ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল
কর্মীবৃন্দ | |||
---|---|---|---|
অধিনায়ক | মিচেল মার্শ | ||
কোচ | অ্যাডাম ভোজেস | ||
দলের তথ্য | |||
রং | স্বর্ণালী ও কালো | ||
প্রতিষ্ঠা | ১৮৯৩ | ||
স্বাগতিক মাঠ | ওয়াকা গ্রাউন্ড (১৮৯৯ -) | ||
ধারণক্ষমতা | ২২,০০০ | ||
ইতিহাস | |||
প্রথম শ্রেণী অভিষেক | সাউথ অস্ট্রেলিয়া ১৮৯৩ সালে অ্যাডিলেড ওভাল | ||
শেফিল্ড শিল্ড জয় | ১৫ (১৯৪৮, ১৯৬৮, ১৯৭২, ১৯৭৩, ১৯৭৫, ১৯৭৭, ১৯৭৮, ১৯৮১, ১৯৮৪, ১৯৮৭, ১৯৮৮, ১৯৮৯, ১৯৯২, ১৯৯৮, ১৯৯৯) | ||
ওয়ান-ডে কাপ জয় | ১৩ (১৯৭১, ১৯৭৪, ১৯৭৭, ১৯৭৮, ১৯৮৩, ১৯৮৬, ১৯৯০, ১৯৯১, ১৯৯৭, ২০০০, ২০০৪, ২০১৫, ২০১৭) | ||
দাপ্তরিক ওয়েবসাইট | ওয়াকা | ||
|
ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল (ইংরেজি: Western Australia cricket team) অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধিত্বকারী রাজ্য দল। দলটি ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ওয়েস্টার্ন ওয়ারিয়র্স ডাকনামে পরিচিত। ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (ওয়াকা) কর্তৃক দলের সদস্য মনোনয়নসহ নিয়ন্ত্রিত হয়ে আসছে। পার্থের ওয়াকা গ্রাউন্ড ও পার্থ স্টেডিয়ামে দলটি নিজেদের খেলাগুলো আয়োজন করে থাকে। দলটি মূলতঃ প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট প্রতিযোগিতা শেফিল্ড শিল্ডে অস্ট্রেলিয়ার অন্য রাজ্য দলের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ও সীমিত ওভারের ক্রিকেট প্রতিযোগিতা জেএলটি ওয়ান-ডে কাপে অংশ নেয়। তবে, মাঝে-মধ্যেই সফররত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দলগুলোর বিপক্ষে খেলে থাকে।
টুয়েন্টি২০ পর্যায়ের খেলায় ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া দল পূর্বে অংশগ্রহণ করতো। তবে, ২০১১-১২ মৌসুমে বিগ ব্যাশ লীগে পার্থ স্কর্চার্স দল তাদের স্থলাভিষিক্ত হন। মিচেল মার্শ ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান অধিনায়ক ও এডাম ভোজেস বর্তমানে কোচের দায়িত্ব পালন করছেন।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]১৮৯২-৯৩ মৌসুমে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া দল প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তাদের প্রথম খেলায় অংশ নেয়। সফররত ইস্টার্ন স্টেটসের বিপক্ষে দুইটি খেলায় অংশগ্রহণের পর অ্যাডিলেড ওভালে সাউথ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয়।[১] এরপর, এমসিসিজিতে ১ এপ্রিল, ১৮৯৩ তারিখে ভিক্টোরিয়ার বিপক্ষে খেলে।[২] তখন ঐ দলে হার্বার্ট অর অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
দলটি সাউথ অস্ট্রেলিয়া, ভিক্টোরিয়া ও নিউ সাউথ ওয়েলসের বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশগ্রহণ করতে থাকে। এছাড়াও, ১৯৪৭-৪৮ মৌসুমে শেফিল্ড শিল্ডে অন্তর্ভুক্ত হবার পূর্ব-পর্যন্ত বিক্ষিপ্তভাবে বিদেশ থেকে আগত সফররত দলের বিপক্ষে খেলতে থাকে। শুরুরদিকে প্রত্যেক মৌসুমে দলটি একে-অপরের বিপক্ষে কেবলমাত্র একবার মোকাবেলা করতো। এরপর, ১৯৫৬-৫৭ মৌসুম থেকে অন্যান্য দলের ন্যায় তারাও প্রত্যেক রাজ্যের বিপক্ষে দুইবার করে খেলতে শুরু করে।
১৯৪৭-৪৮ মৌসুমে শেফিল্ড শিল্ডে যোগদানের পর থেকে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া দল ১৫বার প্রতিযোগিতার শিরোপা জয় করে। ঐ সময়ে কেবলমাত্র নিউ সাউথ ওয়েলসের পর দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করে।[৩] একদিনের কাপে দলটি বিজয়ের দিক থেকে শীর্ষস্থানে অবস্থান করছে। তাদের ১২ জয়ের বিপরীতে নিউ সাউথ ওয়েলস দল আটবার জয় করতে সমর্থ হয়।
