For faster navigation, this Iframe is preloading the Wikiwand page for এরশাদ আলী.

এরশাদ আলী

এরশাদ আলী
জন্ম১৯৩৫
মৃত্যু২ এপ্রিল ১৯৭১
জাতীয়তাবাংলাদেশী
নাগরিকত্ব ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত)
 পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে)
 বাংলাদেশ
পরিচিতির কারণবীর উত্তম
অফিসবিডিআর

শহীদ এরশাদ আলী (জন্ম: ১৯৩৫ - মৃত্যু: ১৯৭১) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর উত্তম খেতাব প্রদান করে। তার গেজেট নম্বর ৫৬।[]

জন্ম ও শিক্ষাজীবন

[সম্পাদনা]

এরশাদ আলীর পৈতৃক বাড়ি নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলার বিষ্ণবপুর গ্রামে। তার বাবার নাম আলী মিয়া এবং মায়ের নাম আসমতের নেছা। তার স্ত্রীর নাম মোসাম্মৎ নুরুন নেছা। তাদের এক মেয়ে।

কর্মজীবন

[সম্পাদনা]

ইপিআরে চাকরি করতেন এরশাদ আলী। ১৯৭১ সালে কর্মরত ছিলেন দিনাজপুর ইপিআর সেক্টরের রংপুর উইংয়ে। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ঝাঁপিয়ে পড়েন যুদ্ধে।[]

মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা

[সম্পাদনা]

১৯৭১ সালের ২ এপ্রিলে তিস্তা রেলসেতুতে ভয়াবহ যুদ্ধ হয়। ২৫ মার্চের পর রংপুর ইপিআর উইংয়ের বাঙালি সেনারা অবস্থান নেন কাউনিয়ায়। ৩১ মার্চ রংপুর সেনানিবাস থেকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ২৬ ফ্রন্টিয়ার ফোর্স কাউনিয়ার দিকে অগ্রসর হতে থাকে। তখন ইপিআর সেনারা কৌশলগত কারণে পিছু হটে তিস্তা রেলসেতুর কুড়িগ্রাম প্রান্তে অবস্থান নেন। সেখানে তাদের সঙ্গে যোগ দেন লালমনিরহাট, কালিগঞ্জ, হাতিবান্ধা, পাটগ্রাম ও কুড়িগ্রাম থেকে আসা ইপিআর সেনা, পুলিশ, আনসার ও ছাত্র-জনতা। তারা রেলসেতুর মাঝের স্লিপার খুলে কুড়িগ্রাম প্রান্তে লাইনের ওপর গাছের গুঁড়ি ফেলে রাখেন। ১ এপ্রিল কাউনিয়া রেলস্টেশন থেকে একদল পাকিস্তানি সেনা ট্রেনে তিস্তা সেতু অভিমুখে যাত্রা করে। মুক্তিযোদ্ধারা (ইপিআর সেনা) সেতুর কুড়িগ্রাম প্রান্তে প্রতিরক্ষা অবস্থান নিয়ে পাকিস্তানি সেনাদের অপেক্ষায় ছিলেন। ট্রেন মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্রের আওতায় আসামাত্র তারা একযোগে আক্রমণ চালান। পাকিস্তানি বাহিনীও পাল্টা আক্রমণ চালায়। রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মেজর, ১৫ জন সেনা ও কাউনিয়া থানার ওসি নিহত হন। বাকি পাকিস্তানি সেনারা পালিয়ে যায়। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে এই সাফল্যে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা বেড়ে যায়। অপরদিকে ওই পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীা নতুন দল ভারী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রংপুর সেনানিবাস থেকে পরদিন এসে আবার আক্রমণ চালায়। তারা মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর প্রথমে গোলাবর্ষণ করে। এতে মুক্তিযোদ্ধারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। ব্যাপক গোলাবর্ষণের মুখে বেশিরভাগ মুক্তিযোদ্ধা পাঁচ-সাত শ গজ পিছু হটে অবস্থান নেন। কিন্তু এরশাদ আলীসহ কয়েকজন নিজ নিজ বাংকারেই থাকেন।

