র দু'টি ফলিকুল তৈরি হয়। এ কারণে প্রতিটি মাদী কবুতর দু'টি ডিম পাড়ে। ডিম পাড়ার ৪০-৪৪ ঘণ্টা পূর্বে ডিম্ব স্খলন হয় এবং ডিম পাড়ার কমপক্ষে ২৪ ঘণ্টা পূর্বে তা নিষিক্ত হয়। অর্থাৎ যে ১৬-২০ ঘণ্টা পর্যন্ত ডিম ডিম্বনালীতে থাকে সে সময়ে তা নিষিক্ত হয়ে থাকে। ডিম পাড়ার পর থেকে মর্দা ও মাদী উভয় কবুতর পর্যায়ক্রমে ডিমে তা দিতে শুরু করে। মাদী কবুতর প্রায় বিকেল থেকে শুরু করে পরের দিন সকাল পর্যন্ত ডিমে তা দেয় এবং বাকী সময়টুকু অর্থাৎ সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মর্দা কবুতর তা দিয়ে থাকে। তা দেয়ার পঞ্চম দিনেই ডিম পরীক্ষা করে উর্বর বা অনুর্বর ডিম চেনা যায়। বাতির সামনে ধরলে উর্বর ডিমের ভিতর রক্তনালী দেখা যায়। কিন্তু অনুর্বর ডিমের ক্ষেত্রে ডিমের ভিতর স্বচ্ছ দেখাবে। সাধারণত ডিম পাড়ার ১৭-১৮ দিন পর ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়। এভাবে একটি মাদী কবুতর সাধারণত ১২ মাসে ১০-১২ জোড়া বাচ্চা উৎপাদন করতে পারে। জন্মের প্রথম দিন থেকে ২৬ দিন বয়স পর্যন্ত কবুতরের বাচ্চার ক্রমবর্ধমান অবস্থা থাকে। প্রথমে সারা দেহ হলুদ পাতলা বর্ণের লোম দ্বারা আবৃত থাকে। এই সময় নাক ও কানের ছিদ্র বেশ বড় দেখায়। প্রায় ৪-৫ দিন পর বাচ্চার চোখ খোলে বা ফুটে। পনের দিনে সমস্ত শরীর পালকে ছেয়ে যায়। প্রায় ১৯-২০ দিনে দু'টো ডানা এবং লেজ পূর্ণতা লাভ করে ও ঠোঁট স্বাভাবিক হয়। এই ভাবে ২৬-২৮ দিনে কবুতরের বাচ্চা পূর্ণতা লাভ করে। কবুতর সাধারণত ২০-৩০ বছর পর্যন্ত বাঁচে।

জঙ্গলী কবুতর ৫ বছর এবং গৃহপালিত কবুতর ১০-১৫ বছর বাঁচে। ৫-৬ মাস বয়স হলে স্ত্রী কবুতর ডিম দেয়। গড়ে প্রতি মাসে এক বার ডিম দেয়। বাচ্চা ২৫/২৬ দিন বয়স হলে খাবার উপযুক্ত হয়। এ সময় বাচ্চা সরিয়ে ফেললে মা কবুতর নতুন করে ডিম দিতে প্রস্তুতি গ্রহণ করে।

বাচ্চার জন্য পিজিয়ন মিল্ক

[সম্পাদনা]