রাজ্য দল থেকে ডেনিস লিলি, অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, মাইকেল হাসি, টেরি অল্ডারম্যান ও জিওফ মার্শের সাথে সাম্প্রতিক সময়ে শন মার্শ, মার্কাস নর্থ, অ্যাডাম ভোজেস ও মিচেল মার্শের ন্যায় অস্ট্রেলীয় টেস্ট খেলোয়াড়ের অংশগ্রহণ রয়েছে।[৪] ইংরেজ ক্রিকেটার টনি লককে ১৯৬৭-৬৮ মৌসুমে নিজ দেশে ডব্লিউএ খেলোয়াড় হিসেবে পরিচিতি ঘটানো হয়েছে; কেননা, তিনি ঐ মৌসুমে কোন ইংরেজ কাউন্টি দলের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন না।
টেস্ট খেলোয়াড় বাদে বেশ কয়েকজন ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ান খেলোয়াড়কে সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বিভিন্ন স্তরে খেলতে দেখা যায়; তন্মধ্যে, জোয়েল পারিস একদিনের আন্তর্জাতিকে[৫] ও অ্যান্ড্রু টাইয়ের[৬] টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে।
জাস্টিন ল্যাঙ্গারকে ২০১২ সালের শেষদিকে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্যে মনোনীত করা হয়। তিনি একই সঙ্গে পার্থ স্কর্চার্সের কোচের দায়িত্বে থাকেন। এ পর্যায়ে প্রায় এক দশক সফলতার বাইরে থাকার পর বেশ সাফল্য পায়। ল্যাঙ্গারের পরিচালনায় ওয়ারিয়র্স দল ২০১৪-১৫ মৌসুমে ওয়ান-ডে কাপের শিরোপা জয় করে; অন্যদিকে দলটি ২০১৩-১৪ ও ২০১৪-১৫ মৌসুমে শেফিল্ড শিল্ডের রানার্স-আপ হয়। স্কর্চার্স দল ২০১৩-১৪ ও ২০১৪-১৫ মৌসুমের বিগ ব্যাশ লীগে পিছনে যেতে থাকে।
কোচিং কর্মকর্তা
[সম্পাদনা]- প্রধান কোচ: অ্যাডাম ভোজেস
- সহকারী প্রধান কোচ: জিওফ মার্শ
- বোলিং কোচ: অ্যাডাম গ্রিফিথ
- উন্নয়ন কোচ - অনূর্ধ্ব-১৯: ওয়েন অ্যান্ড্রুজ
- ফিজিওথেরাপিস্ট: নিক জোন্স
- স্ট্রেন্থ ও কন্ডিশনিং কো-অর্ডিনেটর: ওয়ারেন অ্যান্ড্রুজ
- পারফরম্যান্স অ্যানালাইলিস কো-অর্ডিনেটর: ডিন প্লাঙ্কেট
অধিনায়ক
[সম্পাদনা]বর্তমান অধিনায়ক - মিচেল মার্শ ও অ্যাশটন টার্নার
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ South Australia v Western Australia, 27, 28 March 1893, at the Adelaide Oval – CricketArchive. Published 18 July 2011.
- ↑ Victoria v Western Australia, 1, 3, 4 April 1893, at the MCG – CricketArchive. Published 18 July 2011.
- ↑ "A history of the Sheffield Shield"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১০-২৫।
- ↑ "Mitch Marsh | cricket.com.au"। www.cricket.com.au। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১০-২৫।
- ↑ Inc., Western Australian Cricket Association। "WACA | Home of Cricket in Western Australia"। waca.com.au। ২০১৬-১০-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১০-২৫।
- ↑ Inc., Western Australian Cricket Association। "WACA | Home of Cricket in Western Australia"। waca.com.au। ২০১৬-১০-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১০-২৫।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- Official Website of the Western Australian Cricket Association
- Official Website of Cricket Australia
অস্ট্রেলিয়ায় ক্রিকেট | |
---|---|
জাতীয় সংস্থা | |
জাতীয় দলসমূহ |
|
রাজ্য সংস্থা |
|
রাজ্য দল | |
বিগ ব্যাশ লীগ নগর দলসমূহ | |
প্রতিযোগিতাসমূহ |
|
সম্মাননা | |
তালিকাসমূহ |
|
অন্যান্য |
|
পার্থভিত্তিক পেশাদার ক্রীড়া দল | |
---|---|
অস্ট্রেলীয় রুলস ফুটবল |
|
Baseball |
|
Basketball |
|
ক্রিকেট |
|
Field hockey |
|
Ice hockey |
|
Netball |
|
Rugby union |
|
Soccer |
|
Water polo |
|
Main article: Sport in Western Australia |
Text is available under the CC BY-SA 4.0 license; additional terms may apply.
Images, videos and audio are available under their respective licenses.