তারা সাহসিকতার সঙ্গে পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে থাকেন। যুদ্ধের সাফল্যে এরশাদ আলী ও তার সহযোদ্ধারা বেশ উদ্দীপ্ত। তবে আনন্দের আতিশয্যে ভাসছেন না। আনন্দের মধ্যেও সবাই সতর্ক। কারণ, যেকোনো সময় আবার পাকিস্তানি সেনারা আক্রমণ করতে পারে। সবাই নিজ নিজ বাংকারে সতর্ক অবস্থায়। রাতে তারা পালা করে ঘুমালেন। সকাল হতেই তাদের অবস্থানের ওপর শুরু হলো পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আর্টিলারি গোলাবর্ষণ। একটু এর বিপুলসংখ্যক পাকিস্তানি সেনা ব্যাপক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আক্রমণ চালায় তাদের ওপর। আক্রমণের প্রচণ্ডতায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়লেন মুক্তিযোদ্ধারা। তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলেন। কিন্তু এরশাদ আলী মাটি কামড়ে পড়ে থাকলেন। বিপুল বিক্রমে পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে লড়াই করতে থাকলেন। তার সাহস ও বীরত্বে উদ্দীপ্ত হলেন আরও কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা। তারা নিজ নিজ বাংকারে থেকে যুদ্ধ করছেন। এমন সময় গুলি এসে লাগল এরশাদ আলীর বুকে। বাংকারে লুটিয়ে পড়লেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে ভেঙে পড়ল মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধ। বাকি মুক্তিযোদ্ধারা পশ্চাদপসরণে বাধ্য হলেন। রক্তে রঞ্জিত বাংকারে পড়ে থাকল এরশাদ আলীর নিথর দেহ। যুদ্ধের একপর্যায়ে আতাহার আলী মল্লিক, (বীর বিক্রম) শহীদ হন। পরবর্তীতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থান দখল করে নেয়। সহযোদ্ধারা শহীদ দুজনের মরদেহ উদ্ধার করতে পারেননি। পরে তাদের মরদেহ খুঁজে পাওয়া যায়নি।[]

পুরস্কার ও সম্মাননা

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. দৈনিক প্রথম আলো, "তোমাদের এ ঋণ শোধ হবে না" | তারিখ: ২১-১২-২০১১[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. একাত্তরের বীরযোদ্ধাদের অবিস্মরণীয় জীবনগাঁথা, খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা স্মারকগ্রন্থ। ঢাকা: জনতা ব্যাংক লিমিটেড। জুন ২০১২। পৃষ্ঠা ৮৮। আইএসবিএন 9789843351449 
  3. একাত্তরের বীরযোদ্ধা, খেতাব পাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা (প্রথম খন্ড)। প্রথমা প্রকাশন। মার্চ ২০১৩। পৃষ্ঠা ২২। আইএসবিএন 9789849025375 

পাদটীকা

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]
{{bottomLinkPreText}} {{bottomLinkText}}
এরশাদ আলী
Listen to this article

This browser is not supported by Wikiwand :(
Wikiwand requires a browser with modern capabilities in order to provide you with the best reading experience.
Please download and use one of the following browsers:

This article was just edited, click to reload
This article has been deleted on Wikipedia (Why?)

Back to homepage

Please click Add in the dialog above
Please click Allow in the top-left corner,
then click Install Now in the dialog
Please click Open in the download dialog,
then click Install
Please click the "Downloads" icon in the Safari toolbar, open the first download in the list,
then click Install
{{::$root.activation.text}}

Install Wikiwand

Install on Chrome Install on Firefox
Don't forget to rate us

Tell your friends about Wikiwand!

Gmail Facebook Twitter Link

Enjoying Wikiwand?

Tell your friends and spread the love:
Share on Gmail Share on Facebook Share on Twitter Share on Buffer

Our magic isn't perfect

You can help our automatic cover photo selection by reporting an unsuitable photo.

This photo is visually disturbing This photo is not a good choice

Thank you for helping!


Your input will affect cover photo selection, along with input from other users.

X

Get ready for Wikiwand 2.0 🎉! the new version arrives on September 1st! Don't want to wait?