কবুতরের খাদ্যথলিতে পিজিয়ন মিল্ক উৎপাদিত হয়। এই খাদ্যথলিতে দুইটি অংশ বা লোব (ষড়নব) থাকে। ডিমে তা দিতে বসার প্রায় অষ্টমদিন থেকে "পিজিয়ন মিল্ক" উৎপাদনের প্রস্তুতি শুরু হয়। এন্টিরিত্তর পিটুইটারী গ্রন্থির প্রোল্যাকটিন (Prolactin) হরমোনের প্রভাবে এই ' পিজিয়ন মিল্ক' উৎপন্ন হয়। এ কারণে কবুতর ছানার জন্য কোনো বাড়তি খাবারের প্রয়োজন হয় না। কারণ, প্রায় ৭ দিন পর্যন্ত ছানা তার মাতা-পিতার কাছ থেকে প্রকৃতিপ্রদত্ত খাবার পেয়ে থাকে। এটিকে পিজিয়ন মিল্ক বা কবুতরের দুধ বলা হয়। পিজিয়ন মিল্ক হলো পৌষ্টিক স্তরের কোষের মধ্যে চর্বির গুটিকা (globules of fat) যা পিতা মাতা উভয়ের খাদ্য থলিতে যথেষ্ট পরিমাণে মজুদ হয়। পিজিয়ন মিল্ক কবুতর ছানার জন্য একটি আদর্শ খাবার। এতে ৭০% পানি, ১৭.৫% আমিষ, ১০% চর্বি এবং ২.৫% বিভিন্ন খনিজ পদার্থ থাকে। মাতাপিতা উভয় কবুতরের খাদ্য থলির অভ্যন্তরীণ আবরণ থেকে পিজিয়ন মিল্ক উৎপন্ন হয়। কবুতরের জিহ্বা লম্বা ও সরু। মুখ গহ্বরের নিচের অংশ বেশ প্রশস্ত হয় যা ছানাকে খাওয়ানোর উপযোগী। মাতা ও পিতা কবুতর ছানার মুখের মধ্যে মুখ প্রবেশ করিয়ে খাবার সরাসরি অন্ননালিতে পৌঁছে দেয় ।

রোগব্যাধি

[সম্পাদনা]

পাখি হিসেবে মুরগি/হাঁসের রোগগুলো এর মধ্যে দেখা দিয়ে থাকে। সাধারণত: ককসিডিওসিস বা পাতলা চুনযুক্ত পায়খানা, সালমোনেলা, রানিক্ষেত পি এমভি/নিউ ক্যাসল ডিজিজ, কৃমি, ক্যাংকার বা মুখে ঘা, ক্রনিক রেসপিরেটরি ডিজিজ সি আর ডি, পক্স, বার্ড ফ্লু ইত্যাদি রোগ হতে দেখা যায়। প্রায় সব রোগের জন্যই বিভিন্ন কোম্পানির ঔষধ পাওয়া যায়। তাছাড়া পশু সম্পদ গবেষণাগার হতে রানিক্ষেত , পক্স ইত্যাদির টিকা বা প্রতিষেধক পাওয়া যায়।

কবুতরের বিভিন্ন জাত

[সম্পাদনা]

উত্তম নিষ্কাশন, পর্যাপ্ত সূর্যালোক এবং বায়ুর চলাচল আছে এরূপ উঁচু এবং বালুময় মাটিতে কবুতরের ঘর করতে হবে, যা খামারির আবাসস্থল থেকে ২০০-৩০০ ফুট দূরে এবং দক্ষিণমুখী হওয়া উচিত। মাটি থেকে ঘরের উচ্চতা ২০-২৪ ফুট এবং খাঁচার উচ্চতা ৮-১০ফুট হওয়া ভাল। একটি খামারের জন্য ৩০-৪০ জোড়া কবুতর আদর্শ। এরূপ ঘরের মাপ হবে ৯ ফুট ৮.৫ ফুট। কবুতরের খোপ ২-৩ তলা বিশিষ্ট করা যায়। এরূপ খোপের আয়তন প্রতিজোড়া ছোট আকারের কবুতরের জন্য ৩০ সে. মি.x ৩০ সে.মি.x ২০ সে.মি. এবং বড় আকারের কবুতরের জন্য ৫০ সে. মি.x ৫৫ সে.মি. x৩০ সে.মি.। ঘর স্বল্প খরচে সহজে তৈরী এবং স্থানান্তরযোগ্য যা কাঠ, টিন, বাঁশ, খড় ইত্যাদি দিয়ে তৈরী করা যায়। খামারের ভিতরে নরম, শুষ্ক খড়-কুটা রেখে দিলে তারা ঠোঁটে করে নিয়ে নিজেরাই বাসা তৈরি করে নেয়। ডিম পাড়ার বাসা তৈরীর জন্য ধানের খড়, শুকনো ঘাস, কচি ঘাসের ডগাজাতীয় দ্রব্যাদি উত্তম। খোপের ভিতর মাটির সরা বসিয়ে রাখলে কবুতর সরাতে ডিম পাড়ে এবং বাচ্চা ফুটায়।

বর্তমানে অনেক শৌখিন ব্যক্তি খাঁচায় বিভিন্ন ধরনের নজরকাড়া কবুতর [] পুষে থাকছেন। এই শৌখিন কবুতর যে কত সুন্দর হতে পারে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। খাঁচার আকার বা সাইজ কি হবে তা নির্ভর করে আপনি কি ধরনের কবুতর পালতে চাচ্ছেন তার উপর। যদি আপনি শুধু গিরিবাজ পালতে চান, তাহলে ১৪*১৪*১৬ ইঞ্চি হলে ভাল। আর যদি শৌখিন কবুতর পালতে চান তাহলে সাধারণত আদর্শ মাপ হল- ২৪*২৪*১৮ ইঞ্চি বা ২৪*২৪*২০ ইঞ্চি হলে আরও ভাল।

জাত বা ধরন গুলো কোন নির্দিষ্ট কিছু নয়। বিভিন্ন রং, বৈশিষ্ট্য, গুণাগুণ, চোখ ইত্যাদি এর উপর ভিত্তি করে নামকরণ বা জাত ঠিক করা হয়। এছাড়া ক্রস ব্রিডিং -এর মাধ্যমেও নতুন জাত তৈরি হয়ে থাকে। বহুবিচিত্র ধরনের নানা জাতের কবুতরের মধ্যে নিম্নে প্রধান কয়েকটি জাত সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ

  • হোমার: হোমিং পিজিয়ন থেকে নামকরণ হয়েছে হোমার। উড়াল প্রতিযোগিতায় ব্যবহার হয় বলে রেসার হোমার বলা হয়। কবুতর দিয়ে রেস খেলা পৃথিবীর একটি প্রাচীনতম শৌখিন খেলা।বেলজিয়াম,নেদারল্যান্ড,জার্মানি,ইংল্যান্ড,আমেরিকা,বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর বহু দেশে রেসিং ক্লাব রয়েছে।ক্লাব থেকে কবুতরের রেস অনুষ্ঠিত হয়।বর্তমানে রেসিং ফলাফল নির্ধারিত হয় ইলেকট্রনিক ট্র্যাকিং সিস্টেম (ইটিএস) মেশিন দিয়ে।
  • গোলা (দেশি কবুতর): এই জাতের কবুতরের উৎপত্তিস্থল পাক-ভারত উপমহাদেশ। আমাদের দেশে এ জাতের কবুতর প্রচুর দেখা যায় এবং মাংসের জন্য এটার যথেষ্ট জনপ্রিয়তা রয়েছে। ঘরের আশেপাশে খোপ নির্মাণ করলে এরা আপনাআপনি এখানে এসে বসবাস করে। এদের বর্ণ বিভিন্ন সেডযুক্ত ধূসর এবং বারড-ব্লু রংয়ের। এদের চোখের আইরিস গাঢ় লাল বর্ণের এবং পায়ের রং লাল বর্ণের হয়।
  • গোলী: গোলা জাতের কবুতর থেকে গোলী জাতের কবুতর ভিন্ন প্রকৃতির। এ জাতের কবুতর পাকিস্তানের লাহোর ও ভারতের কলকাতায় বেশ জনপ্রিয় ছিল। এদের লেজের নিচে পাখার পালক থাকে। ঠোঁট ছোট হয় এবং পায়ে লোম থাকে না। এদের বর্ণ সাদার মধ্যে বিভিন্ন ছোপযুক্ত।
  • ফ্যানটেল/লাক্ষা: শৌখিন, লেজগুলো দেখতে ময়ূরের মত ছড়ানো। ভারত থেকে এসেছে। এটি অতি প্রাচীন জাতের কবুতর। ফ্যানটেল জাতের কবুতরের উৎপত্তি ভারতে। এ জাতের কবুতর লেজের পালক পাখার মত মেলে দিতে পারে বলে এদেরকে ফ্যানটেল বলা হয়। এদের রং মূলত সাদা তবে কালো, নীল ও হলুদ বর্ণের ফ্যানটেল সৃষ্টিও সম্ভব হয়েছে। এদের লেজের পালক বড় হয় ও উপরের দিকে থাকে। পা পালক দ্বারা আবৃত থাকে। এ জাতের কবুতর প্রদর্শনীতে ব্যবহৃত হয় এবং দেশ-বিদেশে অত্যন্ত জনপ্রিয়।
  • লাহোরী/সিরাজী (শৌখিন): লাহোর নামে পাওয়া যায়। আমাদের দেশে এই কবুতরটি সিরাজী কবুতর হিসেবে পরিচিত। এদের উৎপত্তিস্থল লাহোর। এদের চোখের চারদিক থেকে শুরু করে গলার সম্মুখভাগ, বুক, পেট, নিতম্ব, পা ও লেজের পালক সম্পূর্ণ সাদা হয় এবং মাথা থেকে শুরু করে গলার পিছন দিক এবং পাখা রঙিন হয়। সাধারণত কালো, লাল, হলুদ, নীল ও রূপালি ইত্যাদি বর্ণের কবুতর দেখা যায়।বর্তমানে সিরাজী ও লাহোরী আলাদা ব্রিড এদের শরীরের শেপ একটু আলাদা হয়।
  • কিং: এ জাতের কবুতরের মধ্যে হোয়াইট কিং এবং সিলভার কিং আমেরিকাসহ ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলিতে বিশেষ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। কিং জাতের কবুতর প্রদর্শনী এবং স্কোয়াব উৎপাদনে ব্যবহার হয়। এছাড়াও রয়েছে ব্লু রেড এবং ইয়েলো কিং। এই জাতের কবুতর মূলত প্রদর্শনীতে ব্যবহৃত হয়।
  • প্রিন্স
  • গিরিবাজ : পাক-ভারতীয় সাদা চোখ ও কালো মণী বিশিষ্ট কবুতর গিরিবাজ নামে পরিচিত। এদের উৎপত্তিস্থল পাক-ভারত উপমহাদেশ। গিরিবাজ কবুতর প্রধানত তিন টাইপের হাই ফ্লাইয়ার/টিপলার,লো ফ্লাইয়ার ও কালারিং টাইপের হয়। হাই ফ্লাইয়ার গিরিবাজ অনেক উচুতে দীর্ঘ সময় সময় উড়তে পারে।পৃথিবীতে এই জাতের কবুতর ফ্লাইং টুর্নামেন্টে ২২ ঘণ্টা উড়ার রেকর্ড আছে। হাই ফ্লাইয়ার কবুতর দিয়ে উড়ানোর খেলা হয়ে থাকে।এই খেলা টুর্নামেন্ট আকারে হয়। টুর্নামেন্ট এ যার কবুতর দীর্ঘ সময় উড়ে সে বিজয়ী হয়। আমেরিকা,লন্ডন,ভারত,পাকিস্তান ও বাংলাদেশে এসব ফ্লাইং টুর্নামেন্ট হয়।উপমহাদেশে যারা এসব হাই ফ্লাইয়ার কবুতর নিয়ে চর্চা করে তাদের ওস্তাদ বলা হয়। বাংলাদেশের ঢাকা,খুলনা,চট্টগ্রাম,রাজশাহী, ময়মনসিংহ অঞ্চলে ব্যাপকভাবে গিরিবাজ কবুতরের ফ্লাইং চর্চা হয়।হাই ফ্লাইং জাতের মধ্যে পাকিস্তানি টেডি,শিয়ালকোটি,কাসুরি,গোল্ডেন,কামাগার,থার্টি ফাইভ সহ দেশিও কয়েকটি জাত বিখ্যাত।(তথ্যগুলি কবুতর বিশেষজ্ঞ হিমেল তরফদারের কবুতর পরিচিতি বই এবং ব্লগ থেকে সংগৃহীত) আমাদের দেশে এদের যথেষ্ট কদর রয়েছে। বিভিন্ন গিরিবাজের মধ্যে অন্যতম:
    • বাঘা
    • চুইনা: সমস্ত শরীর সাদা কিন্তু সমস্ত চোখ কালো নয়।
    • কাগজি: সমস্ত শরীর সাদা কিন্তু সমস্ত চোখ কালো।
    • চিলা, সাফ চিলা
    • গোররা (শরীর সাদা কালো মিশ্রণ, যেমন মাথা সাদা, পিঠ কালো, ডানা সাদা), সিলভার গোররা, কালো গোররা।
    • সোয়া চন্দন
    • ঘিয়া-সুল্লি, লাল-সুল্লি
    • জাক/কালো গলা
    • কালদম, লালদম, মুসালদম (সমস্ত শরীর কালো কিন্তু দম বা লেজগুলো সাদা)।
    • খাকি, লাল খাকি
    • খয়রা/লাল গলা/লালপেটি
    • সবজি
    • সবুজ গলা
    • লাল গলা
  • পটার: গলার নিচটা ফুটবলের মতো।
  • মুকি: এ জাতের কবুতরের গলা রাজহাঁসের মত পিছন দিকে বাঁকানো এবং কম্পমান অবস্থায় থাকে। মুকি জাতের কবুতরের উৎপত্তি ভারতে বলে ধারণা করা হয়। এদের উভয় ডানার তিনটি উড়বার উপযোগী পালক সাদা হয় যা অন্য কোনো কবুতরে দেখা যায় না। এ জাতের কবুতরের মাথা সাদা, বুক খুব একটা চওড়া নয় তবে উঁচু ও বেশ কিছুটা সামনের দিকে বাড়ানো থাকে। সাদা, কালো এবং নীল বর্ণের এই কবুতরের পায়ে লোম থাকে। এই ক কবুতর আপনারা সব দেশেই পাবেন ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখে।
  • ফ্রিল ব্যাক
  • জ্যাকোবিন: এই কবুতরের মাথার পালক ঘাড় অবধি ছড়ানো থাকে যা বিশেষ ধরনের মস্তকাবরণের মত দেখায়। এদের উৎপত্তিস্থল সম্পর্কে সঠিকভাবে জানা যায় না। তবে এদের আদি জন্মস্থান ভারত বলেই ধারণা করা হয়। এই কবুতর সাধারণত সাদা, লাল, হলুদ, নীল ও রূপালি বর্ণের হয়। এদের দেহ বেশ লম্বাটে। চোখ মুক্তার মত সাদা হয়।
  • স্ট্রেসার
  • মডেনা
  • লোটান/নোটন/রোলিং (Rolling): লোটান/নোটন কবুতরকে রোলিং (rolling) কবুতরও বলা হয়। গিরিবাজ কবুতর যেমন শূন্যের উপর ডিগবাজি খায়, তেমন লোটন কবুতর মাটির উপর ডিগবাজি খায়। সাদা বর্ণের এই কবুতরের ঘোরানো ঝুঁটি রয়েছে। এদের চোখ গাঢ় পিঙ্গল বর্ণের এবং পা লোমযুক্ত।
  • লান
  • সর্ট ফেস

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Columba livia Gmelin, 1789" (Web data)। ITIS Report। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০২-২৬ 
  2. Blechman, Andrew (২০০৭)। Pigeons-The fascinating saga of the world's most revered and reviled bird.। St Lucia, Queensland: University of Queensland Press। আইএসবিএন 978-0-7022-3641-9 
  3. বই উদ্ধৃতি: মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান, লেখক:তুষারকান্তি ষন্নিগ্রহী, শিরোনাম:অভিযোজন, প্রকাশক=শ্রীভূমি পাবলিশিং কোম্পানি, কলকাতা, বছর ১৯৮৬, পৃ.১৩২,১৩৩
  4. https://web.archive.org/web/20200609112912/https://www.kobutor.net/2020/06/kobutor-khabar-pigeons.html
  5. https://web.archive.org/web/20200609112923/https://www.kobutor.net/2020/06/kobutor-pigeons-jath.html fancy pigeon

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]

[১] কবুুুতর ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখে

{{bottomLinkPreText}} {{bottomLinkText}}
পোষা কবুতর
Listen to this article

This browser is not supported by Wikiwand :(
Wikiwand requires a browser with modern capabilities in order to provide you with the best reading experience.
Please download and use one of the following browsers:

This article was just edited, click to reload
This article has been deleted on Wikipedia (Why?)

Back to homepage

Please click Add in the dialog above
Please click Allow in the top-left corner,
then click Install Now in the dialog
Please click Open in the download dialog,
then click Install
Please click the "Downloads" icon in the Safari toolbar, open the first download in the list,
then click Install
{{::$root.activation.text}}

Install Wikiwand

Install on Chrome Install on Firefox
Don't forget to rate us

Tell your friends about Wikiwand!

Gmail Facebook Twitter Link

Enjoying Wikiwand?

Tell your friends and spread the love:
Share on Gmail Share on Facebook Share on Twitter Share on Buffer

Our magic isn't perfect

You can help our automatic cover photo selection by reporting an unsuitable photo.

This photo is visually disturbing This photo is not a good choice

Thank you for helping!


Your input will affect cover photo selection, along with input from other users.

X

Get ready for Wikiwand 2.0 🎉! the new version arrives on September 1st! Don't want to wait?